মিঠাপুকুরে পরিত্যক্ত বাড়িতে পড়েছিল মাদক ব্যবসায়ীর মরদেহ 


প্রকাশের সময় : জুলাই ১৬, ২০২৩, ১০:০২ পূর্বাহ্ণ / ৪১
মিঠাপুকুরে পরিত্যক্ত বাড়িতে পড়েছিল মাদক ব্যবসায়ীর মরদেহ 

রোকনুজ্জামান রুবেল:

রংপুরের মিঠাপুকুরে ইরাক প্রবাসীর পরিত্যক্ত বাড়িতে পড়েছিল মাদক ব্যবসায়ীর মরদেহ। এটা হত্যা না আত্মহত্যা তা নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পরিবারের দাবি, জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মৃতের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী কর্তৃক তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। যদিও নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজনের দাবি, নির্জন স্হানে রাতের আঁধারে মাদকদ্রব্য গ্রহণ করতে গিয়ে ঐ ব্যক্তি হার্ট অ্যাটাক করে মৃত্যুবরণ করতে পারেন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় , শনিবার (১৫-জুলাই) মিঠাপুকুর উপজেলার ১৭ নং ইমাদপুর ইউনিয়নের মোল্লার হাট গান্ধার পাড়া গ্রামে ইরাক প্রবাসী নজরুল মিয়ার পরিত্যক্ত একটি টিনের বাড়িতে পাশ্ববর্তী ফরিদপুর গ্রামের মৃত-আজিজার রহমানের পুত্র মোঃ বাবলু মিয়ার (৫২) মরদেহ দেখতে পান প্রবাসীর প্রতিবেশী মোছাঃ পারভীন বেগম। এসময় তার চিৎকারে স্হানীয় লোকজন ছুটে এসে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বাবলু মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেমের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। 

এলাকাবাসী ও স্হানীয়রা জানান, নিহত বাবলু মিয়া পেশাদার মাদক কারবারি ছিল। তার নামে একাধিক মাদক মামলা চলমান। মাদক কারবারি হলেও এলাকায় সে মোটামুটি সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করত। যে পরিত্যক্ত বাড়িতে তার লাশ পাওয়া গিয়েছে, সেখানে সে জীবনেও প্রবেশ করার কথা নয়। লাশের শরীরে কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি, আবার যে জায়গায় তার মরদেহ পাওয়া গিয়েছে, তাতে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলেও সন্দেহ করা যায়।

নিহতের পরিবারের দাবি, বাবলুকে জায়গাজমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তারই ছোটভাই সৈয়দ ডাক্তারের স্ত্রী সালেহা বেগম পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে লাশ পরিত্যক্ত বাড়িতে রেখে এসেছে। মৃতের কান দিয়ে অনবরত রক্ত বের হচ্ছিল। মৃতের শরীরে কাপড় ছিলোনা। সূতরাং এটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। বাবলুর মেয়ে তার বাবার মাদক ব্যবসার কথা অস্বীকার করে জানান,তার বাবা খুব ভালো মানুষ ছিলেন,নেশা তো দুরের কথা জীবনে একটা সিগারেট খায়নি। তার বাবাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে লাশ গুমের চেষ্টা করা হয়েছিল, অজ্ঞাত কারণে হত্যাকারীরা লাশ গুম করতে পারেনি। 

এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান,আমার সংবাদকে জানান, লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে পোস্ট মর্টেমের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট আসলে বোঝা যাবে এটা হত্যা না অস্বাভাবিক মৃত্যু। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

অভিযুক্ত ডাক্তার সৈয়দ এবং তার  স্ত্রী ছালেহা বেগমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ রিপোর্ট লেখা অবধি তারা পলাতক রয়েছেন এবং লাশ পোস্ট মর্টেমের জন্য মর্গে রয়েছে।