Dhaka ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাঘাটায় যৌথবাহিনীর অভিযান: ইউপি চেয়ারম্যান সুইটসহ গ্রেফতার ৫, মৃত্যু ২

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:৪৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৩৮ Time View

প্রতিনিধি গাইবান্ধা:
গাইবান্ধার সাঘাটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মোশারফ হোসেন সুইটসহ ৫জনকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। আহতদের মধ্যে সোহরাব হোসেন আপেল ও শফিকুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার ভোররাতে যৌথবাহিনী সাঘাটার গোবিন্দী গ্রামে অভিযান চালিয়ে মোশারফ হোসেন সুইট, সোহরাব হোসেন আপেল, শফিকুল ইসলাম, বাশহাটা গ্রামের সাহাদৎ হোসেন পলাশ ও উত্তর সাথালিয়া গ্রামের রিয়াজুল ইসলাম রকিকে গ্রেফতার করে। এসময় তাদের কাছে অস্ত্র উদ্ধারে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় এবং কয়েকটি দেশীয় ছোরা ও রামদা উদ্ধার করে। সকালে গ্রেফতারকৃতদের সাঘাটা থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে।
এসময় গ্রেফতারকৃতরা অসুস্থ হয়ে পড়লে থানা পুলিশ সকালে সাঘাটা হাসপাতালে ভর্তি করে। তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শফিকুল ইসলাম ও রিয়াজুল ইসলাম পলাশকে বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অন্যদের গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করে। বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান হাসপাতালে শফিকুল ইসলাম ও গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে সুইট চেয়ারম্যানের ভাতিজা সোহরাব হোসেন আপেল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।
নিহত স্বজনদের দাবি গ্রেফতার পর শারীরিক নির্যাতনের ফলে তাদের মৃত্যু হয়েছে। এবিষয়ে তারা আইনের আশ্রয় নিবে বলে জানা গেছে। তবে লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন না হওয়ায় এখনও স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোশারফ হোসেন সুইট জানান, অস্ত্র উদ্ধারের নামে আমার ভাতিজা, বাড়ির কাজের ছেলেসহ আটকদের আমার জিম্মায় দিবে বলে লিখিত নেয়। এরপর কয়েকঘণ্টা চলে অমানুষিক নির্যাতন। নির্যাতনের ফলে ভাতিজা আপেল ও কাজের ছেলে শফিকুলের মৃত্যু হয়েছে।
সাঘাটা থানার ওসি শফিকুল ইসলাম গ্রেফতার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃতরা অসুস্থ হওয়ায় দু’জনকে বগুড়া হাসপাতালে ও চেয়ারম্যানসহ তিনজনকে গাইবান্ধা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মো. মোশারফ হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যৌথবাহিনীর হাতে গ্রেফতারের পর তারা অসুস্থ হয়ে পরে এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.মাহবুব হোসেন জানান, ময়না তদন্তের পর জানা যাবে মৃত্যু প্রকৃত কারণ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সাঘাটায় যৌথবাহিনীর অভিযান: ইউপি চেয়ারম্যান সুইটসহ গ্রেফতার ৫, মৃত্যু ২

Update Time : ১০:৪৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রতিনিধি গাইবান্ধা:
গাইবান্ধার সাঘাটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মোশারফ হোসেন সুইটসহ ৫জনকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। আহতদের মধ্যে সোহরাব হোসেন আপেল ও শফিকুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার ভোররাতে যৌথবাহিনী সাঘাটার গোবিন্দী গ্রামে অভিযান চালিয়ে মোশারফ হোসেন সুইট, সোহরাব হোসেন আপেল, শফিকুল ইসলাম, বাশহাটা গ্রামের সাহাদৎ হোসেন পলাশ ও উত্তর সাথালিয়া গ্রামের রিয়াজুল ইসলাম রকিকে গ্রেফতার করে। এসময় তাদের কাছে অস্ত্র উদ্ধারে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় এবং কয়েকটি দেশীয় ছোরা ও রামদা উদ্ধার করে। সকালে গ্রেফতারকৃতদের সাঘাটা থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে।
এসময় গ্রেফতারকৃতরা অসুস্থ হয়ে পড়লে থানা পুলিশ সকালে সাঘাটা হাসপাতালে ভর্তি করে। তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শফিকুল ইসলাম ও রিয়াজুল ইসলাম পলাশকে বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অন্যদের গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করে। বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান হাসপাতালে শফিকুল ইসলাম ও গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে সুইট চেয়ারম্যানের ভাতিজা সোহরাব হোসেন আপেল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।
নিহত স্বজনদের দাবি গ্রেফতার পর শারীরিক নির্যাতনের ফলে তাদের মৃত্যু হয়েছে। এবিষয়ে তারা আইনের আশ্রয় নিবে বলে জানা গেছে। তবে লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন না হওয়ায় এখনও স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোশারফ হোসেন সুইট জানান, অস্ত্র উদ্ধারের নামে আমার ভাতিজা, বাড়ির কাজের ছেলেসহ আটকদের আমার জিম্মায় দিবে বলে লিখিত নেয়। এরপর কয়েকঘণ্টা চলে অমানুষিক নির্যাতন। নির্যাতনের ফলে ভাতিজা আপেল ও কাজের ছেলে শফিকুলের মৃত্যু হয়েছে।
সাঘাটা থানার ওসি শফিকুল ইসলাম গ্রেফতার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃতরা অসুস্থ হওয়ায় দু’জনকে বগুড়া হাসপাতালে ও চেয়ারম্যানসহ তিনজনকে গাইবান্ধা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মো. মোশারফ হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যৌথবাহিনীর হাতে গ্রেফতারের পর তারা অসুস্থ হয়ে পরে এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.মাহবুব হোসেন জানান, ময়না তদন্তের পর জানা যাবে মৃত্যু প্রকৃত কারণ।