গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার পলশবাড়ী উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের সিফাত প্রধান (১৩) নামের ৮ম শ্রেণীতে পড়া এক কিশোরকে ইউপি সদস্য কর্তৃক শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়েছে। প্রায় ৩ মাসা পূর্বে ভাতিজি সম্পর্ক প্রতিবেশি এক মেয়ের গোসলের ভিডিও গোপনে ধারণ করার অভিযোগ তুলে গত ২৮ মে সোমবার রাত ৮টার দিকে ওই ছাত্রকে বাড়ী থেকে ডেকে পাশর্^বর্তী বাজারের একটি দোকানের ভিতরে প্রায় ৩ ঘন্টা ধরে আটকে রেখে ইউপি সদস্য জোহা মিয়া ও তার সহযোগিরা এ নির্যাতন চালায়। সিফাত বাসুদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র ও উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের পুত্র। তবে এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে পলাশবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ করা করেছে। এঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগে জানাযায়,গত ২৮ মে সোমবার রাত ৮টার দিকে ওই মেয়ের বড় বোন অজুফা বেগম সিফাতকে তার বাড়ী থেকে স্থানীয় বাসুদেবপুর বাজারের সোহাগ বাবুর আই,টি কম্পিউটারের দোকানে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর আজেবাজে কথা বলতে থাকে এবং এক পর্যায়ে দোকানের থাই গ্লাস ও সাটার লাগিয়ে সিফাতের কাছ থেকে গোপনে ভিডিও ধরনের স্বীকারোক্তি আদায়ে নির্যাতন চালানো হয়। কিল,ঘুশি,চরথাপ্পর ও লোহার পাইপ দিয়ে মেরেও স্বীকারোক্তি আদায়ে ব্যর্থ হয়ে নির্যাতনে বিষয়ে কাউকে না জানানোর নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে নির্যাতনে অসুস্থ্য সিফাতকে তার মা নিয়ে আসে।
সিফাত জানান, তার কোন অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন নেই,কথা বলার জন্য শুধু একটি বাটন ফোন আছে তাই এ ধরনের ভিডিও ধারন করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। অহেতুক স্বীকারোক্তি আদায়ে নির্যাতন চালানো হয়।
এ ব্যাপারে পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত করে প্রয়োজনিও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :