
সাঘাটা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনার পাড়ায় জমি বে-দখলের প্রতিবাদে ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে কামালের পাড়া ইউনিয়নের চাকুলী গ্রামের ভুক্তভোগী হারেছ আলী মোল্লা ।
গত মঙ্গলবার দুপুরে প্রেসক্লাব সাঘাটা অস্থায়ী কার্যালয়ে লিখিত বক্তব্য বলেন, সাঘাটা উপজেলার কামালেরপাড়া ইউনিয়নের চাকুলী গ্রামের জমায়েত উল্ল্যার ছেলে বর্তমান ইউনিয়ন আ’লীগের সহসভাপতি আব্দুর রহিম মুক্তিযোদ্ধার প্রভাব খাটিয়ে আমার পিতার পৈতৃক সম্পত্তির প্রায় ২৬ শতাংশ জমি জোরপূর্বক বে- দখলের উদ্দেশ্যে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হত্যার হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় সাঘাটা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। চলতি মাসের ২২ তারিখে ভূমিদস্যু আব্দুর রহিম, তার ছেলে সুলতান মাহমুদ, তার ভাই নজরুল ইসলাম ও তার ভাতিজা রেজওয়ানসহ আরও ১০-১২ জনের একটি দল লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমার ভোগ দখলীয় জমির আইল কেটে তারা তাদের নিজ দখলে নেয়। আমি বর্তমানে আমার নিজ পৈত্রিক জমিতে যেতে পারছি না, এমনকি আমার বাড়িতে ও থাকতে পারছি না, তারা অনবরত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান। আমি ছাড়াও আরো ভুক্তভোগী রয়েছেন ভুক্তভোগীরা হলেন, নজরুল ইসলাম, সাহেব আলী, তালেব আলী, আবু রায়হান। মুক্তিযোদ্ধার নাম ভাঙ্গিয়ে সে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত, আমি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বলতে চাই সে তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারী হয়ে নামে বে -নামে অনেক সম্পদের মালিক হয়েছেন। তাও আবার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে, এছাড়া মহিমাগঞ্জে বিশাল জায়গায় ৫ তলা ভবন রয়েছে, সে কিভাবে এত সম্পদের মালিক হলেন খতিয়ে দেখার জন্য দুদকের দৃষ্টি কামনা করেন তিনি। এবং আদৌও সে সঠিক মুক্তিযোদ্ধা কিনা সেটাও খতিয়ে দেখার জন্য মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সুদৃষ্টি কামনা করেন।