Dhaka ০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উত্তরাঞ্চলের হাট-বাজারে বেড়েছে শীতকালীন সবজি দাম কমায় স্বস্তিতে ক্রেতারা

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:২৮:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩
  • ২০৬ Time View

আফতাব হোসেন
উত্তরাঞ্চলের হাটবাজারের শীতকালীন সবজির আমদানী বেড়েছে। এতে করে স্থানীয় হাটবাজারে অস্থির সবজির বাজারে মূল্য কমায় কিছুটা স্বস্তি এসেছে ক্রেতাদের মধ্যে। এদিকে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রিও হচ্ছে।
গাইবান্ধা সদর, সাঘাটা, গোবিন্দগঞ্জ, সাদুল্যাপুর, পলাশবাড়ি, ধাপেরহাটসহ বিভিন্ন হাটবাজারে তথ্য নিয়ে জানা যায়, গত একসপ্তানে সবজির বাজার কেজিতে গড়ে অর্ধেক মূল্য নেমে এসেছে। এছাড়াও রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমিনহাট, নিলফামারী জেলার বিভিন্নহাট বাজারেও সবজির মূল্য কেজিতে অর্ধেক নেমে এসেছে বলে জানা গেছে। তথ্য অনুযায়ী প্রতিকেজি ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬০- ৭০ টাকা । বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা কেজিতে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬০-৭০ টাকা। প্রতিকেজি শীম ও বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১০০ টাকার উপরে । প্রতিকেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪০ টাকা। প্রতিকেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০-৫৫ টাকা। প্রতিকেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬০ টাকা । প্রতিকেজি ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬০ টাকা। লাউ প্রতি পিস সাইজের উপর ভিত্তি করে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দামে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও লাল শাক, পুঁইশাক, পালং শাক, কলমি শাক, লাউ শাক, মূলা শাক, সরিষা শাক, ধনিয়া শাকসহ বিভিন্ন সবজির দাম বেশ কমেছে। এদিকে স্থানীয় পাতাসহ পিঁয়াজ বাজারে আসায় পিয়াজের মূল্যও কমেছে। পিঁঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪-৪৫ টাকা কেজিতে।
গত একসপ্তাহ আগেও এসব শাক-সবজি দ্বিগুণ দামে বিক্রি হতো। সাঘাটা উপজেলার সবিজ ক্রেতা আবু তাহের জানান নি¤œ মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য সবজি হাটে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। অনেক দিন পর ইচ্ছেমতো শাক-সবজি কেনা যাচ্ছে।
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার তালুক জামিরা বাজারের খুচরা বিক্রেতা উজ্জ্বল কুমার জানান, গত একসপ্তারের ব্যবধানে সব ধরণের সবজি দাম প্রায় অর্ধেক কমেছে।
এদিকে সাঘাটা উপজেলার দিঘল কান্দি চরের সবজি চাষী বারেক আলী সরকার জানান, লাভের আশায় আগাম সবজি করেছিলাম কিন্তু কয়েক দফা বৃষ্টিতে তা বিলম্ব হয়েছে একারণে কা্িঙ্খত মূল্যে সবজি বিক্রি করতে পারছিনা।
গাইবান্ধার পুরাতন বাজারের ব্যবসায়ী মকুল মিয়া জানান, বাজারে সবজির মূল্য কমে যাওয়ায় ক্রেতারা এখন ব্যাগ ভরে সবজি ক্রয় করতে পারছে এবং ব্যবসায়ীরা কম পুজিতে ব্যবসা করতে পারছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

উত্তরাঞ্চলের হাট-বাজারে বেড়েছে শীতকালীন সবজি দাম কমায় স্বস্তিতে ক্রেতারা

Update Time : ১২:২৮:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩

আফতাব হোসেন
উত্তরাঞ্চলের হাটবাজারের শীতকালীন সবজির আমদানী বেড়েছে। এতে করে স্থানীয় হাটবাজারে অস্থির সবজির বাজারে মূল্য কমায় কিছুটা স্বস্তি এসেছে ক্রেতাদের মধ্যে। এদিকে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রিও হচ্ছে।
গাইবান্ধা সদর, সাঘাটা, গোবিন্দগঞ্জ, সাদুল্যাপুর, পলাশবাড়ি, ধাপেরহাটসহ বিভিন্ন হাটবাজারে তথ্য নিয়ে জানা যায়, গত একসপ্তানে সবজির বাজার কেজিতে গড়ে অর্ধেক মূল্য নেমে এসেছে। এছাড়াও রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমিনহাট, নিলফামারী জেলার বিভিন্নহাট বাজারেও সবজির মূল্য কেজিতে অর্ধেক নেমে এসেছে বলে জানা গেছে। তথ্য অনুযায়ী প্রতিকেজি ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬০- ৭০ টাকা । বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা কেজিতে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬০-৭০ টাকা। প্রতিকেজি শীম ও বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১০০ টাকার উপরে । প্রতিকেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪০ টাকা। প্রতিকেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০-৫৫ টাকা। প্রতিকেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬০ টাকা । প্রতিকেজি ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬০ টাকা। লাউ প্রতি পিস সাইজের উপর ভিত্তি করে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দামে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও লাল শাক, পুঁইশাক, পালং শাক, কলমি শাক, লাউ শাক, মূলা শাক, সরিষা শাক, ধনিয়া শাকসহ বিভিন্ন সবজির দাম বেশ কমেছে। এদিকে স্থানীয় পাতাসহ পিঁয়াজ বাজারে আসায় পিয়াজের মূল্যও কমেছে। পিঁঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪-৪৫ টাকা কেজিতে।
গত একসপ্তাহ আগেও এসব শাক-সবজি দ্বিগুণ দামে বিক্রি হতো। সাঘাটা উপজেলার সবিজ ক্রেতা আবু তাহের জানান নি¤œ মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য সবজি হাটে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। অনেক দিন পর ইচ্ছেমতো শাক-সবজি কেনা যাচ্ছে।
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার তালুক জামিরা বাজারের খুচরা বিক্রেতা উজ্জ্বল কুমার জানান, গত একসপ্তারের ব্যবধানে সব ধরণের সবজি দাম প্রায় অর্ধেক কমেছে।
এদিকে সাঘাটা উপজেলার দিঘল কান্দি চরের সবজি চাষী বারেক আলী সরকার জানান, লাভের আশায় আগাম সবজি করেছিলাম কিন্তু কয়েক দফা বৃষ্টিতে তা বিলম্ব হয়েছে একারণে কা্িঙ্খত মূল্যে সবজি বিক্রি করতে পারছিনা।
গাইবান্ধার পুরাতন বাজারের ব্যবসায়ী মকুল মিয়া জানান, বাজারে সবজির মূল্য কমে যাওয়ায় ক্রেতারা এখন ব্যাগ ভরে সবজি ক্রয় করতে পারছে এবং ব্যবসায়ীরা কম পুজিতে ব্যবসা করতে পারছে।