Dhaka ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোবিন্দগঞ্জে মাতৃত্বকালীন ৯জনের পুরো টাকাই মেম্বরের পকেটে!

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:০৮:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩
  • ১৮৬৪ Time View


ডেস্ক রিপোর্টঃ
প্রথমে অচেনা একটি নম্বর থেকে মোবইল ফোনে কল আসে। রিসিভ করতেই বলে আপনার বাড়ি কি শালমারা ইউনিয়নের বাইগুনি হিয়াতপুর গ্রামে? আপনাদের কি মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকা পাবার কথা? তাহলে আপনাদের আইডি কার্ড ও মোবাইল ফোন নিয়ে রুবেল মেম্বরের কাছে যান। এমনভাবে অভিযোগকারী ৯ জনের কাছেই ফোন আসে। এর পর তারা রুবেল মেম্বরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি নিজে এবং অন্য একজন নারীর মাধ্যমে কৌশলে ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি ও মোবাইল ফোন জমা নেন। এর পর অভিযোগকারীরা মোবাইল ফোন আনতে গেলে নানা ধরনের তালবাহানা শুরু করেন। একপর্যায়ে ৩ দিন পর সবাইকে মোবাইল ফোন ফিরে দেয়।
বাইগুনি ও হিয়াপুর এলকার অভিযোগকারী এনামুল, জুই খাতুন, পিয়ার মামুন, তানজিলা, মোছাঃ রেশমা, শরিফুল, সপ্না, সেলিম, বিজলী, মানিকসহ অনেকেই বলেন মোবাইল ফোনগুলো জমা দেয়ার পর থেকে বারবার যোগাযোগ করা হয় রুবেল মেম্বরের সাথে। তিনি আমাদেরকে পাত্তাই দেননি এক পর্যায়ে অন্যান্যদের বলাবলি করতে শুরু করলে ৩ দিন পর মোবাইল ফোন দিয়ে দেয়। এর পর আশে পাশের অন্যান্যদের মোবাইলে যখন এই মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকা আসতে শুরু করে তখন আমরা রুবেল মেম্বরের সাথে আবারো যোগাযোগ করি কিন্তু তিনি নানা ধরনের তালবাহানা শুরু করে। এক পর্যায়ে আমরা মোবাইল ফোন নিয়ে বিভিন্ন কম্পিউটারের দোকানে যাই এসময় তারা বলেন এসব মোবইল থেকে ৯,৬০০ টাকা বের করা হয়েছে। একথা শোনার পর আমরা দিশেহারা হয়ে পরি যে, আমরা টাকা উত্তোলন করলামনা কিন্তু টাকা গেলো কোথা? বিষয়টি নিয়ে আমরা চেয়াম্যানকে অবগত করেছি কিন্তু কোন কাজ হয়নি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য রুবেল এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি পরে কথা বলতেছি বলে নানা ধরনের তালবাহানা করেন।
শালমারা ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন বিষয়টি নিয়ে আমি মেম্বরের সাথে কয়েকবার যোগাযোগ করেছি এবং এরকম ঘটনা ঘটিয়ে থাকলে দ্রুত সময়ে এসব ঝামেলা মিটিয়ে ফেলতে বলেছি কিন্তু সে এ বিষয়ে কি করলো তা আর জানিনা। তবে যদি বিষয়টি সমাধান না করে থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া নেয়া হবে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধানের সাথে কথা হলে জানান, এমন ঘটনা ঘটলে তা অবশ্যই খতিয়ে দেখার বিষয়। তবে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে দেখি, ঘটনাটি কি ঘটেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

গোবিন্দগঞ্জে মাতৃত্বকালীন ৯জনের পুরো টাকাই মেম্বরের পকেটে!

Update Time : ১২:০৮:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩


ডেস্ক রিপোর্টঃ
প্রথমে অচেনা একটি নম্বর থেকে মোবইল ফোনে কল আসে। রিসিভ করতেই বলে আপনার বাড়ি কি শালমারা ইউনিয়নের বাইগুনি হিয়াতপুর গ্রামে? আপনাদের কি মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকা পাবার কথা? তাহলে আপনাদের আইডি কার্ড ও মোবাইল ফোন নিয়ে রুবেল মেম্বরের কাছে যান। এমনভাবে অভিযোগকারী ৯ জনের কাছেই ফোন আসে। এর পর তারা রুবেল মেম্বরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি নিজে এবং অন্য একজন নারীর মাধ্যমে কৌশলে ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি ও মোবাইল ফোন জমা নেন। এর পর অভিযোগকারীরা মোবাইল ফোন আনতে গেলে নানা ধরনের তালবাহানা শুরু করেন। একপর্যায়ে ৩ দিন পর সবাইকে মোবাইল ফোন ফিরে দেয়।
বাইগুনি ও হিয়াপুর এলকার অভিযোগকারী এনামুল, জুই খাতুন, পিয়ার মামুন, তানজিলা, মোছাঃ রেশমা, শরিফুল, সপ্না, সেলিম, বিজলী, মানিকসহ অনেকেই বলেন মোবাইল ফোনগুলো জমা দেয়ার পর থেকে বারবার যোগাযোগ করা হয় রুবেল মেম্বরের সাথে। তিনি আমাদেরকে পাত্তাই দেননি এক পর্যায়ে অন্যান্যদের বলাবলি করতে শুরু করলে ৩ দিন পর মোবাইল ফোন দিয়ে দেয়। এর পর আশে পাশের অন্যান্যদের মোবাইলে যখন এই মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকা আসতে শুরু করে তখন আমরা রুবেল মেম্বরের সাথে আবারো যোগাযোগ করি কিন্তু তিনি নানা ধরনের তালবাহানা শুরু করে। এক পর্যায়ে আমরা মোবাইল ফোন নিয়ে বিভিন্ন কম্পিউটারের দোকানে যাই এসময় তারা বলেন এসব মোবইল থেকে ৯,৬০০ টাকা বের করা হয়েছে। একথা শোনার পর আমরা দিশেহারা হয়ে পরি যে, আমরা টাকা উত্তোলন করলামনা কিন্তু টাকা গেলো কোথা? বিষয়টি নিয়ে আমরা চেয়াম্যানকে অবগত করেছি কিন্তু কোন কাজ হয়নি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য রুবেল এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি পরে কথা বলতেছি বলে নানা ধরনের তালবাহানা করেন।
শালমারা ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন বিষয়টি নিয়ে আমি মেম্বরের সাথে কয়েকবার যোগাযোগ করেছি এবং এরকম ঘটনা ঘটিয়ে থাকলে দ্রুত সময়ে এসব ঝামেলা মিটিয়ে ফেলতে বলেছি কিন্তু সে এ বিষয়ে কি করলো তা আর জানিনা। তবে যদি বিষয়টি সমাধান না করে থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া নেয়া হবে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধানের সাথে কথা হলে জানান, এমন ঘটনা ঘটলে তা অবশ্যই খতিয়ে দেখার বিষয়। তবে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে দেখি, ঘটনাটি কি ঘটেছে।