স্টাফ রিপোর্টঃ গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার টেপা পদুমশহর গ্রামের সুফিয়া বেগম(৩০) কে যৌতুকের দাবীতে স্বামী কতৃক নির্যাতন ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায় উপজেলার একই গ্রামের মৃত কালু সরদারের ছেলে দুখু মিয়া ৩৫) এর সাথে গত ১৫ বছর পূর্বে শরিফুল ইসলামের মেয়ে সুফিয়া বেগমের পারিবারিক ভাবে রেজিস্ট্রি কৃত বিবাহ হয়। বিবাহের সময় সুফিয়ার পিতা-মাতা উপঢৌকন হিসাবে সুফিয়াকে ২ ভরি ওজনের স্বর্ণ অলংকার, বিভিন্ন আসবাব পত্র ও নগদ ৩.০০০০০/- টাকা প্রদান করেন। এর পরেও বিবাহের কিছু দিন পর থেকেই প্রায়ই দুখু মিয়া যৌতুকের দাবীতে সুফিয়াকে বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করিয়া আসিতে থাকাকালে দুখু মিয়ার ঔরশে সুফিয়ার গর্ভে দু’টি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে। সন্তানের ভবিষ্যৎ ও সংসারের কথা চিন্তা করে সুফিয়া স্বামীর সকল নির্যাতন সহ্য করিয়া সংসার করিতে থাকে। পরবর্তীতে দুখু মিয়া সুফিয়াকে বাবার বাড়ী থেকে টাকা নিয়ে এনে একটি ট্রাক্টর কিনার জন্য ৫.০০০০০/- টাকা দাবী করে। এতে সুফিয়ার পিতা মাতা মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে পূণরায় ৫.০০০০০/- টাকা দিয়ে দুখু মিয়াকে একটি ট্রাক্টর কিনে দেয়। পরবর্তীতে দুখু মিয়া আবারও আরও একটি ট্রাক্টর কেনার জন্য সুফিয়ার নিকট ৫.০০০০০/- টাকা যৌতুক দাবী করে। যৌতুকের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করিলে সুফিয়া তার স্বামীর বাড়ীতে সাংসারিক কাজ করিতে থাকাকালে গত -১০ /০৭/২০২৩ ইং তারিখে সকালে দুখু মিয়া তার মাতা মুনি বেগমের ইন্ধনে মুনি ও দুূুখু মিয়া দুজনেই মিলে সুফিয়াকে মারপিট করিতে থাকে এতে সুফিয়ার ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আাসে এবং সুফিয়াকে দুখু মিয়াদের হাত থেকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান ৩ দিন চিকিৎসা গ্রহণ করে কিছুটা সু¯’ হয়ে সুফিয়া তার পিতার বাড়ীতে আসিয়া পিতা- মাতা ও আশেপাশের লোকজনের সাথে পরামর্শ করিয়া গত ৫ জুলাই ২০২৩ ইং তারিখে সুফিয়া বেগম বাদী হইয়া সাঘাটা থানায় দূখু মিয়া ও মুনি বেগমকে আসমী করে একটি এজাহার দায়ের করেন।এবিষয়ে সাঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ রাগিব হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান এজাহার পাওয়া গিয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যব¯’া নেওয়া হবে।।
আপনার মতামত লিখুন :