
স্টাফ রিপোর্ট ঃ গাইবান্ধায় গত রোববার সকালে সদর উপজেলার বাদিয়াখালী ইউনিয়নের ফুলবাড়ী রিফাইতপুর গ্রামের ইজিবাইক চালক বেলালের মায়ের চল্লিশার (মজলিস) আয়োজনের খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ দুই শতাধিক বিভিন্ন বয়সী মানুষ। তাদের মধ্যে অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য দুইজনকে পাঠানো হয়েছে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসতাপালে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের ডাইরিয়া বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। এদিন দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রায় ২শ’র বেশি রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গাইবান্ধা হাসপাতাল ও ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায় , গতকাল সোমবার সকাল থেকে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৮৯ জন বিভিন্ন বয়সী রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে গাইবান্ধা হাসপাতালে ১২৪ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া ৫১ জন রোগীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগী ও তাদের স্বজনরা জানান, এলাকাবাসীসহ প্রায় এক হাজার মানুষ ওই আয়োজনে অংশ নেন। মজলিস খাওয়ার পর মধ্যরাত থেকে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। অনেকে প্রাথমিকভাবে বাড়িতে চিকিৎসা নিলেও অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরদিন সোমবার সকাল থেকেই হাসপাতালে ভর্তি হতে থাকেন।
গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের মেঝেতে চিকিৎসাধীন এক রুগি স্ত্রী বলেন মজলিসে দাওয়াত খাওয়ার পর মাঝরাত থেকে আমরা স্বামী- স্ত্রীর ডায়রিয়া শুরু হয়। আমাদের আরও অনেক আত্মীয়ও এখানে চিকিৎসাধীন আছেন।
তিনি আরও বলেন, ওই দাওয়াত খেয়ে অনেকের ওইদিন মধ্যরাত থেকে ডায়রিয়া, বমি শুরু হয়। আবার কারও সকাল, দুপুর থেকে শুরু হয়। এরমধ্যে শিশু ও বৃদ্ধও রয়েছে।
অন্যদিকে ফুলছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬৫ জন চিকিৎসা রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেখানে দু’জনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রফিকুজ্জামান বলেন, অনেক রোগী এখানেও ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমরা স্বল্প জনবল দিয়ে তাদের সাধ্যমত চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছি। অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য দুইজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।