
সুন্দরগঞ্জ সংবাদাতাঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনজল গ্রামে আদালতের আদেশ অমান্য করে অবৈধভাবে জমি দখল করে অবকাঠামো নির্মাণের অভিযোগ পাওযা গেছে।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের জাহেদ আলী দিং এর নিকট হতে ১৯৯৩ সালে ১০৭ শতক জমির মধ্যে হতে ৪৪২০ নং কবলা দলিলমূলে ৩৩ শতক এবং ১৯৯৮ সালে ৮৯১ নং কবলা দলিলমূলে ৩৬ শতক জমি ক্রয় করেন আবুল কাশেম সরকার। দীর্ঘদিন ভোগ দখলের পর ২০২৩ সালে আবুল কাশেম ১৩৮০৮ নং হেবার ঘোষণামূলে ৩৬ শতক জমি তার দুই সন্তান রেজওয়ানুল কবির রিজু ও রেজাউল করিম রেজার নামে দলিল করে দেয়। সম্প্রতি সাখাওয়াত হোসেন গং ওই জমি অবৈধভাবে দখল করে অবকাঠামো নির্মাণ করছেন মর্মে অভিযোগ করেছেন রেজয়ানুল কবির রিজু।
অভিযোগ কারি রেজওয়ানুল কবির রিজু বলেন ওই জমির বিপরীতে আদালতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যার মামলা নং ২৫/২৪। প্রতিপক্ষগণ অন্যায়ভাবে জমি দখল করে অবকাঠামো নির্মাণ করছেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন অবগত রয়েছেন। তিনি এর প্রতিকার ছেয়েছেন।
প্রতিপক্ষ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, অভিযোগ কারির পিতা আবুল কাশেম সরকার দিক উল্লেখ করে জমি ক্রয় করেননি। জমির মূল মালিকের ওয়ারিশগণের নিকট হতে দিক উল্লেখ করে বাকী জমি ক্রয় করে সেখানে অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। অবৈধভাবে জমি দখল করার অভিযোগটি মিথ্যা। আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা নিস্পত্তি হয়েছে।
স্থানীয় গোপালচরণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তাফিজার রহমান বকুল বলেন, মূল মালিকের সমস্ত জমি আবুল কাশেম সরকার ক্রয় করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তার দলিলে কোন দিক উল্লেখ নাই। সে কারণে সাখাওয়াত গোসেন মূল মালিকের ওয়ারিশগণের নিকট দিক উল্লেখ পূর্বক দলিল করে নিয়ে সেখানে অবকাঠামো নির্মাণ করছেন। স্থানীয় ভাবে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করা হয়েছিল।
থানার ওসি মো. আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, বিষয়টি তিনি জানেন।