
সাদুল্লাপুর সংবাদদাতাঃ গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার রফিকুল ইসলাম নামের এক কৃষকের সেচ পাম্প রহস্যজনক চুরির অভিযোগ ওঠেছে। এর ফলে ১১৩ জন কৃষকের প্রায় ৭০ বিঘা জমির বোরো চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। এতে করে চরম দুশ্চিন্তায় ভুগছেন প্রান্তিক কৃষকরা। শনিবার দুপুরে উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের যোগীবাড়ী এলাকার মাঠে গিয়ে দেখা গেছে- বোরো চাষিদের আহাজারির দৃশ্য। সেখানে কেউ কেউ করেছেন ধানচারা রোপণ আবার কেউবা সেচের অভাবে চারা রোপণ করতে পারছেন না। এ নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় আছেন এই মাঠের কৃষকরা।
স্থানীয় বলছেন, যোগীবাড়ী গ্রামের মৃত মোন্তাজ আলী ওরফে মমতাজের ছেলে রফিকুল, রশিদ, শফিকুল, সাদেকুল, ও আতিকুর রহমানদের সঙ্গে চকনলেয়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে শরিফুল ইসলাম ও যোগীবাড়ী গ্রামের হামেদ আলীর ছেলে আতাউর রহমান এবং রজনু মিয়াসহ আরও অনেকের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো। এরই একপার্যায়ে গত ২৯ জানুয়ারি সকাল ১০ টার দিকে রফিকুলসহ তার ভাইয়েরা নিজ জমিতে বোরো সেচ নিতে যায়। এসময় প্রতিপক্ষ আতাউর, মুহাম্মদ, রুমান ও শরিফুল, নাজমুলসহ প্রায় ১২-১৫ জনের একটি দল লাঠিসোডা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে। এতে রফিকুল ইসলামের পক্ষের নারীসহ বেশ কয়েকজনকে কুপিয়ে যখম করা হয়। একইসঙ্গে রোপণকৃত ধানচারা উপড়ে নষ্ট করাসহ রফিকুলের সেচ পাম্প চুরি করেছে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।
এ বিষয়ে কৃষক বাবু মিয়া ও মনজু মিয়া বলেন, আমরা রফিকুলের সেচযন্ত্র থেকে পানি নিয়ে বোরো ধান আবাদ করে থাকি। এ বছর তার মেশিনটি চুরির ঘটনায় জমিতে সেচের অভাবে রোপণ করতে পারছি না। এ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় আছি। ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলামসহ তার ভাইয়েরা জানান, প্রতিপক্ষ আতাউর রহমানেরা পুর্ব শত্রুতার জেরে আমাদের উপর হামলা করাসহ সেচ পাম্প চুরি করেছে। এছাড়া আমাদের প্রাণনাশে হুমকি অব্যাহত রাখছেন তারা। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আতাউর রহমানদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি। তবে সাদুল্লাপুর থানাধীন ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর এএসআই ইয়াকুব আলী বলেন, যোগীবাড়ী গ্রামের রফিকুল ইসলাম ও আতাউর রহমানদের মারামারির ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে। এছাড়া বিরোধটি সমাধানের জন্য আগামী শনিবার সালিসে বসবেন স্থানীয়রা ।