স্টাফ রিপোর্ট:
গাইবান্ধা সাঘাটায় যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক ব্যক্তিদের বিচার বহির্ভুতভাবে নির্যাতন করে নিরীহ শফিকুল ইসলাম ও সোহরাব হোসেন আপেলের মৃত্যুরে ঘটনার অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী।
গতকাল বৃহ্স্পতিবার সকালে ভরতখালিহাট এলাকায় গাইবান্ধা-সাঘাটা সড়কে শত-শত এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবারের স্বজনেরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণ করে মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করে শাস্তির দাবী জানান।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সুজাউদ্দৌলা সুজা, শামছুল হক, মাসুদুর রহমান মাসুদ, আমিনুল ইসলাম গোলাপ, তহমিনা এ্যানিম রোকসানা আক্তারসহ অনেকে।
ঘটনাটির সঠিকভাবে তদন্ত না হলে আরো বড় ধরণের কর্মসূচি হাতে নিবেন বলে জানানো হয় এসময় জানানো হয়।
মানববন্ধনকালে সোহরাব হোসেন আপেলের স্ত্রী দুই শিশু সন্তান বুকে নিয়ে কান্নায় ভেঙে পরে। জাতির কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, কেন আমার স্বামীকে আটক করে পিটিয়ে হত্যা করা হলো? তিনি তাঁর নির্দোষ স্বামী হত্যার বিচার প্রার্থনা করেন।
নিহত শফিকুলের শিশু তিন কন্যা তার পিতার হত্যার তদন্ত করে বিচার দাবি করে জানান, যারা আমাকে স্বামীহারা এবং সন্তানদের এতিম করলো তাদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তির দাবী করেন। চেয়ারম্যান সুইট এর ছোট ভাই সুজাউদ্দৌলা সুজা জানান যৌথবাহিনী অস্ত্র উদ্ধারের নামে বাড়িতে হামলা করে সবাইকে জিম্মি করে বড় ভাই সুইট, ভাতিজাসহ অন্যদের অমানুষিকভাবে পিটিয়ে আহত করে। পরে তাদের হাসপাতালে নেয়ার পথেই মত্যু হয়। বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে সাঘাটা উপজেলার সাঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের তিন বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন সুইট ও ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ৫ জনকে গোবিন্দী গ্রাম থেকে যৌথবাহিনী আটক করে ।
আটককৃতদের মধ্যে ১০ সেপ্টেম্বর গত মঙ্গলবার শফিকুল ইসলাম বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সোহরাব হোসেন আপেল গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করে। আশংকাজনক রিয়াজুল ইসলাম রকিকে বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ থেকে ঢাকায় সিএমএইচএ ও গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল থেকে শাহাদাৎ হোসেন পলাশকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর সিএমএইচএ স্থানান্তর করা হয়েছে। চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন সুইটকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
নিহতদের মাঝে সোহরাব হোসেন আপেলকে ১১ সেপ্টেম্বর বিকাল বেলা চর গোবিন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবস্থানে দাফন সম্পুর্ন করেছে। ১২ সেপ্টেম্বর নিহত শফিকুল ইসলামকে তাঁর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হেয়।
শিরোনামঃ
যৌথবাহিনীর হাতে আটকের পর দু’জনের মৃত্যু: বিচারের দাবীতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
- Reporter Name
- Update Time : ০৫:০৫:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- ৭১ Time View
Tag :
Popular Post