
রোকনুজ্জামান রুবেল, মিঠাপুকুর প্রতিনিধি:
রংপুরের মিঠাপুকুরে বিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে ষষ্ঠ শ্রেণির শারীরিক প্রতিবন্ধী ছদ্দা নাম (মিনা) শিশুকে জোরপূর্বক ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে ধ’র্ষণ করে আলম (৩৫) নামে এক যুবক।পরে এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ্দ করেন। গত কাল দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে, উপজেলার কয়েকটি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল, মানবাধিকার কমিশন, ও সুশীল সমাজে ব্যক্তিবর্গা এই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে, ধর্ষণকারী সর্বোচ্চ শাস্তি করেন।
জানাগেছে, গতমঙ্গল বার মিঠাপুকুর সরকারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাইভেট পড়ার জন্য স্কুলে আসেন ও শিক্ষার্থী পড়া শেষে দুপুরে রাস্তা দিয়ে, বাড়ি ফেরার পথিমধ্যে চিথলী উত্তর পাড়া নামক ফাঁকা স্থানে পৌছিলে চিথলী উত্তর পাড়া গ্রামের আলম মিয়া ৩৫ নামের এক বখাটে যুবক স্কুল ছাত্রী কে একা পেয়ে জোর পুর্বক রাস্তার ধারে ভুট্রা ক্ষেতে টেনে নিয়ে গিয়ে জোর পুর্বক ধর্ষন করেন। ধর্ষক আলম পারিয়ে যায়। পরে ওই প্রতিবন্ধী স্কুল ছাত্রীর চিৎকার দিলে আসপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে এ ঘটনায় মিঠাপুকুর থানায় গত মঙ্গল স্কুল ছাত্রীর পিতা মাতা লক্ষীরানী বাদী হয়ে একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর আসামী আলম মিয়া (৩৫) পলাতক থাকায় এবং বোরখা পরে এলাকা ত্যাগকরে পালিয়ে যাওয়ার সময় শঠিবাড়ি নামক স্হানে স্হানীয় জনতার হাতে আটক হয়, এবং পরে তাকে আটক করে,মিঠাপুকুর থানা পুলিশে হাতে তুলে দেয়।
ভিকটিম স্কুল ছাত্রি কে ডাক্তারী পরীক্ষা জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ এরাকাবাসী গতকাল বুধবার দুপুরে ধর্ষক আলমের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি ও ফাঁসির দাবিতে ব উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এক মানব করেন। মানব বন্ধনে বক্তারা ধর্ষক আলমের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি ফাঁসির দাবী করেন বাদআলমের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি করে মানব বন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
ধর্ষিত বড় বোনের দাবি, আমার বোনটা ছিলো, প্রতিবন্ধী। আমার প্রতিবন্ধী ও অসুস্হ্য বোনটাকে এভাবে সর্বনাশ করে দিল। আমার বোন যেন আছিয়ার মতো অকালে ঝরে না যায়। আমার বোনের মতো আর কারো বোনের যেন, এরকম না হয়, আমি ধর্ষণে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। যাতে করে আর কেউ এই ঘৃন্নতম কাজ না করতে সাহস পায়।
মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, ধর্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা হয়েছে, এবং ২৪ ঘন্টা না পেরেতেই, ধর্ষককে গ্রফতার করতে সক্ষম হয়েছি। তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছি।