
সাদুল্লাপুর সংবাদদাতাঃ গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। গত বছর আলুর দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা উৎসাহী হয়ে এবার বেশি জমিতে আলু চাষ করেছিলেন। ফলনও বেশি হবে বলে আশা করেছিলেন। সে অনুযায়ী আলু চাষে বাম্পার ফলনও হয়েছে। তবে আলুর দাম পড়ে যাওয়ায় কৃষকেরা দাম নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। উৎপাদন খরচের তুলনায় আলুর দাম পড়ে যাওয়ায় তারা আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন। সাদুল্লাপুরে ধাপেরহাট বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে পাকরি, ডায়মন্ড, কার্ডিনাল আলু খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে,১৫ টাকা কেজিতে। অথচ কৃষকের আলু চাষে এর চেয়ে খরচ পড়েছে বেশি। নিজ পাড়ার কৃষক আমিনুল বলেন, এবার আমি পাঁচ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। সব মিলিয়ে বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকার মতো। গত বছর একই জমিতে খরচ হয়েছিল ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকার মতো। সার, কীটনাশক ও জমির লিজ মূল্য বেড়ে যাওয়ায় এবং বাজারে আলুর দাম কম থাকায় ক্ষতির আশঙ্কায় আছি। আরেক কৃষক লাজু বলেন, এবার বীজ সংকটের কারণে বেশি দামে বীজ কিনেছি। সারের দামও বেশি। যদিও বাম্পার ফলন হয়েছে তবুও লেট ব্লাইট রোগের কারণে বাড়তি খরচ করতে হয়েছে আমাদের। কীটনাশক ব্যবহারের পরও এই রোগ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, সাদুল্লাপুরে চলতি বছর ২ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে আলুচাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে চাষ হয়েছে, ২ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর জমিতে।
সাদুল্লাপুর উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার মাহাবুবুল আলম বসুনিয়া বলেন, আগের বছরের তুলনায় এবার কৃষক স্বপ্রনোদিতভাবে আলু উৎপাদন করেছে এবং ফলন ও ভাল হয়েছে। কৃষকদের সতর্ক করতে নানাভাবে পরামর্শ দেয়া হয়েছে আর উৎপাদন বাড়লে বাজারে সরবরাহ বেড়ে যায়। ফলে দাম একটু কম থাকবে, এটাই স্বাভাবিক।