
স্টাফ রিপোর্টঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ সংশোধনের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি।
গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এর আগে, বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শাখার আয়োজন একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। পরে উপজেলা পরিষদের সামনে তারা বিক্ষোভ করেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, সরকার নির্ধারিত আধুনিক জিগজাগ প্রযুক্তি ব্যবহার করেও বৈধ ইটভাটাগুলো প্রশাসনিক জটিলতার সম্মুখীন হচ্ছে। ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৩-এর ৮(৩)(১) ও ৮(৩)(খ) ধারায় নির্ধারিত দূরত্বসংক্রান্ত বিধিনিষেধের কারণে অনেক জিগজাগ ইটভাটা ছাড়পত্র ও লাইসেন্স পাচ্ছে না।
ইটভাটা মালিকরা দাবি করেন, পরিবেশ অধিদপ্তর ইতোমধ্যে হাইব্রিড ও টানেল কিলনের ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ এলাকার দূরত্ব ১০০০ মিটার থেকে কমিয়ে ৪০০ মিটার নির্ধারণ করেছে। তাই জিগজাগ ইটভাটার ক্ষেত্রেও এই দূরত্ব ৪০০ মিটার এবং বনাঞ্চলের ক্ষেত্রে ৭০০ মিটার নির্ধারণ করার দাবি জানানো হয়।
এছাড়া স্মারকলিপিতে ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৩ সংশোধন করে লাইসেন্স ও ছাড়পত্র পেতে বর্তমান জটিলতা দূর করার দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি, বৈধ জিগজাগ ইটভাটায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা বন্ধ করা, সরকার যদি কোনো ইটভাটা বন্ধ করে তবে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া, মাটি কাটার অনুমতি পেতে ডিসির প্রত্যয়নপত্রের বাধ্যবাধকতা বাতিল, লাইসেন্স নবায়নে ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির প্রত্যয়নপত্র বাধ্যতামূলক করা, ইটভাটাকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করা ও দীর্ঘমেয়াদী পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়নের দাবিও তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘যদি আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না করা হয়, তবে আগামী ১১ মার্চ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পুনরায় স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। এছাড়া, ঈদের পর ঢাকায় মহাসমাবেশ ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রার কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’