Dhaka ০৮:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
গাইবান্ধা শহরের উদয়ন প্রিন্টিং প্রেসের পাশের্^ রান্নার চুলা বসানোকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে মারপিট ঃ আহত ২ সাঘাটায় আওয়ামীলীগ কার্যালয় গুড়িয়ে দিয়ছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা সাদুল্লাপুরে ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিলের ফলাফল অনিয়মের অভিযোগ স্বদেশের প্রয়োজনে বাঁচি তারুণ্যউত্থানে গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের প্রীতি সম্মিলনে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রত্যয় সাংবাদিকদের পলাশবাড়ীতে বাঁশের সাঁকোতে ঝুঁকি নিয়ে ৫ গ্রামবাসীর নদী পারাপার শহীদ আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদ্বোধন পলাশবাড়ীতে ইটভাটা শ্রমিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার সাঘাটায় যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক আ’লীগ নেতা কারাগারে শিক্ষার মানোন্নয়নে কমিউনিটি অ্যাকশন সভা অনুষ্ঠিত এক বছরে ১০৪ টি বন্যপ্রাণী মারা গেছে

স্বৈরাচারের দোসর ভূমিদস্যু সুইট ও সহযোগীদের শাস্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:০৪:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৭৭ Time View

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভূমিদস্যু স্বৈরাচারের দোসর আওয়ামী লীগ নেতা, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন সুইট ও তার সন্ত্রাসী সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গাইবান্ধায় ঘন্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করেছে বিক্ষুব্ধ জনগণ।
সোমবার দুপুরে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন করেন সাঘাটা উপজেলার বিক্ষুব্ধ জনগণ। এসময় অভিযুক্ত ওই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মোশারফ হোসেন সুইট ও তার ছোট ভাই সুজাউদ্দৌলা সুজা এবং সহযোগীদের শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়া হয়।
সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন, সাঘাটা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির, মুক্তিনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আরশাদ আজিজ রোকন, অবসরপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্য আলমগীর হোসেন, ইউপি সদস্য গোলাম ব্যাপারি, সাবেক ইউপি সদস্য সফর আলী, জাহিদ হোসেন, জুয়েল রানা, সোহাগ মিয়াসহ অনেকেই।
বক্তরা বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সন্ত্রাসী দিয়ে ঢাকা ও গাইবান্ধায় ছাত্রদের ওপর হামলায় জড়িত ছিলেন সাঘাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন সুইট ও ভাই সুজাউদদৌলা সুজাসহ তার পালিত সন্ত্রাসীরা। গণ অভ্যুত্থানের পর তারা পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওপর হামলা করে এতে নিজেদের হামলার নিহত হয় তাদের দুই ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী। পরে এ হত্যাকান্ড ভিন্নভাবে প্রবাহিত করতে সেনা সদস্য ও স্থানীয় জামায়াত বিএনপির নেতাকর্মীকে আসামী করে মামলা করেন।
বক্তারা আরও বলেন, সুইট-সুজা নিজেদের অবৈধ সমপদ রক্ষা ও নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে কখনো জাতীয় পার্টি আবার কখনও সময়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হন। প্রায় দুইশ সদস্যের সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে। তাদের অত্যাচারে পুরো উপজেলাবাসী অতিষ্ঠ। সাবেক ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাঘাটা-ফুলছড়ির সাবেক সাংসদ মাহমুদ হাসান রিপনকে তারা ক্ষমতার প্রধান উৎস হিসেবে ব্যবহার করতেন। সমপ্রতি আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর দেশ থেকে দলটির নেতাকর্মীরা প্রায় বিলুপ্ত হলেও সাঘাটার ওদের দাপট বিন্দুমাত্র কমেনি সুইটের। শুধু তাই নয়, যমুনা নদী বেষ্টিত ২০টি চর দখল করে প্রতিদিন অবৈধভাবে প্রায় ১০ লাখ টাকার বালি উত্তোলন করে প্রকাশ্যে বিক্রি করছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ নির্বিকার। তার ভয়ে সাধারণ জনগণ কেউ কোনো প্রতিবাদ করতে পারেন না। মানববন্ধন শেষে মোশাররফ হোসেন সুইট ও তার ভাই সুজাউদ্দৌলা সুজা এবং সন্ত্রাসী বাহিনীকে অবিলম্বে গ্রেফতার, দৃষ্টান্তমূলক বিচারের জন্য গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক, সেনা বাহিনী ও প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

গাইবান্ধা শহরের উদয়ন প্রিন্টিং প্রেসের পাশের্^ রান্নার চুলা বসানোকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে মারপিট ঃ আহত ২

স্বৈরাচারের দোসর ভূমিদস্যু সুইট ও সহযোগীদের শাস্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ

Update Time : ০৪:০৪:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভূমিদস্যু স্বৈরাচারের দোসর আওয়ামী লীগ নেতা, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন সুইট ও তার সন্ত্রাসী সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গাইবান্ধায় ঘন্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করেছে বিক্ষুব্ধ জনগণ।
সোমবার দুপুরে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন করেন সাঘাটা উপজেলার বিক্ষুব্ধ জনগণ। এসময় অভিযুক্ত ওই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মোশারফ হোসেন সুইট ও তার ছোট ভাই সুজাউদ্দৌলা সুজা এবং সহযোগীদের শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়া হয়।
সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন, সাঘাটা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির, মুক্তিনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আরশাদ আজিজ রোকন, অবসরপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্য আলমগীর হোসেন, ইউপি সদস্য গোলাম ব্যাপারি, সাবেক ইউপি সদস্য সফর আলী, জাহিদ হোসেন, জুয়েল রানা, সোহাগ মিয়াসহ অনেকেই।
বক্তরা বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সন্ত্রাসী দিয়ে ঢাকা ও গাইবান্ধায় ছাত্রদের ওপর হামলায় জড়িত ছিলেন সাঘাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন সুইট ও ভাই সুজাউদদৌলা সুজাসহ তার পালিত সন্ত্রাসীরা। গণ অভ্যুত্থানের পর তারা পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওপর হামলা করে এতে নিজেদের হামলার নিহত হয় তাদের দুই ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী। পরে এ হত্যাকান্ড ভিন্নভাবে প্রবাহিত করতে সেনা সদস্য ও স্থানীয় জামায়াত বিএনপির নেতাকর্মীকে আসামী করে মামলা করেন।
বক্তারা আরও বলেন, সুইট-সুজা নিজেদের অবৈধ সমপদ রক্ষা ও নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে কখনো জাতীয় পার্টি আবার কখনও সময়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হন। প্রায় দুইশ সদস্যের সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে। তাদের অত্যাচারে পুরো উপজেলাবাসী অতিষ্ঠ। সাবেক ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাঘাটা-ফুলছড়ির সাবেক সাংসদ মাহমুদ হাসান রিপনকে তারা ক্ষমতার প্রধান উৎস হিসেবে ব্যবহার করতেন। সমপ্রতি আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর দেশ থেকে দলটির নেতাকর্মীরা প্রায় বিলুপ্ত হলেও সাঘাটার ওদের দাপট বিন্দুমাত্র কমেনি সুইটের। শুধু তাই নয়, যমুনা নদী বেষ্টিত ২০টি চর দখল করে প্রতিদিন অবৈধভাবে প্রায় ১০ লাখ টাকার বালি উত্তোলন করে প্রকাশ্যে বিক্রি করছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ নির্বিকার। তার ভয়ে সাধারণ জনগণ কেউ কোনো প্রতিবাদ করতে পারেন না। মানববন্ধন শেষে মোশাররফ হোসেন সুইট ও তার ভাই সুজাউদ্দৌলা সুজা এবং সন্ত্রাসী বাহিনীকে অবিলম্বে গ্রেফতার, দৃষ্টান্তমূলক বিচারের জন্য গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক, সেনা বাহিনী ও প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।