Dhaka ০৩:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিডিয়া ছুটাই দিবো-কুড়িগ্রামের এসপি’র দাম্ভিকতা!

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৫১:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
  • ২৩৯ Time View
চিলমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামে চিলমারী উপজেলায় ভিডিও এবং ছবি তোলায় কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপারের নির্দেশে এক সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভিডিও এবং ছবি ডিলিট করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় চিলমারী উপজেলার দুই থানার মোড় এলাকায়।
জানা যায়,গত ১০এপ্রিল সকালে কুড়িগ্রামের চিলমারী ও গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর শহড়ের মোড় এলাকায় ঈদে চিলমারী-হরিপুর তিস্তা সেতুতে ঘুরতে যাওয়া মা-মেয়েকে উত্যক্তের অভিযোগে মাইকিং করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কুড়িগ্রাম সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এঘটনার পর রাত  সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুর রহমান। এসময় দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন পত্রিকার চিলমারী প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম সাদ্দাম সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ছবি এবং ভিডিও নিতে গেলে পুলিশ সুপার ফোন কেড়ে নেবার নির্দেশ দেন। এসময় পুলিশ সুপারের বডি গার্ড ওই সাংবাদিকের ফোন কেড়ে নিয়ে ধারণ করা ভিডিও ডিলিট করেন। এতেই ক্ষান্ত হয়নি পুলিশ সুপার, তিনি সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে বলেন, মিডিয়া ছুটাই দেব। এঘটনায় চিলমারী ও জেলার সাংবাদিক সমাজ তিব্র নিন্দা প্রকাশ করেছে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ সুপার আসার খবর শুনে সেখানে গিয়ে ভিডিও ও ছবি তোলার সময় এসপি সাহেব আমার উপর চড়াও হন এবং সংবাদকর্মী পরিচয় পেয়ে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আমার হাতে থাকা ফোনটি কেড়ে নিতে বললে সাথে থাকা এক পুলিশ সদস্য ফোনটি কেড়ে নিয়ে ছবি ও ভিডিও ডিলিট করেন।
রমনা মডেল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম আশেক আকা জানান,আমি ওই সময় একটু দূরে ছিলাম। পরে বিষয়টি উক্ত সাংবাদিকের কাছে শুনেছি।
কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজার রহমান টিউটর জানান, কোনো সরকারি কর্মকর্তা সাংবাদিকের সঙ্গে এধরণের আচরণ করতে পারেন না। এজন্য তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। কারন তিনি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী,তাকে সবার সাথে ভালো আচরন করা উচিৎ বলে জানান তিনি।
চিলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন,বৃহস্পতিবার রাতে ১০টার পরে এসপি স্যার এসেছিলেন। কিন্তু ফোন কেড়ে নেয়নি,ভিডিও করতে নিষেধ করেছিল। ভিডিও ডিলিট করার বিষয়ে তিনি জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই।
এই বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমানকে অফিসিয়াল নম্বরে একাধিক বার কল করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

মিডিয়া ছুটাই দিবো-কুড়িগ্রামের এসপি’র দাম্ভিকতা!

Update Time : ০৭:৫১:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
চিলমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামে চিলমারী উপজেলায় ভিডিও এবং ছবি তোলায় কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপারের নির্দেশে এক সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভিডিও এবং ছবি ডিলিট করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় চিলমারী উপজেলার দুই থানার মোড় এলাকায়।
জানা যায়,গত ১০এপ্রিল সকালে কুড়িগ্রামের চিলমারী ও গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর শহড়ের মোড় এলাকায় ঈদে চিলমারী-হরিপুর তিস্তা সেতুতে ঘুরতে যাওয়া মা-মেয়েকে উত্যক্তের অভিযোগে মাইকিং করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কুড়িগ্রাম সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এঘটনার পর রাত  সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুর রহমান। এসময় দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন পত্রিকার চিলমারী প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম সাদ্দাম সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ছবি এবং ভিডিও নিতে গেলে পুলিশ সুপার ফোন কেড়ে নেবার নির্দেশ দেন। এসময় পুলিশ সুপারের বডি গার্ড ওই সাংবাদিকের ফোন কেড়ে নিয়ে ধারণ করা ভিডিও ডিলিট করেন। এতেই ক্ষান্ত হয়নি পুলিশ সুপার, তিনি সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে বলেন, মিডিয়া ছুটাই দেব। এঘটনায় চিলমারী ও জেলার সাংবাদিক সমাজ তিব্র নিন্দা প্রকাশ করেছে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ সুপার আসার খবর শুনে সেখানে গিয়ে ভিডিও ও ছবি তোলার সময় এসপি সাহেব আমার উপর চড়াও হন এবং সংবাদকর্মী পরিচয় পেয়ে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আমার হাতে থাকা ফোনটি কেড়ে নিতে বললে সাথে থাকা এক পুলিশ সদস্য ফোনটি কেড়ে নিয়ে ছবি ও ভিডিও ডিলিট করেন।
রমনা মডেল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম আশেক আকা জানান,আমি ওই সময় একটু দূরে ছিলাম। পরে বিষয়টি উক্ত সাংবাদিকের কাছে শুনেছি।
কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজার রহমান টিউটর জানান, কোনো সরকারি কর্মকর্তা সাংবাদিকের সঙ্গে এধরণের আচরণ করতে পারেন না। এজন্য তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। কারন তিনি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী,তাকে সবার সাথে ভালো আচরন করা উচিৎ বলে জানান তিনি।
চিলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন,বৃহস্পতিবার রাতে ১০টার পরে এসপি স্যার এসেছিলেন। কিন্তু ফোন কেড়ে নেয়নি,ভিডিও করতে নিষেধ করেছিল। ভিডিও ডিলিট করার বিষয়ে তিনি জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই।
এই বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমানকে অফিসিয়াল নম্বরে একাধিক বার কল করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।