আমির হামজার বলে সিঙ্গেল নিয়ে তিন অঙ্ক ছুঁয়ে ড্রেসিংরুমের দিকে ছুটে যান নাজমুল হোসেন শান্ত। হেলমেট খুলে শূন্যে লাফিয়ে উঠে ব্যাটে চুমু এঁকে উদযাপন করেন সেঞ্চুরি।
প্রথমদিনের খেলা শেষে নাজমুল বলেন, ‘সেঞ্চুরি তো আর প্রতিদিন হয় না, তাই যখন সুযোগ পাই, উদযাপন ভালো করে করতে চাই।’ নাজমুল প্রতিনিয়ত নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। টেস্ট ক্রিকেটে তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে ২২ বছর বয়সি এই বাঁ-হাতি ব্যাটার নিজের জাত চেনালেন আবারও।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের প্রথমদিন বুধবার বাংলাদেশের রান পাঁচ উইকেটে ৩৬২। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের জন্য এ এক স্বর্ণালি দিন। ১৪৬ রানে আউট হয়ে আফসোসে পুড়ছেন কিনা জানতে চাইলে নাজমুল বলেন, ‘মোটেই আফসোস হচ্ছে না। যেটুকু হয়েছে তাতেই খুশি।’ নাজমুল বলেন, ‘উইকেট সহজ না। আমি কী করতে চাই, সেটা পরিষ্কার ছিল। আপনাদের কাছে সহজ মনে হলেও আমি কষ্ট করে ব্যাট করেছি।’
ওয়ানডে ফরম্যাটে নাজমুল হোসেন দারুণ ছন্দে আছেন। গত মাসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ এক ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরি উপহার দেন চেমসফোর্ডে। সবশেষ ২৫ টেস্ট ইনিংসে মাত্র দুবার ফিফটি ছোঁয়া শান্তর জন্য এই সেঞ্চুরিটি দারুণ কিছু। ২৩ চার ও দুই ছক্কায় ১৭৫ বল খেলে ১৪৬ রানে থামে তার ইনিংস। তিনি বলেন, ‘টেস্টে সেঞ্চুরি বিশেষ কিছু। নিজেদের মাঠে খেললে তো অবশ্যই বিশেষ। এটা আমাদের অন্যতম সেরা মাঠ, সেই হিসাবে অবশ্য একটু বেশি স্পেশাল।’
নাজমুল ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ২০২১ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে। পাল্লেকেলেতে সেই ইনিংসে থেমেছিলেন ৩৭৮ বলে ১৬৩ রানে। পরের সেঞ্চুরিতে হারারেতে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ১১৮ বলে ১১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘উইকেটে ঘাস ছিল। কিছুটা বাউন্স ছিল। জয় নতুন বল খুব ভালো সামলেছে। আমরা উইকেট নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করিনি, একটা একটা বল হিসাবেই খেলেছি।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের বোলাররা ভালো জায়গায় বল করতে পারলে এখান থেকে সাহায্য পাওয়া যাবে।’
আপনার মতামত লিখুন :