
পলাশবাড়ী সংবাদদাতাঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের ঢোলভাঙ্গা ঝিলবান্ধার মোড় থেকে নান্দিশহর ও রায়তি নড়াইল গ্রামের ইউপি রাস্তার প্রায় তিন শতাধিক ইউক্লিপটার্স গাছ বিভিন্ন সময় রাতে ও ভোরে চুরি করে গাছ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী কাঠ ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার ভাটা কামাল সরকারের বিরুদ্ধে। ফলে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের ঢোলভাঙ্গা ঝিলবান্ধা মোড় হতে নান্দিশহর ও রায়তি নড়াইল গ্রামে ইউপি রাস্তায় প্রায় ১৪-১৫ বছর পূর্বে স্থানীয় লোকজন ও তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান রাস্তার দুই ধারে কয়েক হাজার ইউক্লিপটার্স কাছ সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন করেন। উক্ত গাছ গুলো বড় হওয়ার স্থানীয় প্রভাবশালী কাঠ ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার কামাল সরকার প্রায়ই রাতে-ভোর প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে গাছ গুলো চুরি করে কেটে নিয়ে যায়।
উক্ত বিষয়ে এর আগেও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করা হলেও আজও কোন ব্যবস্থা নেননি প্রশাসন এমতাবস্থা চলাকালে গত ৩১ জানুয়ারি ভোর রাতেও উক্ত কামাল সরকার ও তার সাঙ্গপাঙ্গোরা ঝিলবান্ধা মোড় হতে নান্দিশহর রাস্তার প্রায় ২৫০ টি ইউক্লিপ্টার্স গাছ কোন কাগজপত্র ছাড়াই অবৈধভাবে কর্তন করে নিয়ে যায়। যার মূল্য কমপক্ষে ১৯ লক্ষ ৭০ লক্ষ হাজার টাকা হবে।এলাকাবাসী জানান, প্রতি নিয়তই রাতে অথবা ভোর বেলা রাস্তার গাছ গুলো কেটে নিয়ে যায় কামাল সরকার ও তার লোকজন। কিন্তু সে অত্র এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা তাকে বাঁধা দিতে পারিনা। তারা আরো জানান, এ যাবৎ বিভিন্ন সময় অনুমান তিন শতাধিক ইউক্লিপটার্সনগাছ কর্তন করে নিয়ে যায় মূল্য কমপক্ষে ২০ লক্ষাধিক টাকা হবে।
এব্যাপারে বেতকাপা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা জানান, এই কামাল একজন গাছ খেকো।রাতের আধারে চুরি করে গাছ কর্তন করে আমি কোন এভাবেই ঠেকাতে পারছিনা।
আমি নিরুপায় হয়ে পরেছি। সরকারের কাছে একাধিক বার গাছ চুরির অভিযোগ করেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।এব্যাপারে উক্ত কাঠ ব্যবসায়ী কামাল সরকারের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আল-ইয়াসা রহমান তাপাদার তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। অভিযোগের বিষয়ে থানা অফিসার ইনর্চাজ সাথে কথা বললে তিনি জানান মোবাইল টিম ঘটনাস্থল দেখে এসেছে যারা এই রাস্তার গাছ কাটার সাথে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এলাকাবাসী সরকারি গাছ কর্তন বন্ধে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।