
সাঘাটা সংবাদদাতাঃ সাঘাটার গাছাবাড়ি গ্রামের মৃত্যু আজিম উদ্দীনের ছেলে রফিকুল ইসলাম নামের এক চা দোকানী পাশের বাড়ির মজনু মিয়ার স্ত্রী লাকী নামের মহিলার কাছ থেকে সুদে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা নেয়ার সময় কৌশলে ৩ শত টাকার ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর ও তার স্ত্রীর নামের ফাঁকা চেক দিয়ে মহাবিপাকে পড়েছে। ফাঁকা স্ট্যাম্পে জমির বায়না ও ফাঁকা চেকে ৭ লাখ টাকা লিখে রফিকুলের স্ত্রী কবিতা বেগমের নামে আদালতে মামলা করেছে লাকী। জানা যায়, সুদ ব্যবসায়ী লাকী বেগম রফিকুল ইসলামের পড়শী হওয়ায় তার সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা মাসিক সুদে দেয়। কিছুদিন গেলে তাঁকে আরো ৫০ হাজার টাকা দেয়ার কথা বলে সু কৌশলে আবারো রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে ফাঁকা স্ট্যাম্পে সহি নেয় এবং তাঁর স্ত্রীর নামে ব্যাংকের ফাঁকা চেক নেয়।
পরবর্তীতে রফিকুল ইসলামের স্বাক্ষরিত ফাঁকা স্ট্যাম্পে সুদখোর তার ই”েছ মত একমাত্র মাথা গোঁজার ঠাঁই বসতভিটার সোয়া চার শতক জমির উপর ১ লাখ ৪০ হাজারের ¯’লে ছয় লাখ চল্লিশ হাজার টাকা বায়নাপত্র লিখে নেয়। এছাড়াও কৌশলে আবার ফাঁকা চেকে সাত লাখ টাকা লিখে সুদখোর লাকী বেগম। সেই সাথে লাকী বেগম রফিকুলের স্ত্রী কবিতা বেগমের ফাঁকা চেকে সাত লাখ টাকা লিখে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক চেক ডিজ অনার করে আদালতে কবিতার নামে ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখে একটি মামলা দায়ের করে। যার সি আর নং-৩৭/২০২৫ (সাঘাটা)।
সরে-জমিনে গিয়ে জানা যায়, স্থানীয় ইব্রাহিম আলী, জরিমন বেওয়া, মাইদুল ইসলাম, ইন্তাজ আলী, নুরু মিয়া, সেফালী বেগম জানায়, লাকী বেগমের বাড়ি যাওয়ার রাস্তা নেই । রফিকুলের জমিটা নিতে পারলেই আর রাস্তার সমস্যা হবে না। সে কারণেই রফিকুলের বাড়ির ভিটার উপর লাকীর কু-নজর ছিলো। টাকা সুদে লাগানো ছিলো একটা অছিলা মাত্র। তারা আরো জানায়, টাকা নিলো রফিকুল আর মামলা করলো তার স্ত্রীর নামে। সঠিক তদন্ত করলেই প্রকৃত্য রহস্য বেরিয়ে পড়বে। আমরা জানি জমি বেচা বাবদ কোনো টাকা নেয়নি সুদে টাকা নিয়েছিলো রফিকুল।