![](https://ajkerjanagan.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:– সারিবদ্ধ গোছানো ঘরবাড়ী,বাড়ীর বাইরে বাধাঁ রয়েছে গরু ছাগল,বাড়ীর আশপাশ রয়েছে হাঁস মুরগী,বাড়ীর চারপাশ লাগানো রয়েছে বিভিন্ন সবজি ও ফলের গাছ সব ঠিকঠাক রয়েছে শুধু বাধা হয়ে দাড়িয়েছে বাড়ীগুলোতে চলাচলের মুল রাস্তার।
চলাচলের রাস্তা নিয়ে বেশ সমস্যায় রয়েছে ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার হোসেনগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ নয়ানপুর গ্রামের মঙ্গল হাজেরা দীঘি এলাকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মঙ্গল হাজেরা দীঘির পাড়ে দুই সারিতে নির্মাণ করা হয়েছে ১৯টি বাড়ী। বাড়ীগুলোতে রীতিমত বাসিন্দারা বসবাস করছে। সেখানে কথা বলে জানা যায়, এখানকার বাসিন্দারা বেশিরভাগই দিনমজুর শ্রমিক ও ক্ষুঁদ্র ব্যবসায়ী। রুজি রোজগারের জন্য তাদের রিক্সা,ভ্যান নিয়ে প্রতিদিনিই বেড়িয়ে পড়তে হয়। কিন্তু আশ্রয়ণ এলাকা থেকে বের হতে তাদের বেশ বেগ পেতে হয়। প্রকল্পটির বাড়ীর জন্য কোন সংযোগ রাস্তা না থাকায় মানুষের জমির আইল দিয়ে চলাচল করতে হয়। ওই আইল বর্ষা বাদল হলে পানিতে মাঝে মাঝে ডুবে যায়। তখন চলাচলে খুবই সমস্যা হয় । অনেক সময় রিক্সা ভ্যান বের করা যায় না।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা আমজাদ হোসেন বলেন, আশ্রয়ণ ঘর করে দিয়েছে প্রায় ৩ বছর হলো। কিন্তু সরকার এখানে চলাচলের রাস্তা দেয়নি। রাস্তার জন্য ইউএনও,এসিল্যান্ড,স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে একাধিকবার গিয়েছে তাতে কোন লাভ হচ্ছে না। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, কেউ অসুস্থ হলে তাকে কাধে করে প্রায় ৩০০ ফিট বয়ে নিয়ে তারপর রাস্তার উপরে তুলে গাড়ীতে নিতে হয়।
আরেক বাসিন্দা মাহাবুবা আকতার বলেন, রাস্তার অভাবে চলাচলে সমস্যা ছেলে,মেয়েরা স্কুল কলেজে যেতে মানুষের জমির উপর দিয়ে যায়। যখন ফসল ফলানো থাকে তখন জমির মালিকেরা চলাচলে বাধা দেয়। বর্তমানে পানির ড্রেনের আইলের উপর দিয়ে তাদের সকলকে অস্থায়ীভাবে চলাচল করতে হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আরেক বাসিন্দা ঝাল মুড়ি ব্যবসায়ী ফিরোজ মাহমুদ বলেন, রাস্তা না থাকায় বাড়ীতে ভ্যান আনতে পারি না। ভ্যানে কাচের সব জিনিস পত্র থাকে সামান্য আঘাত পেলেই ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বাজারেই অনিচ্ছা সত্বেও রেখে আসতে হয়। আরেক বাসিন্দা করিম উদ্দীন বলেন, একটি মানুষ মারা গেলে তাকে যে কবরস্থানে নিয়ে যাবো সেও রাস্তা নেই। রাস্তার জন্য এতবার উপজেলা প্রশাসনকে বললেও তারা দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা বলেন, রাস্তা না হলে বসবাস করা কষ্টকর। তাই সরকারের উচ্চ মহলের কাছে দাবী অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন তাদের রাস্তার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির বলেন, ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়ীগুলোর মুল রাস্তার জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকেও চেষ্টা করা হচ্ছে। খুব শিশগির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।