
আফতাব হোসেন:
১৫ অক্টোবর বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস। প্রতিবছর এই দিনটি সরকারি-বেসরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের মধ্যে দিয়ে সারা পৃথিবীর মানুষ এই দিবসটি পালন করে। তবে, এই দিবস কয়েক বছর আগে থেকে অর্থাৎ ২০০৮ সাল থেকে পালন করা শুরু করেছে। তবে, ২০১৯ সালে মহামারী কোভিড সংক্রমণের কারণেই হয়তো এই দিনটির গুরুত্ব আরো বেড়েছে।
জাতিসংঘের অধিবেশনে বহু রাষ্ট্র প্রধান, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে নীতি নির্ধারক, বিজ্ঞানী এবং চিকিৎসকরা এই দিনটি পালনের প্রস্তাব দেন। খুব কঠিন সংক্রমণের সময়ে এই অভ্যাস যে জীবন বাঁচাতে বিশাল কাজে আসতে পারে , সেটি সম্পর্কে সকলকে অবগত করার জন্যই এই দিনটি পালন করার প্রস্তাব আরো বেশি জোড়ালো হয়ে ওঠে। প্রথম দিকে শিশুদের নিয়ে বিভিন্ন স্কুলে শিশুদের এই বিষয়টি শেখানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে, হাত ধোয়া দিবস যে যে কত বড় পদক্ষেপ ছিল, তা টের পাওয়া যায় ২০২০ সালে এসে। সেই সময়ে করোনার ব্যাপকতায় সংক্রমন ও মৃত্যু থেকে বাঁচতে হাত ধোয়ার অভ্যাসই হয়ে উঠে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক অস্ত্র।
২০২৪ সালের প্রতিপাদ গ্রহণ করা হয় ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পরিস্কার হাত সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ’। দিবসটি পালন উপলক্ষে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, বেসরকারি সংস্থা যৌথভাবে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে হাত ধোয়ার অভ্যাগ গড়ে তুলতে সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বিশ্ব হাত ধোয়া দিবসে মূলত: পাঁচটি প্রধান ধাপে হাত ধোয়ার কথা ও নির্দেশনা বিষয়ে বলা হয়। প্রথমে পরিষ্কার পানিতে হাত ভিজিয়েনিতে হবে। তারপর হাতের পিঠ, তালু ও আঙুলে পরিমাণমতো সাবান ঘষে নিতে হবে। তারপর অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ঘষে নিতে হবে। হাতে কোনো আংটি বা অন্যান্য গয়না থাকলে তার ওপর-নিচ ভালো করে ঘষে নিতে হবে। দুই হাত একে অপরের সঙ্গে ভালো করে ঘষতে হবে এবং এরপর পরিষ্কার পানিতে হাত ধুয়ে নিতে হবে। হাত ধোয়া শেষ হলে তা শুকনা কাপড় বা টিস্যু দিয়ে ভালো করে মুছে নিতে হবে।