বাল্যবিবাহ বন্ধে সংলাপ ফোরামের সাফল্যের গল্প


প্রকাশের সময় : জুলাই ৫, ২০২৩, ৪:৫৩ অপরাহ্ণ / ১৮১
বাল্যবিবাহ বন্ধে সংলাপ ফোরামের সাফল্যের গল্প


ডেস্ক রিপোর্ট: এখন আমি বুঝতে পারছি নিজেকে মানুষ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন। যদি আমি সংলাপ সেন্টারে অন্য কিশোরীদের সাথে যুক্ত না হতাম তাহলে আজকে আমাকে বাল্য বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হতো। এখন আমি নিজেই পড়ালেখা করে স্বাবলম্বী হতে চাই- এমন সংকল্প কিশোরী পিয়াসা আক্তারের।
গাইবনাধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এক দরিদ্র পরিবারে পিয়াসা আক্তারের। ২০০১ জিইউকে সিডস প্রকল্পে কাটাবাড়ি সংলাপ কেন্দ্রের একজন সংলাপ সেন্টারের কিশোরী হিসেবে যুক্ত হন। এখানে যুক্ত হওয়ার পর তার দৃষ্টি পরিবর্তন হয়। এর আগে সে কিশোর-কিশোরীদের সামাজিক অপবাদ ও বাঁধা বিপত্তির অনেক কিছুই বুঝতে পারিনি যা পরিবারের নিজস্ব এবং কিছু গ্রামবাসীর দ্বারা তৈরি হয়েছিল। কেউ বাল্যবিবাহের দোষ বোঝার চেষ্টা করেনি এবং এটি আইনগতভাবে এবং একজন নারীর পক্ষের মত ছিল কিনা তা জানানোর চেষ্টা করেনি। তাই অনেক মানুষ সবসময় তাদের সন্তানের বাল্যবিবাহ সম্পর্কে ঐতিহ্যগত ও সামাজিকভাবে বিশ্বাস অনুসরণ সমর্থন করতো।
পিয়াসা জানান, গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে আমার পরিবার কাছের গ্রামে আমার বিয়ে ঠিক করতে চেয়েছিল। আমি বিবাহের বিরুদ্ধে আমার পরিবারের কাছে এটির প্রতিবাদ করেছিলাম কিন্তু সেই সময়ে কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি.. তাই আমি আমার অন্যান্য ফোরাম সদস্যদের সাথে বিষয়টি শেয়ার করতে বাধ্য হলাম। তারা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে সংলাপ ফোরামের সকলের সহযোগিতায় সমাধানের চেষ্টা করেন। এটিও কোন কাজ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে স্থানীয় ইউপি প্রতিনিধির শরনাপন্ন হতে হলো। তারা একসাথে বসার ব্যবস্থা করে এবং আমার পরিবারের সাথে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করে। দীর্ঘক্ষণ আলোচনার পর, আমরা একটি ফলাফল পেয়েছি এবং আমার পরিবার বিয়ে বন্ধ করার পাশাপাশি আমাকে আরও পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন। এখন আমি খুব খুশি বোধ করছি এবং এখনও ভালভাবে আমার পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছি।