প্রকাশের সময় : মার্চ ২৩, ২০২৪, ২:৪৯ অপরাহ্ণ / ১৮৩

ঘোড়াঘাটে অবাধে বিক্রি হচ্ছে ফিটকিরি মেশানো ভেজাল মধু

ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে খাঁটি বলে অবাধে বিক্রি হচ্ছে ফিটকিরি মেশানো ভেজাল মধু। দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর থেকে চিনি ও ফিটকিরি সাথে পানি মিশিয়ে ভেজাল মধু তৈরি করে খাঁটি মধুর কথা বলে অবাধে বিক্রি করে আসছে কিছু অসাধু মধু বিক্রেতা। 

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘোড়াঘাট উপজেলার বুলাকীপুর ইউনিয়নের কলাবাড়ী গ্রামের সাউদগাড়ী এলাকার হবিবর রহমান মধু (৪৫) ও একই গ্রামের মৃত রইচ উদ্দীনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৪০), মোফাজ্জলের পুত্র বারেক (৫০), বারেকের পুত্র শাকিল (২৮), ৩নং সিংড়া ইউনিয়নে নূরপুর গ্রামের সাউদগাড়ী পাড়ার আব্দুল আজিজের পুত্র আব্দুল কুদ্দুস (৪২) দীর্ঘদিন ধরে এ ভেজাল মধু বিক্রি করে আসছেন। এদের মধ্যে হবিবর রহমান নকল মধু তৈরি ও বিক্রির মূল হোতা বলে জানা যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, প্রায় ১৭ বছর এ ৫ জন নকল মধু তৈরি করে বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল করে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে এ ভেজাল মধু বিক্রি করে আসছেন। মূলত এ ব্যবসা করে তারা পাকা বাড়ি, গাড়ী, জমা-জমি সহ অনেক অর্থের মালিক বনে গিয়েছেন।

এ ভেজাল মধু তৈরির বিষয়ে অসাধু মধু বিক্রেতা আব্দুল কুদ্দুস ও আব্দুর রাজ্জাক ওরফে মাস্তান মধু স্বীকার করেন যে, তারা দীর্ঘদিন ধরেই এ ব্যবসা করে আসছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মাদ তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, চিনি ও ফিটকিরি মিশ্রিত এ ভেজাল মধু খেলে বিষক্রিয়া সহ এসিড ও মারাত্মক ভাবে কিডনির ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইউএনও মহোদয়ের সাথে কথা বলে ভেজাল মধু বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল জানান, ভেজাল মধু বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে অতিসত্বর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।