প্রতিনিধি, গাইবান্ধা:
গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গণ উন্নয়ন কেন্দ্র (জিইউকে) এর আয়োজনে এডব্লিউও ইন্টারন্যাশনাল ও বিএমজেড এর সহযোগিতায় নিরাপদ অভিবাসন ও মানব পাচার বিষয়ে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন কর্মসূচির অংশ হিসেবে আলোচনা সভা, পালাগান ও পিছিয়েপরা জনগোষ্ঠীর কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল (বুধবার) গিদারী ইউনিয়নের দ্বীন মোহাম্মদ স্কুল মাঠে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশী ইুদু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গাইবান্ধা সরকারি বিশ্বব্যিালয় কলেজ এর অধ্যক্ষ মো. খলিলুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক নেশারুল হক, গাইবান্ধা টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) এর অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. আবদুর রহিম, ইন্সটাক্টর আমিনুল ইসলাম, গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের সমন্বয়কারী আফতাব হোসেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক নেশারুল হক বলেন, দক্ষ হয়ে বৈধ এজেন্সির মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে বিদেশে গেলে সবদিক থেকে সুবিধা পাওয়া যায়। যিনি বিদেশে যাবেন তার সন্তানেরাও পড়ালেখায় বিশেষ সুবিধাও পাবেন। বিদেশ থেকে টাকা পাঠালে সরকার শতকরা ২.৫ শতাংশ হারে ভুর্তকি দিবে। আর যাদের বিদেশে যাওয়ার ইচ্ছে আছে কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে সামর্থ্য নেই, তারাও সহজ শর্তে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সহজেই বিদেশে যেতে পারেন বলে তিনি জানান। গাইবান্ধা টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) এর অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. আবদুর রহিম বলেন, সরকার ১৮ বছর উপরে সকল নাগরিকদের আন্তর্জাতিক মানে কারিগরি দক্ষতায় প্রশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে যুগান্তকারী পক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রতিটি জেলায় দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তুলে বিভিন্ন ট্রেডে কারিগরি ও বিভিন্ন ভাষা শেখার জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করে যাচ্ছে। শুধু প্রশিক্ষণই না শেষে সনদ ও বৃত্তিও প্রদান করছে সরকার। ইতোমধ্যে টিটিসি থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নারী পুরুষেরা আয় উপার্জন ও কর্মসংস্থানের সাথে জড়িত হয়ে পারিবারিক উন্নয়নে সহায়তা করছে। এজন্য তিনি সরকারি বেসরকারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার আহবান করেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি গাইবান্ধা সরকারি বিশ্ববিদ্যাল কলেজ এর অধ্যক্ষ মো. খলিলুর রহমান জানান, নাগরিক দায়িত্ববোধে থেকে একজন আরেকজনকে ভাল কাজে সহায়তা করা কর্তব্য এক্ষেত্রে তিনি বলেন, শুধু অর্থ দিয়েই মানুষকে সহায়তা করা নয়, একে অপরকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে পারে। যেসব তথ্যের মাধ্যমে মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন গঠবে এমন তথ্য আদান-প্রদান করা কর্তব্যের মধ্যেই বর্তায় বলে তিনি জানান। এছাড়াও তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নে সকলকেই সচেতন হবে এবং ব্যক্তিগত ও পারিবারিক থেকে শুরু করে রাস্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে ভূমিকা রাখা প্রয়োজন। এসময় তিনি ডেঙ্গু প্রতিরোধ, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য পরিচর্যা, যুব সমাজে মাদেকের ক্ষতিকর দিক নিয়ে কথা বলেন।
কর্মসূচিতে জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার কয়েকশত নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :