Dhaka ১১:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
রাণীনগরে শিশু ও বাকপ্রতিবন্ধী বাবার দ্বি-খন্ডিত মরদেহ উদ্ধার চরাঞ্চলের চাষীদের মাঝে কৃষি উপকরণ প্রদান বোনারপাড়া বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী ২৫ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পেয়ে ফের ভারতে যাবার প্রাক্কালে বিজিবি’র হাতে আটক দু নারী ও শিশু রাণীনগরে মাজার-ঈদগাঁর ৯০লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ২৭ নভেম্বর,২০২৪ খ্রি.।। ম্ঙ্গলবার পীরগঞ্জের আলমপুর ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবীতে মানবন্ধন জলবায়ু পরিবর্তন ও নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিমিয় সভা সাঘাটায় বিশ্ব টয়লেট ডে উদযাপন ঘোড়াঘাটে যৌথ বাহিনীর অভিযান অস্ত্রসহ যুবক আটক

বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক পাচ্ছেন ২৮ কর্মকর্তা ও ২ দপ্তর

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:৪৯:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০২৩
  • ২৪৬ Time View

এ বছর ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক’ পাচ্ছেন প্রশাসনের ২৮ কর্মকর্তা ও দুটি সরকারি দপ্তর। ২৮ কর্মকর্তার মধ্যে ২৩ জন পাবেন দলগত শ্রেণিতে এবং ব্যক্তিগত শ্রেণিতে পদক পাচ্ছেন পাঁচজন। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার দেওয়া হচ্ছে এ পদক।

এরই মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদকপ্রাপ্তদের তালিকা চূড়ান্ত করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। মনোনীতদের তা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।

‘জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস’ উপলক্ষে আগামী ৩১ জুলাই রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মনোনীতদের হাতে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক’ তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

২০১৬ সাল থেকে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কর্মদক্ষতা, মননশীলতা ও উদ্ভাবনী প্রয়াসকে উৎসাহিত করতে ‘জনপ্রশাসন পদক’ দেওয়া হতো। গত বছর থেকে ‘জনপ্রশাসন পদক’ এর নাম বদলে নতুন আঙ্গিকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানে কর্মকর্তাদের এ পদক দেওয়া হচ্ছে।

প্রতিবছর ২৩ জুন ‘জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস’ উদযাপন করা হয়। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হলো—‘সবার আগে সুশাসন, জনসেবায় উদ্ভাবন’।

এবার ‘নীতি ও প্রশাসনিক পদ্ধতির সংস্কার’ ক্যাটাগরিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং ‘গবেষণা ও মানবকল্যাণে এর ব্যবহার’ ক্যাটাগরিতে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পদক পাচ্ছে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল।

‘সাধারণ প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা’ শ্রেণিতে দলগতভাবে এ পদক পাচ্ছেন লক্ষ্মীপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক (বর্তমানে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব) মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ, লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জন ডা. আহম্মদ কবীর, লক্ষ্মীপুরের সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) ও বর্তমানে বিসিএস প্রশাসন একাডেমির উপপরিচালক নূর-এ-আলম, সদর উপজেলার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসেন (বর্তমানে বিএসটিআইর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) ও রায়পুর উপজেলার ইউএনও অনজন দাশ।

খাগড়াছড়ি জেলার সাবেক জেলা প্রশাসক (বর্তমানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব) প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, খাগড়াছড়ির সাবেক এডিসি (বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব) কেএম ইয়াসির আরাফাত, খাগড়াছড়ি জেলার সাবেক সহকারী কমিশনার (বর্তমানে মাগুরার মহম্মদপুরের সহকারী কমিশনার-ভূমি) বাসুদেব কুমার মালো ও খাগড়াছড়ির সাবেক সহকারী কমিশনার (মাগুরা জেলার সহকারী কমিশনার) শেখ নওশাদ হাসান ‘উন্নয়ন প্রশাসন’ ক্যাটাগরিতে এ পদক পাচ্ছেন।

‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন’ শ্রেণিতে মনোনীত হয়েছেন চারজন কর্মকর্তা। এদের মধ্যে রয়েছেন- শরীয়তপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক (বর্তমানে বরিশালের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার) মো. পারভেজ হাসান, শরিয়তপুরের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের সাবেক উপ-পরিচালক (বর্তমানে অধিদপ্তরের উপপরিচালক) মো. মতলুবর রহমান, শরিয়তপুরের জাজিরা উপজেলার ইউএনও কামরুল হাসান সোহেল এবং জাজিরা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেন।

‘পরিবেশ উন্নয়ন’ শ্রেণিতে পদক পাচ্ছেন পাঁচজন। তারা হলেন- হবিগঞ্জের সাবেক ডিসি (বর্তমানে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উপসচিব) ইশরাত জাহান, হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিন্টু চৌধুরী, হবিগঞ্জ জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক পওর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (বর্তমানে সাতক্ষীরা নির্বাহী প্রকৌশলী) মো. শাহানেওয়াজ তালুকদার, হবিগঞ্জের সহকারী কমিশনার নাভিদ সারওয়ার ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী দিলীপ কুমার দত্ত।

‘মানবসম্পদ উন্নয়ন’ ক্যাটাগরিতে পদক পাচ্ছেন পাঁচজন। এদের মধ্যে রয়েছেন— গাইবান্ধার বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) উপপরিচালক মো. আবদুস সবুর, গাইবান্ধা সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. তাহাজুল ইসলাম, সুন্দরগঞ্জের উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আবুল কামাল আজাদ, গোবিন্দগঞ্জের উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. এনামুল হক ও পলাশবাড়ির উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান।

‘দুর্যোগ ও সংকট মোকাবিলা’ শ্রেণিতে ব্যক্তিগতভাবে পদক পাচ্ছেন গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. খায়রুজ্জামান, ‘সামাজিক উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা’ শ্রেণিতে সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাদি উর রহিম জাদিদ, ‘অপরাধ প্রতিরোধ’ শ্রেণিতে র্যাব-১১ এর জঙ্গি সেলের সাবেক ইন্টেলিজেন্স অফিসার ও কমান্ডার (বর্তমানে ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার) মির্জা সালাহ উদ্দিন, ‘জনসেবায় উদ্ভাবন’ শ্রেণিতে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার ইউএনও সোহাগ চন্দ্র সাহা এবং ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ ক্যাটাগরিতে নওগাঁর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নাজমুল হক।

জনপ্রশাসনে কর্মরত-কর্মচারীদের সৃজনশীল ও গঠনমূলক কার্যক্রম উৎসাহিত করার মাধ্যমে কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি, দক্ষতা উন্নয়নে উৎসাহিতকরণ ও সরকারের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অধিকতর গতিশীল করতে সরকার ২০১৬ সালের ২৩ জুলাই প্রথমবারের মতো জনপ্রশাসন পদক দেয়। ২৩ জুলাই জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবসের অনুষ্ঠান উদ্যাপনের অংশ হিসেবে এ পদক দেওয়া হয়। পদক দিতে ‘জনপ্রশাসন পদক নীতিমালা ২০১৫ (২০১৬ সালে সংশোধিত)’ করা হয়। এ বছর সেই নীতিমালা বাতিল করে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক নীতিমালা, ২০২২’ প্রণয়ন করা হয়েছে।

নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সাধারণ প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা, উন্নয়ন প্রশাসন, সামাজিক উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা, মানব উন্নয়ন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, পরিবেশ উন্নয়ন, দুর্যোগ ও সংকট মোকাবিলা, অপরাধ প্রতিরোধ, জনসেবায় উদ্ভাবন, নীতি ও প্রশাসনিক পদ্ধতির সংস্কার, গবেষণা ও মানব কল্যাণে এর ব্যবহার এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক দেওয়া হচ্ছে।

মনোনীতদের পুরস্কার হিসেবে একটি স্বর্ণপদক (২১ ক্যারেট মানের ১৫ গ্রাম ওজনের) এবং রাষ্ট্রীয় মনোগ্রাম সংবলিত সম্মাননাপত্র দেওয়া হবে।

ব্যক্তিগত অবদানের জন্য দুই লাখ টাকা, দলগত অবদানের জন্য পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হবে। দলগত অবদানের ক্ষেত্রে দলের সর্বোচ্চ সদস্য সংখ্যা পাঁচজন। দলের প্রত্যেক সদস্যকে স্বর্ণপদক, সম্মাননাপত্র ও ক্রেস্ট দেওয়া হবে এবং নগদ পুরস্কারের পাঁচ লাখ টাকা সদস্যদের মধ্যে সমভাবে বণ্টন করা হবে। প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে স্বর্ণপদক, ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র দেওয়া হবে।

বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি/দলের অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীরা এবং এর আগে জাতীয় পর্যায়ে জনপ্রশাসন পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি/দলের অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীরা নামের শেষে ‘বঙ্গবন্ধু পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রিশন অ্যাওয়ার্ড’-এর সংক্ষিপ্ত রূপ ‘বিপিএএ’ টাইটেল ব্যবহার করতে পারবেন। সরকারি আনুষ্ঠানিক কর্মসূচিতে পোশাকের সঙ্গে সরকার অনুমোদিত বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদকের মনোগ্রাম ব্যবহার করতে পারবেন বলে নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

রাণীনগরে শিশু ও বাকপ্রতিবন্ধী বাবার দ্বি-খন্ডিত মরদেহ উদ্ধার

বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক পাচ্ছেন ২৮ কর্মকর্তা ও ২ দপ্তর

Update Time : ০৩:৪৯:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০২৩

এ বছর ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক’ পাচ্ছেন প্রশাসনের ২৮ কর্মকর্তা ও দুটি সরকারি দপ্তর। ২৮ কর্মকর্তার মধ্যে ২৩ জন পাবেন দলগত শ্রেণিতে এবং ব্যক্তিগত শ্রেণিতে পদক পাচ্ছেন পাঁচজন। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার দেওয়া হচ্ছে এ পদক।

এরই মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদকপ্রাপ্তদের তালিকা চূড়ান্ত করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। মনোনীতদের তা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।

‘জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস’ উপলক্ষে আগামী ৩১ জুলাই রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মনোনীতদের হাতে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক’ তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

২০১৬ সাল থেকে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কর্মদক্ষতা, মননশীলতা ও উদ্ভাবনী প্রয়াসকে উৎসাহিত করতে ‘জনপ্রশাসন পদক’ দেওয়া হতো। গত বছর থেকে ‘জনপ্রশাসন পদক’ এর নাম বদলে নতুন আঙ্গিকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানে কর্মকর্তাদের এ পদক দেওয়া হচ্ছে।

প্রতিবছর ২৩ জুন ‘জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস’ উদযাপন করা হয়। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হলো—‘সবার আগে সুশাসন, জনসেবায় উদ্ভাবন’।

এবার ‘নীতি ও প্রশাসনিক পদ্ধতির সংস্কার’ ক্যাটাগরিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং ‘গবেষণা ও মানবকল্যাণে এর ব্যবহার’ ক্যাটাগরিতে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পদক পাচ্ছে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল।

‘সাধারণ প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা’ শ্রেণিতে দলগতভাবে এ পদক পাচ্ছেন লক্ষ্মীপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক (বর্তমানে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব) মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ, লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জন ডা. আহম্মদ কবীর, লক্ষ্মীপুরের সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) ও বর্তমানে বিসিএস প্রশাসন একাডেমির উপপরিচালক নূর-এ-আলম, সদর উপজেলার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসেন (বর্তমানে বিএসটিআইর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) ও রায়পুর উপজেলার ইউএনও অনজন দাশ।

খাগড়াছড়ি জেলার সাবেক জেলা প্রশাসক (বর্তমানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব) প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, খাগড়াছড়ির সাবেক এডিসি (বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব) কেএম ইয়াসির আরাফাত, খাগড়াছড়ি জেলার সাবেক সহকারী কমিশনার (বর্তমানে মাগুরার মহম্মদপুরের সহকারী কমিশনার-ভূমি) বাসুদেব কুমার মালো ও খাগড়াছড়ির সাবেক সহকারী কমিশনার (মাগুরা জেলার সহকারী কমিশনার) শেখ নওশাদ হাসান ‘উন্নয়ন প্রশাসন’ ক্যাটাগরিতে এ পদক পাচ্ছেন।

‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন’ শ্রেণিতে মনোনীত হয়েছেন চারজন কর্মকর্তা। এদের মধ্যে রয়েছেন- শরীয়তপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক (বর্তমানে বরিশালের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার) মো. পারভেজ হাসান, শরিয়তপুরের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের সাবেক উপ-পরিচালক (বর্তমানে অধিদপ্তরের উপপরিচালক) মো. মতলুবর রহমান, শরিয়তপুরের জাজিরা উপজেলার ইউএনও কামরুল হাসান সোহেল এবং জাজিরা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেন।

‘পরিবেশ উন্নয়ন’ শ্রেণিতে পদক পাচ্ছেন পাঁচজন। তারা হলেন- হবিগঞ্জের সাবেক ডিসি (বর্তমানে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উপসচিব) ইশরাত জাহান, হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিন্টু চৌধুরী, হবিগঞ্জ জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক পওর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (বর্তমানে সাতক্ষীরা নির্বাহী প্রকৌশলী) মো. শাহানেওয়াজ তালুকদার, হবিগঞ্জের সহকারী কমিশনার নাভিদ সারওয়ার ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী দিলীপ কুমার দত্ত।

‘মানবসম্পদ উন্নয়ন’ ক্যাটাগরিতে পদক পাচ্ছেন পাঁচজন। এদের মধ্যে রয়েছেন— গাইবান্ধার বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) উপপরিচালক মো. আবদুস সবুর, গাইবান্ধা সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. তাহাজুল ইসলাম, সুন্দরগঞ্জের উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আবুল কামাল আজাদ, গোবিন্দগঞ্জের উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. এনামুল হক ও পলাশবাড়ির উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান।

‘দুর্যোগ ও সংকট মোকাবিলা’ শ্রেণিতে ব্যক্তিগতভাবে পদক পাচ্ছেন গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. খায়রুজ্জামান, ‘সামাজিক উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা’ শ্রেণিতে সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাদি উর রহিম জাদিদ, ‘অপরাধ প্রতিরোধ’ শ্রেণিতে র্যাব-১১ এর জঙ্গি সেলের সাবেক ইন্টেলিজেন্স অফিসার ও কমান্ডার (বর্তমানে ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার) মির্জা সালাহ উদ্দিন, ‘জনসেবায় উদ্ভাবন’ শ্রেণিতে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার ইউএনও সোহাগ চন্দ্র সাহা এবং ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ ক্যাটাগরিতে নওগাঁর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নাজমুল হক।

জনপ্রশাসনে কর্মরত-কর্মচারীদের সৃজনশীল ও গঠনমূলক কার্যক্রম উৎসাহিত করার মাধ্যমে কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি, দক্ষতা উন্নয়নে উৎসাহিতকরণ ও সরকারের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অধিকতর গতিশীল করতে সরকার ২০১৬ সালের ২৩ জুলাই প্রথমবারের মতো জনপ্রশাসন পদক দেয়। ২৩ জুলাই জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবসের অনুষ্ঠান উদ্যাপনের অংশ হিসেবে এ পদক দেওয়া হয়। পদক দিতে ‘জনপ্রশাসন পদক নীতিমালা ২০১৫ (২০১৬ সালে সংশোধিত)’ করা হয়। এ বছর সেই নীতিমালা বাতিল করে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক নীতিমালা, ২০২২’ প্রণয়ন করা হয়েছে।

নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সাধারণ প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা, উন্নয়ন প্রশাসন, সামাজিক উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা, মানব উন্নয়ন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, পরিবেশ উন্নয়ন, দুর্যোগ ও সংকট মোকাবিলা, অপরাধ প্রতিরোধ, জনসেবায় উদ্ভাবন, নীতি ও প্রশাসনিক পদ্ধতির সংস্কার, গবেষণা ও মানব কল্যাণে এর ব্যবহার এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক দেওয়া হচ্ছে।

মনোনীতদের পুরস্কার হিসেবে একটি স্বর্ণপদক (২১ ক্যারেট মানের ১৫ গ্রাম ওজনের) এবং রাষ্ট্রীয় মনোগ্রাম সংবলিত সম্মাননাপত্র দেওয়া হবে।

ব্যক্তিগত অবদানের জন্য দুই লাখ টাকা, দলগত অবদানের জন্য পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হবে। দলগত অবদানের ক্ষেত্রে দলের সর্বোচ্চ সদস্য সংখ্যা পাঁচজন। দলের প্রত্যেক সদস্যকে স্বর্ণপদক, সম্মাননাপত্র ও ক্রেস্ট দেওয়া হবে এবং নগদ পুরস্কারের পাঁচ লাখ টাকা সদস্যদের মধ্যে সমভাবে বণ্টন করা হবে। প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে স্বর্ণপদক, ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র দেওয়া হবে।

বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি/দলের অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীরা এবং এর আগে জাতীয় পর্যায়ে জনপ্রশাসন পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি/দলের অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীরা নামের শেষে ‘বঙ্গবন্ধু পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রিশন অ্যাওয়ার্ড’-এর সংক্ষিপ্ত রূপ ‘বিপিএএ’ টাইটেল ব্যবহার করতে পারবেন। সরকারি আনুষ্ঠানিক কর্মসূচিতে পোশাকের সঙ্গে সরকার অনুমোদিত বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদকের মনোগ্রাম ব্যবহার করতে পারবেন বলে নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।