
সাদুল্লাপুর সংবাদদাতাঃ গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ছাইফুল ইসলাম (৫২) নামের এক প্রতিবন্ধীর জমি জবরদখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। একইসঙ্গে ছাইফুল ও তার স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেপরোয়া মারধর করাসহ তাদের ছুড়িকাহত করেছে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় গাইবান্ধা আদালতে একটি মামলা হলে বাদী ছাইফুলকে বিভিন্ন সময়ে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে আসামি নুরুল আমিন গংরা।
বুধবার দুপুরের দিকে উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের ইসবপুর-কিশামত অনন্তপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়- সেখানে হামলার শিকার ছাইফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম এবং ছেলে রোমান কাওছারের চোখেমুখে আতঙ্কের দৃশ্য। আসামিদের অব্যাহত হুমকিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে তাদের অভিযোগ।
মামলা সুত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের মৃত খেজের উদ্দিনের ছেলে প্রতিবন্ধী ছাইফুল ইসলাম তার মালিকানা ১৬ শতক জমিতে তামাক আবাদ করেন। এ অবস্থায় সেই জমি জোরপূর্বক দখলের পায়তারা করে আসছিলেন বিমাতা ভাই নুরুল আমিন, মিজানুর রহমান ও রুহুল আমিনসহ অন্যনা ভাতিজারা। এরই একপর্যায়ে গত ৭ ফেব্রয়ারি সকালের দিকে ছাইফুল ইসলামের তামাকের জমিতে হামলা করে ওই প্রতিপক্ষরা। এসময় তামাক ফসল নষ্ট করে ঘর স্থাপনভাবে ১৬ শতক জমি দখলের চেষ্টা করেন হামলাকারীরা। এতে বাঁধা দিতে গিয়ে ওইসব বিমাতা ভাই-ভাতিজারা লাঠি-ছোড়া দিয়ে কোপাতে থাকে। এসময় ছাইফুল ইসলামের কলেজ পড়ুয়া ছেলে রোমান কাওছারকে কুপিয়ে মাথা ফেটে দেয় এবং স্ত্রী রাবেয়া বেগমকে ছুরিকাঘাত করেন। একইসঙ্গে ছাইফুলকেও পিটিয়ে আহত করেছে ওইসব ভূমিদস্যু নুরুল আমিন গংরা। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ছাইফুল ইসলামসহ তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম এবং ছেলে রোমান কাওছারকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে ভুক্তভোগী ছাইফুল ইসলাম বলেন, বিমাতা ভাই-ভাতিজারা আমার মালিকানা জমি জবরদখলের জন্য আমার পরিবারের উপর হামলা করেছে। এতে আমার অপূরণীয় ক্ষতিয়ে হয়েছে। এ ঘটনায় আমলী আদালতে ৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছি। এদিকে এই মামলার পর থেকে আসামিরা আমার পরিবারকে ও স্বাক্ষীদের প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করে আসতেছে। এমন অদ্ভূত পরিস্থিতিতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে চমর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত নুরুল আমিনদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি। সাদুল্লাপুর থানার উপপুলিশ পরিদর্শক হাসনাত বলেন- বাদি ছাইফুল ইসলামের মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। এ সংক্রান্ত কার্যক্রম শেষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।