আলমগীর হোসেন , ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: চিকিৎসার টাকা না দিয়েই ১৮/২০জনের একদল দুর্বৃত্ত প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে হাসপাতাল থেকে রোগীকে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (১৩ জুন) ঠাকুরগাঁও শহরের হাজীপাড়া কমিউনিটি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। এসময় হাসপাতালের কর্মচারীদের মারধর করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে তারা
অভিযোগের সূত্রে জানা গেছে, জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহিড়ী এলাকার মো: মিন্টুর হক এর ছেলে মরটসাইকেল দুর্ঘটনায় চোয়াল (দাত) ভেঙ্গে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হলে ডাক্তার তাকে অপারেশন করতে বলে। অতঃপর… বৃহস্প্রতিবার (১জুন) ঢাকায় অপারেশন করতে গেলে সেখানে কার চিকিৎসা বাবদ ১০ লাখ টাকা চাইলে রোগীর ঠাকুরগাঁও শহরের হাজীপাড়া কমিউনিটি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ করলে রোগীর স্বজনকে চিকিৎসা বাবদ দেড় লাখ টাকা খরচ হবে বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ খরচে সম্মতি হলে রোগীকে শনিবার (৩ জুন) সকালে ভর্তি করানো হয়। পরের দিন রবিবার (৪জুন) অপারেশনের ঔষধ ও যন্ত্রপাতি এনে রোগীর চোয়াল ভাঙ্গার অপারেশন করা হয়। অপারেশনের জন্য রোগী পরবর্তীতে কোন টাকা-পয়সা দেননি এবং বলেন যেদিন রিলিজ দেওয়া সেদিনই টাকা দিবেন।
কিন্তু মঙ্গলবার ( ১৩জুন) রোগীর ভাই বাবাসহ ১৮/২০ জনের একটি দুর্বৃত্তের দলকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে অনাধিকার প্রবেশ করে দুই নাম্বার বিবাদী মো: রুবেল হুমকি ধামকি দিয়ে বল আমরা কোন টাকা-পয়াসা দিতে পারবো না এবং হাসপাতাল থেকে আমার ভাই (রোগী) কে নিয়ে আবো সেই সাথে রোগীর সকল প্রকার কাজগপত্র নিয়ে যাবো। এতে কউ বাঁধা দিলে তাকেও মারধর করব। রুবেলের কথা শুনে দুর্বৃত্তের দল রোগীকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়ার চেস্টা করলে হাসপাতালের ম্যানেজার মো: খায়রুল ইসলাম ও কর্মচারীরা বাঁধা প্রদান করলে দুর্বৃত্তরা তাদের চড় থাপ্পড় এলোপাথারী মারপিট করতে থাকে। এবং দুর্বৃত্তরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ৫০হাজার টাকা চাঁদা করে। দুর্বৃত্তদের মারপিটের ফলে ম্যানেজার খায়রুল ইসলাম প্রাণের ভয়ে ডাক চিৎকার করতে থাকলে হাসপাতালে থাকা অন্যান্যরা এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যান। বিভিন্ন ফিসহ রোগীর কাছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা পায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত হাবিব ও রুবেল এর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি। এমনকি মুঠোফোনটি ও বন্ধু পাওয়া যায়।
ঠাকুরগাঁও কমিউনিটি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ম্যানেজার খায়রুল ইসলাম বলেন, গুরুতর অবস্থায় হাবিব আমাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরবর্তীতে অপারেশন, ডাক্তার ফিসহ দেড় লক্ষ টাকা খরচ হলে তারা টাকা না দিয়েই বহিরাগত প্রায় ২০ জন এসে রোগীকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যায়। এসময় আমরা বাধা দিলে আমাদেরকেও মারধর করে এবং ৫০ হাজার টাকা চাদা দাবি করে। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
এবিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বলেন, কমিউনিটি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ম্যানেজার খায়রুল ইসলাম এঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :