
সুন্দরগঞ্জ সংবাদদাতাঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলচ্ছে ধোপাডাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের চার তলা ভবনের নির্মাণ কাজ। ভবন নির্মাণের কাজের মেয়াদ ২ বছর হলেও তা ৬ বছরেও শেষ হয়নি। কাজ সম্পূন্ন না হওয়ায় বিভিন্ন জঠিলতায় পরেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
গত মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার ধোপাডাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে শিক্ষার্থীদের মাঝে দেখা দিয়েছে বিরূপ পুতিক্রিয়া। বিদ্যালয়ের ভবনের কাজ দ্রুত সম্পূন্ন করার দাবীতে ক্লাস রুম থেকে বিদ্যালয় চত্বরে শিক্ষার্থীদের সমবেত হতে দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের দাবী বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ ঠিকাদারের গাফিলতি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অবহেলায় থেমে থেমে কাজ করায় বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে তারা। তাদের দাবী বিদ্যালয়ের কাজ দ্রুত সম্পূন্ন করে হস্তান্তর করতে হবে। দীর্ঘদিন ভবনের নির্মাণ কাজ চলায় খাবার পানি ও টয়লেট ব্যবহারের জন্য যেতে বিদ্যালয়ের পাশে বসতবাড়ীতে। এতে করে বিভিন্ন সমস্যা মুখে পরতে হচ্ছে বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের।
বিদ্যালয় সূত্রে জানাযায়, নির্বাচিত বে-সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহের উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসের ৬ তারিখে বিদ্যালয়ের ৪ তলা ভবনের নির্মাণ কাজে ২ কোটি ৩৮ লক্ষ ৮৬ হাজার ৫৫৩ টাকায় টেন্ডার অনুমোদিত হয়। টেন্ডার পেয়ে ভবনটি নির্মাণ কাজ ১২/০৫/২০১৯ ইং তারিখে শুরু করেন মেসার্স এস আই এন্টার প্রাইজ নামক ঠিকাদারি পুতিষ্ঠান। ভবনটির কাজ শুরু থেকে ১৮ মাসে কাজ সমাপ্তির উল্লেখ থাকলেও তা আজও সমাপ্তি হয়নি। ভবনটির এখনো ২০ শতাংশ কাজ বাকী রয়েছে। ভবনের কাজটি গাইবান্ধা জেলা শিক্ষা প্রকৌশলী বিভাগের তত্ত্বাবধায়ে চলমান রয়েছে।
এবিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ শিরিন আক্তার শিল্পী জানান, বিদ্যালয়ের ভবনের কাজে ত্রুটি পেলে টিকাদার কে ত্রুটি সংশোধনের কথা বললে ঠিকাদার ভবনের কাজ বন্ধ করে রেখে সময় বিলম্ব করে আসতেছে। বিলম্বের বিষয়ে বিভিন্ন সময় নির্বাহী প্রকৌশলী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর গাইবান্ধা জেলায় পরিদর্শনের জন্য অভিযোগ করেছিলাম। অভিযোগ পেয়ে সহকারি প্রকৌশলী ও উপসহকারি প্রকৌশলী ভবনটি পরিদর্শন করেন এবং ত্রুটি সমূহ সংশোধনের জন্য নির্দেশ দেন। কিছুদিন কাজ করে আরাও বন্ধ করে রাখেন। এভাবে ভরনটির ৮০ শতাংশ কাজ সম্পুন্য করেন তবে এখনো কাজ সমাপ্তি হয়নি।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর গাইবান্ধা জেলা সহকারি প্রকৌশলী অমিত কুমার রায় বলেন, বিদ্যালয়ের ৪ তলা ভবনটির কাজ কিছু ত্রুটির কারনে সময় বিলম্ব হয়েছে তবে আর অল্প কিছু কাজ অবশিষ্ট রয়েছে তা এই মাসেই সম্পূন্ন করা হবে।