
ডেস্ক রিপোর্ট: দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণে দেশে আনন্দলোক প্রাথমিক বিদ্যালয় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। দাতা সংস্থা নেটজ বাংলাদেশ ও জার্মানভিত্তিক দাতা সংস্থা বিএমজেড এর সহায়তায় আনন্দলোক ট্রাস্ট এর মাধ্যমে আনন্দলোক ৩৪টি বিদ্যালয়ে আনন্দঘন পরিবেশে পড়ালেখা ও গুণগত মান নিশ্চিতের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একটি আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে স্থানীয় ও জাতীয়ভাবে সুনাম অর্জন করেছে-যা ইতোমধ্যে দেশের প্রাথমিক শিক্ষায় অনুকরনীয় হয়েছে।
গতকাল ম্ঙ্গলবার ঢাকার মেরি স্টোপস অডিটোরিয়ামে আনন্দলোক ট্রাস্টের উদ্যোগে ট্রাস্টের ভাইস-চেয়ারপার্সন সোহরাব উদ্দিন মন্ডলের সভাপতিত্বে পরামর্শ সভার আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন অঞ্চলে স্থাপিত এসব বিদ্যালয়গুলো চলমান রাখতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, কর্পোরেট প্রতিনিধি, বিভিন্ন ব্যাংকের প্রতিনিধি, গণমাধ্যম কর্মী এবং শিক্ষানুরাগীসহ নানা স্তরের পেশাজীবীরা অংশগ্রহণ করেন।
সভায় উপস্থিত অতিথিরা বলেন, শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার এবং প্রতিটি দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুর জন্য প্রাথমিক শিক্ষা লাভের সুযোগ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। এতে করে দেশের সার্বিক শিক্ষা সূচকে উন্নয়নের পাশাপাশি পরিবারে আয় উপার্জনেও ভুমিকা রাখতে পারবে। এসময় পাঠ্যসূচির সাথে কারিগরি শিক্ষার যুক্ত করার প্রস্তাবনাও দেয়া হয়। এছাড়াও বক্তারা জানান, বিদ্যালয়গুলো চলমান রাখতে কমিউনিটির লোকজনকে সম্পৃক্ত করার পাশাপাশি দেশের বিত্তবাদ, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, প্রবাসি ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করতে অনলাইন ডকুমেন্টরি ও প্রচারাভিযান বাড়াতে হবে।
এসময় বিদ্যালয়গুলোর উপর ডকুমেন্টরি প্রদর্শন ও অগ্রগতি সম্ভাবনার ক্ষেত্র নিয়ে প্রেজেন্টেশন দেয়া হয়।
কুষ্টিয়া, গাইবান্ধা, রংপুর, নীলফামারী ও পঞ্চগড় জেলায় স্থায়ী অবকাঠামোতে পাঠ সুন্দর পরিবেশে ৩৪টি আনন্দলোক বিদ্যালয়ে প্লে থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৬ হাজার শিক্ষার্থী পড়া-লেখা করছে। বিদ্যালয়গুলো পরিচালনা করছে বেসরকারি সংস্থা গণ উন্নয়ন কেন্দ্র (জিইউকে), জাগরনী চক্র ফাউন্ডেশন (জেসিএফ) ও আনন্দলোক ট্রাস্ট।