
সাদুল্লাপুর সংবাদদাতাঃ গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ফাহিম মিয়া (২৩) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন তার মামী (২৫)। এদিকে ভাগিনার অসামাজিক কাণ্ডের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল সাদুল্লাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন ধর্ষণের শিকার ওই নারী।
এই মামলায় উল্লেখ করা হয় যে, প্রায় ১০ বছর আগে উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের জয়েনপুর গ্রামে বিয়ে হয় ভুক্তভোগী নারীর। এরই মধ্যে স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল। একপর্যায়ে স্বামী অন্য এক মেয়েকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। ওই সময় স্বামীর জ্যাঠাতো বোনের ছেলে ফাহিম মিয়া প্রায়ই ওই নারীকে (মামী) কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। তবে কখনও এ বিষয়টিতে রাজি ছিলেন না ওই নারী।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ মার্চ বিকেলের দিকে নারী তার শোবার ঘরে একাই অবস্থান করছিলেন। এ সময় ফাহিম মিয়া ঘরে প্রবেশ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার বিচার স্বামীর কাছে চাইলে কোনো সমাধানের উদ্যোগ না নিয়ে উল্টো তাকে মারধর করা হয়।
বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে গত ১৯ মার্চ বিকেলে স্থানীয়ভাবে সালিশ বসা হলে সেখানেও নারীকে বেধরক মারধর করা হয়। এ সময় গুরুতর আহত হলে ভুক্তভোগীকে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরপর কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে গতকাল সাদুল্লাপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন এ নারী।
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজউদ্দিন খন্দকার বলেন, জয়েনপুর গ্রামের এক নারী ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর আছে।