
সাদুল্লাপুর সংবাদদাতাঃ কৃষক মজনু প্রামাণিক। অন্যান্য ফসল ছেড়ে এবার আবাদ করেছেন গ্লাডিওলাস ফুলের। ইতোমধ্যে রঙিন এই ফুটন্ত ফুল রাঙিয়েছে মাঠ। বসন্তবরণ ও মাতৃভাষা দিবসে এই ফুল বিক্রি করে অধিক লাভের স্বপ্ন দেখছিলেন। এরই মধ্যে রাতের অন্ধকারে ক্ষেতের ফুলসহ গাছ কেটে নষ্ট করেছে শত্রুরা। এ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় ভুগছেন মজনু প্রামাণিক।
শনিবার বিকেলে সরেজমিনে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের মাঠে দেখা গেছে- ফুল ক্ষেত নষ্টের দৃশ্য। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মজনু প্রামানিক ও তার স্ত্রী অঝোড়ে কাঁদছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আলীপুর গ্রামের মৃত আলী আকবর প্রামাণিকের ছেলে মজনু প্রামাণিক সঙ্গে রাঘবেন্দপুর গ্রামের মৃত রবিউল ইসলামের ছেলে জামিরুল ইসলামদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলে। এরই জেরে শত্রুতা পোষণ করে গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে মজনু প্রামাণিকের চাষকৃত ফুল বাগানের ৪-৫ হাজার গাছসহ ফুল কেটে সাবার করেছে। এর আগেও প্রতিপক্ষরা মজনুর ক্ষেতের হলুদ ও কলাসহ গাছ কেটে নষ্ট করেছে বলেও অভিযোগ ওঠেছে। লাভের আশায় এনজিওর ঋণ নিয়ে এসব আবাদ করছিলেন মজনু প্রামাণিক।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মজনু মিয়া বলেন, আমার প্রতিপক্ষ জামিরুল ইসলামরা ক্ষেতের ফুল কেটে নিয়ে গেছে। এতে প্রায় লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়। এই ক্ষতি কিভাবে পুষিয়ে নিবো, এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ক্ষেত নষ্টের ব্যাপারে ফাঁড়ি থানায় অভিযোগ করেও কোন সহযোগীতা পাওয়া যায়নি।
অভিযুক্ত জামিরুল ইসলাম জানান, কে বা কারা মজনুর ফসল নষ্ট করেছে সেটি তার জানা নেই। এজন্য তিনি দায়ি না। এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর থানাধীন ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর উপপুলিশ পরিদর্শক হিরক চন্দ্র বলেন, মজনু প্রামাণিকের অভিযোগে ঘটনাস্থল পরিদর্শ করা হয়েছে। এটি আরও ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।