
স্টাফ রিপোর্ট ঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তার শাখা নদীর উপর স্বেচ্ছাশ্রমে কাঠের সাঁকো নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। দুই পাড়ের মানুষের দীর্ঘদিনের যোগাযোগ সমস্যার সমাধান হবে এ উদ্যোগের মাধ্যমে। স্থানীয়দের আর্থিক সহযোগিতা ও শ্রমেই নির্মিত হচ্ছে কাঠের এই সাঁকো।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের জিগাবাড়ী খেয়াঘাটে স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণের উদ্বোধন করা হয়। সাঁকো নির্মাণ কাজের উদ্বোধন উপলক্ষে বেলকা ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিলুল্যাহ’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজির হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা জামায়াতের আমির শহিদুল ইসলাম সরকার মঞ্জু।অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বেলকা ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, বেলকা ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি একেএম নাজমুল হুদা, সেক্রেটারি ওহেদুজ্জামান মিয়া, ইউপি সদস্য রেজাউল আলম, জবেদ আলী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আজহার আলী, মাওঃ আতাউর রহমান, মাওঃ আব্দুল আজিজ, আবু ইউসুফ, বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম, ব্যবসায়ী আইয়ুব আলী, মফিদুল ইসলাম প্রমূখ।তিস্তার শাখা নদী জিগাবাড়ী ঘাটে নির্মিত সাঁকোটি প্রায় ১৭০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৮ মিটার প্রস্থের হবে। নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫- ৬ লক্ষ টাকা, যা পুরোপুরি স্থানীয়দের অর্থায়নেই সম্পন্ন হচ্ছে। স্থানীয়রা আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি স্বেচ্ছাশ্রমেও অংশ নিচ্ছেন। এই সাঁকো নির্মাণ হলে চরাঞ্চলের মানুষের সাথে উপজেলা শহরের সংযোগ স্থাপন হবে। এছাড়াও কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপিত হবে। ফলে শিক্ষার্থী, কৃষক ও ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবে। দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় নদী পারাপারের একমাত্র মাধ্যম ছিল খেয়া নৌকা, যা বর্ষাকালে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠত। বেলকা ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে যোগাযোগ সমস্যায় ভুগছেন। বর্ষাকালে নৌকা ছাড়া নদী পারাপারের কোনো উপায় ছিল না। এই কাঠের সাঁকো নির্মাণ হলে দুই পাড়ের মানুষের যাতায়াত সহজ হবে, শিক্ষার্থীদের কষ্ট কমবে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যও সম্প্রসারিত হবে। ইউএনও নাজির হোসেন বলেন, ‘জনগণের স্বেচ্ছাশ্রমে এমন মহৎ উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। এটি স্থানীয় উন্নয়নের একটি অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।