
গোলজার রহমান, সুন্দরগঞ্জ:
বিশ গ্রামের হাজার হাজার মানুষের পাড়াপাড়ের পথ সুগম করতে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের বিশাল মালভাঙ্গা খালের উপর স্থানীয় চেয়ারম্যানের নিজস্ব উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে একটি ব্রিজ। এতে করে স্থানীয় ও দূর-দূরান্ত থেকে আসা নড়বড়ে কাঠের সেতুর উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাড়াপাড়ের দুর্ভোগ দূর হওয়ার সম্ভাবনায় হাজার হাজার মানুষের চোঁখে মুখে বইছে এখন আনন্দের বন্যা।
স্বাধীনতার পর থেকে বিশাল মালভাঙ্গা খালের উপর দিয়ে দৈনন্দিন নড়বড় কাঠের সেতুটি ছিল পাড়াপাড়রত হাজারো মানুষের একমাত্র ভরসা। এটি ছিলো মানুষের মরণ ফাঁদ রুপ। অহরহ ঘটতো ছোট-বড় দূর্ঘটনা। বিগত ইউপি চেয়ারম্যান ফুল মিয়া খালের উপর গত এক যুগ আগে নির্মাণ করেন ৫৪ ফুট দীর্ঘ কাঠের সেতু। সেতুটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় নড়বড় সেতুটি দিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাজার হাজার নারী পুরষ, শিক্ষার্থীসহ বিশাল চরাঞ্চলের মানুষ প্রতিনিয়ত চলাচল করে আসছে। ইতোমধ্যে ঘটে গেছে অসংখ্য দুর্ঘটনা। স্থানীয়রাসহ ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী মোস্তফা মাসুম উক্ত স্থানে স্থায়ী ব্রীজ নির্মানের জন্য বিভিন্ন মহলে ধরনা দিয়েও সুফল পায়নি। ঐ স্থানে স্থায়ীভাবে ব্রীজ নির্মানের দাবী জনদাবীতে পরিনত হয়। জনদাবীর প্রতি সম্মান দেখিয়ে অবশেষে ব্রিজটি নির্মানের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান ব্যক্তিগত ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সীমিত অর্থ দিয়ে স্থায়ী ভাবে ব্রিজ নির্মাণে হাত দেন তিনি। বর্তমানে নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী মোস্তাফা মাসুম বলেন, মালভাঙ্গা খালের উপর চলমান ব্রিজ নির্মাণ এখন তার স্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৫৪ ফুট দীর্ঘ ৭ ফুট প্রস্থ ব্রীজের জন্য এতে আনুমানিক ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা। ইউনিয়নের আসা বরাদ্দ থেকে কিছু বরাদ্দ কাট সাট করে ও ব্যক্তিগত তহবিল দিয়ে তিনি ব্রিজটি নির্মাণ সম্পন্ন করবেন এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ব্রিজটি নির্মাণ কাজে সকলে তাকে সহযোগিতা করছেন। কয়েক মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে জানান তিনি। এ নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমানের সাথে কথা বললে জানান, বার বার মালভাঙ্গা ব্রিজ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করেও কোন সমাধান পাইনি। ইউপি চেয়ারম্যান নিজস্ব উদ্যোগে ব্রিজটি নির্মাণ করছেন শুনেছি। এটি একটি মহতি উদ্যোগ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজির হোসেন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয় এবং জনকল্যানকর।