
আফতাব হোসেন:
গাইবান্ধা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক গাইবান্ধা ও দৈনিক সন্ধান এর সম্পাদক, দৈনিক ইত্তেফাক এর সাবেক জেলা প্রতিনিধি, সাতভাই চম্পা ও গাইবান্ধা সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক, খান প্রিন্টিং প্রেস এর সত্ত্বাধিকারী প্রবীণ সাংবাদিক মশিয়ার রহমান খান ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না.. াজেউন)। তিনি আজ (বুধবার) ভোরে ঢাকার রামপুরায় পুত্র ডা. ইশতিয়াক খান নির্ঝর এর বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
মশিয়ার রহমান খান ১৯৫০ সালে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের চন্ডিপুর ইউনিয়নের উজান বোচাগাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা-হেমায়েত হোসেন খান, মাতা-মজিদা খানম। ৬ ভাইয়ের মধ্যে তিনি ৫ম। স্ত্রী তাজিনা আকতার রাকা এবং এক ছেলে ডা. ইশতিয়াক খান নির্ঝর।
মশিয়ার রহমান খান গত শতকের ষাটের দশকে সাহিত্য চর্চা শুরু করেন। সংখ্যায় বেশি না হলেও তাঁর লেখার বৈচিত্র্য ও মান পাঠকদের বিমোহিত করেছে। তিনি স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদপত্রে সৃজনশীল লেখালেখি করেছেন। প্রচারবিমুখ মশিয়ার রহমান ‘ছন্দের আলপনা’ ছড়া সংকলনের অন্যতম ছড়াকার। তিনি শিশু সংগঠন সাত ভাই চম্পা এবং গাইবান্ধা সাহিত্য পরিষদের অন্যতম সংগঠক ছিলেন।
মশিয়ার রহমান খান ১৯৭২ সালে বার্তা সংস্থা বাংলাশে প্রেস ইন্টারন্যাশনাল (বিপিআই)-এর গাইবান্ধা সংবাদাতা হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করেন। ১৯৭৪ সালের শেষদিকে দৈনিক বাংলার বাণী-তে যোগ দেন। ১৯৭৮ সালের ১ জানুয়ারি েেক দীর্ঘদিন দৈনিক ইত্তেফাক-এর গাইবান্ধা সংবাদদাতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি গাইবান্ধা থেকে প্রকাশিত ‘সাপ্তাহিক গাইবান্ধা’ ও ‘দৈনিক সন্ধান’-এর সম্পাদক ও প্রকাশক। মশিয়ার রহমান খান ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত অবিভক্ত গাইবান্ধা প্রেসক্লাব-এর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরে প্রেসক্লাবের একাংশের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
গাইবান্ধার সাংবাদিকতা ও সংবাদপত্র জগতে স্মরণীয় অবদানের জন্য মশিয়ার রহমান খান ২০২১ সালে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গণ উন্নয়ন কেন্দ্র (জিইউকে) কর্তৃক জিইউকে অ্যাওয়ার্ড-২০২১ গ্রহণ করেন। এছাড়াও তিনি সাহিত্য ও সাংবাদিকতা বিশেষ অবদানে বেশ কিছু সম্মাননা পদক অর্জন করেন।