Dhaka ১০:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে কারণে ইউএনও-ওসিদের বদলি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:১৭:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ১৬১ Time View

দেশের সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বদলির কারণ জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। তিনি বলেছেন, মাঠ পর্যায়ের তথ্যের ভিত্তিতেই তাদের বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বদলির কারণে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে না।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া স্বতন্ত্রসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নিচ্ছে ইসি।

উল্লেখ্য, মাঠপ্রশাসন ও পুলিশে বড় ধরনের রদবদল করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই অংশ হিসাবে দেশের সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) পর্যায়ক্রমে বদলি করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে পৃথক চিঠি দিয়েছে কমিশন।

প্রথম পর্যায়ে উপজেলায় এক বছরের বেশি সময় থাকা ইউএনওদের বদলির প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি একই থানায় ছয় মাসের বেশি থাকা ওসিদের তালিকাও পাঠাতে বলা হয়েছে। আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পৃথক দুই তালিকা ইসিতে পাঠাতে হবে। নির্বাচন কমিশন ওই প্রস্তাব অনুমোদন করলে বদলির আদেশ জারি করবে স্ব-স্ব কর্তৃপক্ষ। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব প্রার্থীর জন্য ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ (সবার জন্য সমান সুযোগ) তৈরির লক্ষ্যেই মূলত এ রদবদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া কয়েকজন ডিসি ও এসপিকে প্রত্যাহার করার জন্য বলেছে ইসি। তাদের বিরুদ্ধে প্রার্থী পক্ষপাত ও বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। সামনে যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ প্রমাণিত হবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আরও জানা গেছে -বর্তমান মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সংসদ-সদস্যদের বেশিরভাগই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছেন। মাঠপ্রশাসন ও পুলিশের অনেক কর্মকর্তা একই জায়গায় দীর্ঘদিন থাকার কারণে তাদের অনেকের সঙ্গে সখ্য তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে জড়িয়েছেন। এ অবস্থায় প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে নির্বাচন কমিশন এ পদেক্ষপ নিয়েছে। ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আর প্রচার শুরু হবে ১৮ ডিসেম্বর।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, আমরা কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছি। দু-এক দিনের মধ্যে বিষয়টি আপনারা জানতে পারবেন। এর বেশি মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

যে কারণে ইউএনও-ওসিদের বদলি

Update Time : ০৬:১৭:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩

দেশের সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বদলির কারণ জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। তিনি বলেছেন, মাঠ পর্যায়ের তথ্যের ভিত্তিতেই তাদের বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বদলির কারণে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে না।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া স্বতন্ত্রসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নিচ্ছে ইসি।

উল্লেখ্য, মাঠপ্রশাসন ও পুলিশে বড় ধরনের রদবদল করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই অংশ হিসাবে দেশের সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) পর্যায়ক্রমে বদলি করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে পৃথক চিঠি দিয়েছে কমিশন।

প্রথম পর্যায়ে উপজেলায় এক বছরের বেশি সময় থাকা ইউএনওদের বদলির প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি একই থানায় ছয় মাসের বেশি থাকা ওসিদের তালিকাও পাঠাতে বলা হয়েছে। আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পৃথক দুই তালিকা ইসিতে পাঠাতে হবে। নির্বাচন কমিশন ওই প্রস্তাব অনুমোদন করলে বদলির আদেশ জারি করবে স্ব-স্ব কর্তৃপক্ষ। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব প্রার্থীর জন্য ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ (সবার জন্য সমান সুযোগ) তৈরির লক্ষ্যেই মূলত এ রদবদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া কয়েকজন ডিসি ও এসপিকে প্রত্যাহার করার জন্য বলেছে ইসি। তাদের বিরুদ্ধে প্রার্থী পক্ষপাত ও বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। সামনে যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ প্রমাণিত হবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আরও জানা গেছে -বর্তমান মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সংসদ-সদস্যদের বেশিরভাগই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছেন। মাঠপ্রশাসন ও পুলিশের অনেক কর্মকর্তা একই জায়গায় দীর্ঘদিন থাকার কারণে তাদের অনেকের সঙ্গে সখ্য তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে জড়িয়েছেন। এ অবস্থায় প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে নির্বাচন কমিশন এ পদেক্ষপ নিয়েছে। ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আর প্রচার শুরু হবে ১৮ ডিসেম্বর।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, আমরা কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছি। দু-এক দিনের মধ্যে বিষয়টি আপনারা জানতে পারবেন। এর বেশি মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।