Dhaka ০৯:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
গাইবান্ধা শহরের উদয়ন প্রিন্টিং প্রেসের পাশের্^ রান্নার চুলা বসানোকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে মারপিট ঃ আহত ২ সাঘাটায় আওয়ামীলীগ কার্যালয় গুড়িয়ে দিয়ছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা সাদুল্লাপুরে ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিলের ফলাফল অনিয়মের অভিযোগ স্বদেশের প্রয়োজনে বাঁচি তারুণ্যউত্থানে গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের প্রীতি সম্মিলনে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রত্যয় সাংবাদিকদের পলাশবাড়ীতে বাঁশের সাঁকোতে ঝুঁকি নিয়ে ৫ গ্রামবাসীর নদী পারাপার শহীদ আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদ্বোধন পলাশবাড়ীতে ইটভাটা শ্রমিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার সাঘাটায় যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক আ’লীগ নেতা কারাগারে শিক্ষার মানোন্নয়নে কমিউনিটি অ্যাকশন সভা অনুষ্ঠিত এক বছরে ১০৪ টি বন্যপ্রাণী মারা গেছে

সাদুল্লাপুর উপজেলায় এক যুগ ধরে শিকলবন্দী জীবন আবু সাঈদের

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৩৯:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১৬ Time View

তোফায়েল হোসেন জাকির ঃ ছিন্নমূল পরিবারের যুবক আবু সাঈদ (৩০)। শৈশবে নানা কষ্টে বেড়ে ওঠেছেন। কৈশরে হাল ধরেছিলেন বাবার সংসারে। এরই মধ্যে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। তাকে সুস্থ করার চেষ্টায় টাকার অভাবে বন্ধ হয়েছে চিকিৎসাসেবা। ফলে ১২ বছর ধরে শিকলবন্দী জীবন কাটছে আবু সাঈদের। আর এই ছেলেকে শিকলমুক্ত করতে আকুতি জানিয়েছে স্বজনরা।
সম্প্রতি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের জামুডাঙ্গা (বাঁধের মাথা) গ্রামে দেখা গেছে আবু সাঈদকে শিকলে বেঁধে রাখার দৃশ্য। দুই পায়ে আবদ্ধ শিকলে বসে-শুয়ে থাকছেন এক যুগ ধরে।
জামুডাঙ্গা (বাঁধের মাথা) গ্রামের দিনমজুর আকবর আলী ও আমেনা বেগম দম্পতির ছেলে আবু সাঈদ।
স্বজনরা জানায়, প্রায় ১৬ বছর আগে সংসারের নানা অভাব-অনটনের কারণে ঢাকা গিয়ে একটি গার্মেন্টসে চাকরি করছিলেন। এরপর হাসি ফুটছিল বাবা-মায়ের মুখে। কিন্তু এক বছর যেতে না যেতেই সেই হাসি যেন ম্লান হয়ে যায় তাদের। চাকরি করা অবস্থায় আবু সাঈদ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। এরপর তাকে বাড়িতে এনে স্থানীয় কবিরাজ দ্বারা চিকিৎসাসেবা নেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে এই চিকিৎসার ব্যয়ে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে পরিবারটি। টাকার অভাবে উন্নত চিকিৎসা করাতে না পেরে অবশেষে দুই পায়ে শিকল বেঁধে আবু সাঈদকে নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে। দরিদ্র বৃদ্ধ বাবা-মা তাদের সাধ্যমতো চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু তাদের পক্ষে আর চিকিৎসার ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আবু সাঈদের এখন জায়গা হয়েছে ঘর আর আঙিনায়।
সাদুল্লাপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র রায় বলেন, আবু সাঈদ যদি সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাকে চিকিৎসা ব্যয়ে সহযোগীতা করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

kartick kartick

Popular Post

গাইবান্ধা শহরের উদয়ন প্রিন্টিং প্রেসের পাশের্^ রান্নার চুলা বসানোকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে মারপিট ঃ আহত ২

সাদুল্লাপুর উপজেলায় এক যুগ ধরে শিকলবন্দী জীবন আবু সাঈদের

Update Time : ০৮:৩৯:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

তোফায়েল হোসেন জাকির ঃ ছিন্নমূল পরিবারের যুবক আবু সাঈদ (৩০)। শৈশবে নানা কষ্টে বেড়ে ওঠেছেন। কৈশরে হাল ধরেছিলেন বাবার সংসারে। এরই মধ্যে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। তাকে সুস্থ করার চেষ্টায় টাকার অভাবে বন্ধ হয়েছে চিকিৎসাসেবা। ফলে ১২ বছর ধরে শিকলবন্দী জীবন কাটছে আবু সাঈদের। আর এই ছেলেকে শিকলমুক্ত করতে আকুতি জানিয়েছে স্বজনরা।
সম্প্রতি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের জামুডাঙ্গা (বাঁধের মাথা) গ্রামে দেখা গেছে আবু সাঈদকে শিকলে বেঁধে রাখার দৃশ্য। দুই পায়ে আবদ্ধ শিকলে বসে-শুয়ে থাকছেন এক যুগ ধরে।
জামুডাঙ্গা (বাঁধের মাথা) গ্রামের দিনমজুর আকবর আলী ও আমেনা বেগম দম্পতির ছেলে আবু সাঈদ।
স্বজনরা জানায়, প্রায় ১৬ বছর আগে সংসারের নানা অভাব-অনটনের কারণে ঢাকা গিয়ে একটি গার্মেন্টসে চাকরি করছিলেন। এরপর হাসি ফুটছিল বাবা-মায়ের মুখে। কিন্তু এক বছর যেতে না যেতেই সেই হাসি যেন ম্লান হয়ে যায় তাদের। চাকরি করা অবস্থায় আবু সাঈদ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। এরপর তাকে বাড়িতে এনে স্থানীয় কবিরাজ দ্বারা চিকিৎসাসেবা নেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে এই চিকিৎসার ব্যয়ে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে পরিবারটি। টাকার অভাবে উন্নত চিকিৎসা করাতে না পেরে অবশেষে দুই পায়ে শিকল বেঁধে আবু সাঈদকে নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে। দরিদ্র বৃদ্ধ বাবা-মা তাদের সাধ্যমতো চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু তাদের পক্ষে আর চিকিৎসার ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আবু সাঈদের এখন জায়গা হয়েছে ঘর আর আঙিনায়।
সাদুল্লাপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র রায় বলেন, আবু সাঈদ যদি সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাকে চিকিৎসা ব্যয়ে সহযোগীতা করা হবে।