Dhaka ০৫:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ময়নুল ভাপতি,মিলন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত,ক্ষেতমজুর সমিতি’র গাইবান্ধা জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:২০:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ২৫ Time View

প্রতিনিধি,গাইবান্ধা।।
বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির গাইবান্ধা জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার গাইবান্ধা সদর উপজেলার দারিয়াপুরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সিপিবি, কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারি সাধারণ সম্পাদক কমরেড মিহির ঘোষ। দারিয়াপুর হাইস্কুল মাঠে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ক্ষেতমজুর সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এ্যাড আনোয়ার হোসেন রেজা। জেলা কমিটির সহ-সভাপতি মশিউর রহমান মইশাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দেলোয়ার হোসেন, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ময়নুল কবীর মন্ডল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এমদাদুল হক মিলন, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম পিপুল, পলাশাবাড়ী উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি ইয়াদুল ইসলাম সাজু মাস্টার, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদুন্নবী মিলন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কৃষক সমিতি’র জেলা সভাপতি ছাদেকুল ইসলাম মাস্টার, যুব ইউনিয়ন, গাইবান্ধা জেলা সাধারণ সম্পাদক রানু সরকার, ছাত্র ইউনিয়ন জেলা সংসদের সভাপতি ওয়ারেছ সরকার প্রমুখ।
পরে এক সাংগঠনিক অধিবেশনে ময়নুল কবীর মন্ডলকে সভাপতি ও এমদাদুল হক মিলনকে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট গাইবান্ধা জেলা কমিটি নির্বাচন করা হয়।
কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ হলেন সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম পিপুল, ইয়াদুল ইসলাম সাজু মাস্টার, সাইদুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক আজম আলী, সদস্য মশিউর রহমান মইশাল, সায়েদ আলী, খয়বর হোসেন, ওয়াহেদুন্নবী মিলন, গোবিন্দ চন্দ্র সরকার, পরিতোষ চন্দ্র সরকার, মিঠুল মিয়া, ভোলা চন্দ্র বর্মন, মাহাবুব কাজী, কাশেম মিয়া, জাহিদুল ইসলাম, ওয়ারেছ মন্ডল, জাহাঙ্গীর আলম, আইয়ুব আলী।
বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫৩বছরে যারাই ক্ষমতায় এসেছে কেউই সর্বদিক থেকে বৈষ্যম্যের শিকার ক্ষেতমজুরদের পাশে দাঁড়ায় নাই। সেটা নির্বাচিত, অনির্বাচিত, তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তর্বর্তী সরকারই হোক। ২৪এর গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষেত্রেও একই চিত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে। তারা দাবি করেন ষাটর্ধ্ব মজুরদের বিনা জমায় মাসিক দশ হাজার টাকা পেনশন দিতে হবে, ক্ষেতমজুরদের জন্য সর্বত্র রেশনিং সিস্টেম চালু করতে হবে, সারা বছরের কাজ ও খাদ্যের নিশ্চয়তা দিতে হবে, ক্ষেতমজুরদের চিকিৎসা ও সন্তানের লেখাপড়ার নিশ্চয়তা দিতে হবে, এনজিও ঋণে সুদের হার কমাতে হবে। সেই সাথে তারা এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে ক্ষেতমজুরসহ সকল শ্রমজীবী মানুষের প্রতি আহবান জানান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

ময়নুল ভাপতি,মিলন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত,ক্ষেতমজুর সমিতি’র গাইবান্ধা জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত

Update Time : ০৪:২০:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রতিনিধি,গাইবান্ধা।।
বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির গাইবান্ধা জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার গাইবান্ধা সদর উপজেলার দারিয়াপুরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সিপিবি, কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারি সাধারণ সম্পাদক কমরেড মিহির ঘোষ। দারিয়াপুর হাইস্কুল মাঠে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ক্ষেতমজুর সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এ্যাড আনোয়ার হোসেন রেজা। জেলা কমিটির সহ-সভাপতি মশিউর রহমান মইশাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দেলোয়ার হোসেন, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ময়নুল কবীর মন্ডল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এমদাদুল হক মিলন, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম পিপুল, পলাশাবাড়ী উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি ইয়াদুল ইসলাম সাজু মাস্টার, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদুন্নবী মিলন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কৃষক সমিতি’র জেলা সভাপতি ছাদেকুল ইসলাম মাস্টার, যুব ইউনিয়ন, গাইবান্ধা জেলা সাধারণ সম্পাদক রানু সরকার, ছাত্র ইউনিয়ন জেলা সংসদের সভাপতি ওয়ারেছ সরকার প্রমুখ।
পরে এক সাংগঠনিক অধিবেশনে ময়নুল কবীর মন্ডলকে সভাপতি ও এমদাদুল হক মিলনকে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট গাইবান্ধা জেলা কমিটি নির্বাচন করা হয়।
কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ হলেন সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম পিপুল, ইয়াদুল ইসলাম সাজু মাস্টার, সাইদুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক আজম আলী, সদস্য মশিউর রহমান মইশাল, সায়েদ আলী, খয়বর হোসেন, ওয়াহেদুন্নবী মিলন, গোবিন্দ চন্দ্র সরকার, পরিতোষ চন্দ্র সরকার, মিঠুল মিয়া, ভোলা চন্দ্র বর্মন, মাহাবুব কাজী, কাশেম মিয়া, জাহিদুল ইসলাম, ওয়ারেছ মন্ডল, জাহাঙ্গীর আলম, আইয়ুব আলী।
বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫৩বছরে যারাই ক্ষমতায় এসেছে কেউই সর্বদিক থেকে বৈষ্যম্যের শিকার ক্ষেতমজুরদের পাশে দাঁড়ায় নাই। সেটা নির্বাচিত, অনির্বাচিত, তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তর্বর্তী সরকারই হোক। ২৪এর গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষেত্রেও একই চিত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে। তারা দাবি করেন ষাটর্ধ্ব মজুরদের বিনা জমায় মাসিক দশ হাজার টাকা পেনশন দিতে হবে, ক্ষেতমজুরদের জন্য সর্বত্র রেশনিং সিস্টেম চালু করতে হবে, সারা বছরের কাজ ও খাদ্যের নিশ্চয়তা দিতে হবে, ক্ষেতমজুরদের চিকিৎসা ও সন্তানের লেখাপড়ার নিশ্চয়তা দিতে হবে, এনজিও ঋণে সুদের হার কমাতে হবে। সেই সাথে তারা এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে ক্ষেতমজুরসহ সকল শ্রমজীবী মানুষের প্রতি আহবান জানান।