
ফুলছড়ি সংবাদদাতাঃ গাইবান্ধার ফুলছড়িতে ২০২৪-২০২৫ বছরে তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত প্রদর্শনীর মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ফুলছড়ি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে সোমবার (৩ মার্চ) উপজেলার উদাখালী ইউনিয়নের পূর্ব ছালুয়া গ্রামের কৃষক আব্দুর রউফ মিয়ার বাড়ির উঠানে বারি সরিষা-১৪ নিয়ে মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিন্টু মিয়ার সভাপতিত্বে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু হাসান মানিকের সঞ্চালনায় মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনায় বক্তব্য দেন, গাইবান্ধা বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সীর জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান, ফুলছড়ি উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি আমিনুল হক, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক ইমাম -রিপন, চাষী আব্দুর রউফ প্রমুখ। মাঠ দিবসে উদাখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের কৃষক-কৃষাণী ও বিভিন্ন পেশা শ্রেণির মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় আমাদের দেশে ভোজ্যতেল উৎপাদনের পরিমাণ অনেক কম। কারণ দেশে ভোজ্য তেলের আবাদী জমির পরিমাণ খুবই কম এবং বিভিন্ন কারণে প্রতি বছর এই জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। ফলে আমাদের প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকার ভোজ্যতেল আমদানি করতে হচ্ছে। স্বাধীনতার পর বারি’র তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ধরনের তৈলবীজ ফসলের ৫০ ধরনের উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছেন। আমরা যদি এসব উচ্চফলনশীল জাত কৃষকদের কাছে পৌছে দিতে পারি তাহলে দেশে ভোজ্যতেলের উৎপাদনের পরিমাণ বাড়বে এবং আমদানির পরিমাণ কমে যাবে। পাশাপাশি আমাদের এলাকায় তেল, ডাল ও সবজি ফসলের চাষাবাদ বাড়াতে হবে।’