Dhaka ০৮:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
গাইবান্ধা শহরের উদয়ন প্রিন্টিং প্রেসের পাশের্^ রান্নার চুলা বসানোকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে মারপিট ঃ আহত ২ সাঘাটায় আওয়ামীলীগ কার্যালয় গুড়িয়ে দিয়ছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা সাদুল্লাপুরে ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিলের ফলাফল অনিয়মের অভিযোগ স্বদেশের প্রয়োজনে বাঁচি তারুণ্যউত্থানে গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের প্রীতি সম্মিলনে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রত্যয় সাংবাদিকদের পলাশবাড়ীতে বাঁশের সাঁকোতে ঝুঁকি নিয়ে ৫ গ্রামবাসীর নদী পারাপার শহীদ আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদ্বোধন পলাশবাড়ীতে ইটভাটা শ্রমিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার সাঘাটায় যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক আ’লীগ নেতা কারাগারে শিক্ষার মানোন্নয়নে কমিউনিটি অ্যাকশন সভা অনুষ্ঠিত এক বছরে ১০৪ টি বন্যপ্রাণী মারা গেছে

যমুনার ভাঙন কবলে আশ্রয়ন প্রকল্পের তিন শতাধিক ঘরবাড়ি বিলীন

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:২৪:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪
  • ১০৬ Time View

সাঘাটা প্রতিনিধি:
যমুনা নদীর তীব্র ভাঙন কবলে পড়েছে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ দিঘলকান্দি চরের পূর্ব আশ্রায়ন প্রকল্প। গত তিন মাসের ব্যবধানে তিন শতাধিক ঘরবাড়ি ও অন্ততপক্ষে তিন শতাধিক একর আবাদি জমি বিলীন হয়েছে। আরও দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি ভাঙনের ঝুঁকির মুখে রয়েছে।
হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ (পূর্ব) দিঘলকান্দি গ্রামে আশ্রায়ন প্রকল্পের ১৮ টি ব্রাকে ৯০টি পরিবার রয়েছে। আশ্রায়ন প্রকল্পটিসহ বিস্তীর্ণ এলাকা জুঁড়ে জনবসতি ও আবাদি জমি ভাঙন কবলে পড়েছে। নদীভাঙনের মূখে ওইসব আবাদি জমিতে সদ্য রোপনকৃত মরিচ, বেগুনের চারা কৃষকেরা তুলে নিচ্ছেন। নদীর পাড় থেকে কিছুটা দূরে কেউ কেউ আবার নতুন বসতঘর তৈরি করেছেন।
এই আশ্রয়ন প্রকল্পের বাবলু প্রামানিক জানান, এবার বর্ষা আসার শুরু থেকে পাল্লা দিয়ে নদী ভাঙছে। এখন কোথায় গিয়ে ঠাই নিবে এমন স্থান নেই। একারণে চরম হতাশায় সময় পার করছেন তিনি।
দক্ষিণ দিঘলকান্দি (পূর্ব) আশ্রায়ন প্রকল্পের আশ্রিত খুকি (৫৫) জানান, এ্যাগলা সোরকারি ঘর ভেঙে যাওছে কয়দিন ধইর‌্যা গুম অয়না। হামরা এহোন কোনে যাই? সুরবানু (৫৭) জানান, নদী ভাঙনে ঘরের কাছে আইছে, আইজ গর না হরালে নদির মদ্দে যাবো গা।
ওই গ্রামের কৃষক নুছুম উদ্দিন শেখ (৫৫) বলেন, ঘরবাড়ি ভাঙ্গি গেচে, তার জন্নে হামরা সোরকারের কাচে ট্যাকা চাইনে। হামরা চাই, সরকার নদী ভাঙ্গা বন্ধো করুক। একই ধরনের কথা বলেন, শুক্কুর শেখ (৫২),মনোহার শেখ,(৬২), শফিকুল ইসলাশ(৩২),কবির শেখ (৪২),সাগর আলী ৪৫), আবুল শেখ (৬৩)সহ আরও কয়েকজন। হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান, ইউনিয়ন পরিষদে এখন কোনো বরাদ্দ নেই। নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের জন্য সহায়তা করা দরকার। কিন্তু আমাদের হাতে এখন কোনো কাজ নেই, বরাদ্দও নেই। তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ানোর মতো পরিস্থিতি নেই।
সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসাহাক আলী আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘরগুলোর বিষয়ে জানান, যাদের নামে ঘরগুলো বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, নদী ভাঙন কবলে পড়লে তারা ভেঙে নিয়ে নিরাপদ স্থানে বসতি স্থাপন করতে পারবে। এ বিষয়ে চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল ইসলাম বলেন, চরাঞ্চলের জন্য নদী ভাঙনরোধে আপাতত কোনো কর্মসূচি নেই। তবে যমুনার ভাঙনরোধে সাঘাটার হলদিয়া হতে ফুলছড়ির পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের আওতায় সিসি বøক স্থাপনসহ নদীর তীর সংরক্ষণের কাজ চলছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

গাইবান্ধা শহরের উদয়ন প্রিন্টিং প্রেসের পাশের্^ রান্নার চুলা বসানোকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে মারপিট ঃ আহত ২

যমুনার ভাঙন কবলে আশ্রয়ন প্রকল্পের তিন শতাধিক ঘরবাড়ি বিলীন

Update Time : ১১:২৪:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

সাঘাটা প্রতিনিধি:
যমুনা নদীর তীব্র ভাঙন কবলে পড়েছে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ দিঘলকান্দি চরের পূর্ব আশ্রায়ন প্রকল্প। গত তিন মাসের ব্যবধানে তিন শতাধিক ঘরবাড়ি ও অন্ততপক্ষে তিন শতাধিক একর আবাদি জমি বিলীন হয়েছে। আরও দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি ভাঙনের ঝুঁকির মুখে রয়েছে।
হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ (পূর্ব) দিঘলকান্দি গ্রামে আশ্রায়ন প্রকল্পের ১৮ টি ব্রাকে ৯০টি পরিবার রয়েছে। আশ্রায়ন প্রকল্পটিসহ বিস্তীর্ণ এলাকা জুঁড়ে জনবসতি ও আবাদি জমি ভাঙন কবলে পড়েছে। নদীভাঙনের মূখে ওইসব আবাদি জমিতে সদ্য রোপনকৃত মরিচ, বেগুনের চারা কৃষকেরা তুলে নিচ্ছেন। নদীর পাড় থেকে কিছুটা দূরে কেউ কেউ আবার নতুন বসতঘর তৈরি করেছেন।
এই আশ্রয়ন প্রকল্পের বাবলু প্রামানিক জানান, এবার বর্ষা আসার শুরু থেকে পাল্লা দিয়ে নদী ভাঙছে। এখন কোথায় গিয়ে ঠাই নিবে এমন স্থান নেই। একারণে চরম হতাশায় সময় পার করছেন তিনি।
দক্ষিণ দিঘলকান্দি (পূর্ব) আশ্রায়ন প্রকল্পের আশ্রিত খুকি (৫৫) জানান, এ্যাগলা সোরকারি ঘর ভেঙে যাওছে কয়দিন ধইর‌্যা গুম অয়না। হামরা এহোন কোনে যাই? সুরবানু (৫৭) জানান, নদী ভাঙনে ঘরের কাছে আইছে, আইজ গর না হরালে নদির মদ্দে যাবো গা।
ওই গ্রামের কৃষক নুছুম উদ্দিন শেখ (৫৫) বলেন, ঘরবাড়ি ভাঙ্গি গেচে, তার জন্নে হামরা সোরকারের কাচে ট্যাকা চাইনে। হামরা চাই, সরকার নদী ভাঙ্গা বন্ধো করুক। একই ধরনের কথা বলেন, শুক্কুর শেখ (৫২),মনোহার শেখ,(৬২), শফিকুল ইসলাশ(৩২),কবির শেখ (৪২),সাগর আলী ৪৫), আবুল শেখ (৬৩)সহ আরও কয়েকজন। হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান, ইউনিয়ন পরিষদে এখন কোনো বরাদ্দ নেই। নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের জন্য সহায়তা করা দরকার। কিন্তু আমাদের হাতে এখন কোনো কাজ নেই, বরাদ্দও নেই। তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ানোর মতো পরিস্থিতি নেই।
সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসাহাক আলী আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘরগুলোর বিষয়ে জানান, যাদের নামে ঘরগুলো বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, নদী ভাঙন কবলে পড়লে তারা ভেঙে নিয়ে নিরাপদ স্থানে বসতি স্থাপন করতে পারবে। এ বিষয়ে চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল ইসলাম বলেন, চরাঞ্চলের জন্য নদী ভাঙনরোধে আপাতত কোনো কর্মসূচি নেই। তবে যমুনার ভাঙনরোধে সাঘাটার হলদিয়া হতে ফুলছড়ির পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের আওতায় সিসি বøক স্থাপনসহ নদীর তীর সংরক্ষণের কাজ চলছে।