একেএম,শামছুল হকঃ সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর আজকের এই দিনে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা হানাদার মুক্ত হয়। এ দিনে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সুন্দরগঞ্জের মাটিতে স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয় পতাকা উড়তে থাকে। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে হেরে গিয়ে রাতের আঁধারে পাক হানাদার বাহিনী পালিয়ে যায়।তাই স্বাধীনতার ৫২বছর পরেও আজকের এই দিনটি স্বরণ রাখতে যথাযোগ্য মর্যাদায় সুন্দরগঞ্জে হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে এ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এমদাদুল হক বাবলু।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ডের সভাপতি বাবলু খন্দকারের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম, আবুল হোসেন, গাওছুল আযম, সুন্দরগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এটিএম মাসুদ-উল ইসলাম চঞ্চল, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ডের সদস্য শিপুল মিয়া, পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি সুরজিত সরকার রাঙা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন—স্বাধীনতা সংগ্রামে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর আজকের দিনে সুন্দরগঞ্জ শত্রু মুক্ত হলে ‘বিজয় উল্লাস’ আর ‘জয় বাংলা’ ধ্বনিতে প্রকম্পতি হয়েছিল আকাশ বাতাস।
যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা জানান, ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর প্রত্যুষে পাক হানাদার বাহিনী দখলদারীদের হাত থেকে এ উপজেলাকে মুক্ত করা হয়। ভারতের র্দাজিলিং এ ট্রেনিং শেষে ৬নং সেক্টর কমান্ডার মরহুম এয়ার ভাইস র্মাশাল খাদেমুল বাঁশার ও কোম্পানি কমান্ডার শাহ নেওয়াজ এবং গাইবান্ধার দায়িত্বে নিয়োজিত ক্যাপ্টেন আজিজের নেতৃত্বে তারা দেশ স্বাধীনের জন্য ভারত সীমানা অতিক্রম করে পাটগ্রাম, নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামারী এলাকার রণক্ষেত্রে সাহসী ভূমিকা রেখে সুন্দরগঞ্জ থানার চিন্নিহীত এলাকাগুলোকে শত্রুমুক্ত করতে সক্ষম হন। দিবসটি উৎযাপনের শুরুতেই সুন্দরগঞ্জ হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ সহ একটি বিজয় র্যালী পৌরশহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। পরে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
আপনার মতামত লিখুন :