Dhaka ০৮:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
গাইবান্ধা শহরের উদয়ন প্রিন্টিং প্রেসের পাশের্^ রান্নার চুলা বসানোকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে মারপিট ঃ আহত ২ সাঘাটায় আওয়ামীলীগ কার্যালয় গুড়িয়ে দিয়ছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা সাদুল্লাপুরে ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিলের ফলাফল অনিয়মের অভিযোগ স্বদেশের প্রয়োজনে বাঁচি তারুণ্যউত্থানে গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের প্রীতি সম্মিলনে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রত্যয় সাংবাদিকদের পলাশবাড়ীতে বাঁশের সাঁকোতে ঝুঁকি নিয়ে ৫ গ্রামবাসীর নদী পারাপার শহীদ আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদ্বোধন পলাশবাড়ীতে ইটভাটা শ্রমিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার সাঘাটায় যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক আ’লীগ নেতা কারাগারে শিক্ষার মানোন্নয়নে কমিউনিটি অ্যাকশন সভা অনুষ্ঠিত এক বছরে ১০৪ টি বন্যপ্রাণী মারা গেছে

মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েও খুশির পরিবর্তে দুঃচিন্তায় শিমুলের পরিবার

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:১৭:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৬ Time View

মোঃ ফেরদাউছ মিয়া ঃ ঢাকা সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েও খুশির পরিবর্তে অর্থের অভাবে লেখা-পড়া বন্ধ হতে পারে সেই দুঃচিন্তায় এখন শিমুলের পরিবার!
জানা গেছে, চলতি শিক্ষাবর্ষে ১৭ জানুয়ারী মেডিকেল কলেজ সমূহের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ফলাফলে দেখা যায় গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ৬ নং বেতকাপা ইউনিয়নের পূর্ব নয়নপূর গ্রামের মোঃ কালু মিয়ার ছেলে মোঃ শিমুল মিয়া ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে ৫০৯তম স্থান অধিকার করে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।
শিমুলের বাবা মোঃ কালু মিয়া পেশায় কাঠ মিস্ত্রির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ফসল ফলানোর কোনো জমিজমা নেই,উত্তরাধিকার সূত্রে বসতবাড়ির দুই শতক জমি পেয়েছেন যেখানে ছোট একটা ঘর করে স্ত্রী , এক ছেলে আর এক মেয়ে নিয়ে সেই ছোট ঘরেই তাদের বসবাস।
শিমুল ২০২২ সালে উপজেলার আমলাগাছী বিএম হাইস্কুল থেকে এসএসসি এবং ২০২৪ সালে রংপুর সরকারী কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে। উভয় পরীক্ষায়ই সে জিপিএ-৫ পেয়ে মেধার স্বাক্ষর রাখেন। স্কুল-কলেজর শিক্ষকদের সহযোগিতায় উচ্চ মাধ্যমিক পাস করালেও এখন মেডিকেলে চান্স পাওয়া ছেলের পড়ালেখার খরচ কীভাবে চালাবেন সে চিন্তায় ঘুম নেই শিমুলের বাবা কালু মিয়া ও মা শিল্পী বেগমের চোখে।
শিমুলের বাবা কালু মিয়া বলেন, “কাঠ মিস্তির কাজ করি,কোন দিন কাজ হয় আবার কোন দিন হয় না, কোন রকমে সংসার চালাই। কোনোদিন বাজার করার টাকা হয়, তো কোনোদিন হয় না। খেয়ে না খেয়ে, ধার-দেনা করে, স্ত্রীর গহনা বিক্রি করে ছেলে-মেয়েকে লেখাপড়া শেখানোর চেষ্টা করছি”।
তিনি আরও বলেন, “ছেলেকে রংপুর পড়িয়েছি কিভাবে, কার থেকে খরচ জোগাড় করেছি তা ছেলেকে কখনও বুঝতে দেইনি। ছেলের একটা মোবাইলফোনও নেই। পরিবারের মধ্যে আমার নিজের পুরাতন একটা বাটন ফোন আছে। আমি নিজেও জানি না ছেলের ভর্তি কবে। ছেলেকে মেডিকেলে ভর্তি করাতে পারব কিনা তাও জানি না। শিমুলের ভর্তির টাকা কোন ভাবে জোগাড় করতে পারলেও পরবর্তীতে লেখাপড়া করানোর মত ক্ষমতা আমার নেই । শিমুল অত্যন্ত মেধাবি হওয়া অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে ছেলের লেখাপড়ায় । এ পর্যন্ত যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
শিমুলের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়ে সে খুব খুশি। তবে তার বাবা-মা’র চিন্তায় তারও মন খারাপ। তিনি ডাক্তার হয়ে অবহেলিত, অসহায় মানুষের চিকিৎসা সেবা দিতে চান।
কোন দানশীল ব্যক্তি শিমুলকে সহযোগিতা করতে চাইলে অগ্রণী ব্যাংক,ঢোলভাঙ্গা শাখা-সঞ্চয়ী হিসাব নং-০২০০০১৫৪৮২৭৮৩
বিকাশ নং- ০১৮৬২-৯৫১২৫৪

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

kartick kartick

Popular Post

গাইবান্ধা শহরের উদয়ন প্রিন্টিং প্রেসের পাশের্^ রান্নার চুলা বসানোকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে মারপিট ঃ আহত ২

মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েও খুশির পরিবর্তে দুঃচিন্তায় শিমুলের পরিবার

Update Time : ০৫:১৭:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মোঃ ফেরদাউছ মিয়া ঃ ঢাকা সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েও খুশির পরিবর্তে অর্থের অভাবে লেখা-পড়া বন্ধ হতে পারে সেই দুঃচিন্তায় এখন শিমুলের পরিবার!
জানা গেছে, চলতি শিক্ষাবর্ষে ১৭ জানুয়ারী মেডিকেল কলেজ সমূহের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ফলাফলে দেখা যায় গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ৬ নং বেতকাপা ইউনিয়নের পূর্ব নয়নপূর গ্রামের মোঃ কালু মিয়ার ছেলে মোঃ শিমুল মিয়া ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে ৫০৯তম স্থান অধিকার করে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।
শিমুলের বাবা মোঃ কালু মিয়া পেশায় কাঠ মিস্ত্রির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ফসল ফলানোর কোনো জমিজমা নেই,উত্তরাধিকার সূত্রে বসতবাড়ির দুই শতক জমি পেয়েছেন যেখানে ছোট একটা ঘর করে স্ত্রী , এক ছেলে আর এক মেয়ে নিয়ে সেই ছোট ঘরেই তাদের বসবাস।
শিমুল ২০২২ সালে উপজেলার আমলাগাছী বিএম হাইস্কুল থেকে এসএসসি এবং ২০২৪ সালে রংপুর সরকারী কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে। উভয় পরীক্ষায়ই সে জিপিএ-৫ পেয়ে মেধার স্বাক্ষর রাখেন। স্কুল-কলেজর শিক্ষকদের সহযোগিতায় উচ্চ মাধ্যমিক পাস করালেও এখন মেডিকেলে চান্স পাওয়া ছেলের পড়ালেখার খরচ কীভাবে চালাবেন সে চিন্তায় ঘুম নেই শিমুলের বাবা কালু মিয়া ও মা শিল্পী বেগমের চোখে।
শিমুলের বাবা কালু মিয়া বলেন, “কাঠ মিস্তির কাজ করি,কোন দিন কাজ হয় আবার কোন দিন হয় না, কোন রকমে সংসার চালাই। কোনোদিন বাজার করার টাকা হয়, তো কোনোদিন হয় না। খেয়ে না খেয়ে, ধার-দেনা করে, স্ত্রীর গহনা বিক্রি করে ছেলে-মেয়েকে লেখাপড়া শেখানোর চেষ্টা করছি”।
তিনি আরও বলেন, “ছেলেকে রংপুর পড়িয়েছি কিভাবে, কার থেকে খরচ জোগাড় করেছি তা ছেলেকে কখনও বুঝতে দেইনি। ছেলের একটা মোবাইলফোনও নেই। পরিবারের মধ্যে আমার নিজের পুরাতন একটা বাটন ফোন আছে। আমি নিজেও জানি না ছেলের ভর্তি কবে। ছেলেকে মেডিকেলে ভর্তি করাতে পারব কিনা তাও জানি না। শিমুলের ভর্তির টাকা কোন ভাবে জোগাড় করতে পারলেও পরবর্তীতে লেখাপড়া করানোর মত ক্ষমতা আমার নেই । শিমুল অত্যন্ত মেধাবি হওয়া অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে ছেলের লেখাপড়ায় । এ পর্যন্ত যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
শিমুলের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়ে সে খুব খুশি। তবে তার বাবা-মা’র চিন্তায় তারও মন খারাপ। তিনি ডাক্তার হয়ে অবহেলিত, অসহায় মানুষের চিকিৎসা সেবা দিতে চান।
কোন দানশীল ব্যক্তি শিমুলকে সহযোগিতা করতে চাইলে অগ্রণী ব্যাংক,ঢোলভাঙ্গা শাখা-সঞ্চয়ী হিসাব নং-০২০০০১৫৪৮২৭৮৩
বিকাশ নং- ০১৮৬২-৯৫১২৫৪