Dhaka ০৪:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রানি সম্পদ অফিসে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে সূর্য্যমুখী

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:৩৭:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫
  • ১৮ Time View

সংবাদদাতাঃ গাইবান্ধা সাদুল্লাপুর উপজেলার প্রানি সম্পদ অফিসের প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকলেই দেখা মিলবে হলুদ সূর্য্যমুখী ফুলের। প্রস্ফুটিত সূর্য্যমুখীর সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয়ে মৌমাছি-প্রজাপতি যেমন ছুটে আসছে, তেমনি বিমোহিত হচ্ছেন দর্শনার্থীরাও।
অফিসের আশপাশের পতিত ও আগাছাপূর্ণ ঝোপ পরিষ্কার করে সেখানে সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য বছরজুড়ে যেন বিভিন্ন ফুল রোপণ করা যায় সেই উদ্যোগ নেন উপজেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে এ বছর প্রথম সূর্য্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে।
উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডা. আব্দুল্লাহেল কাফি বলেন,গত বছর এ স্থানের কিছু অংশ হাইব্রিড জাতের নেপিয়ার চাষ করা হয়েছিলো। এবারই প্রথম সূর্য্যমুখীর বীজ রোপণ করা হয়। তাতে ভালো ফুল ফুটেছে। ভবিষ্যতে আরও বেশি জায়গাজুড়ে সূর্য্যমুখীসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের চারা রোপণ করা হবে।
সবুজ পাতার আড়ালে সূর্য্যমুখীর হাসি কাছে টানছে প্রকৃতি প্রেমীদের। সূর্য্যমুখী ফুলের পাশে দাঁড়িয়ে কেউ সেলফি তুলছেন, কেউ বা ছবি তুলছেন। প্রাকৃতিক এ সৌন্দর‌্য অবলোকন করতে প্রতিদিন ভির জমাচ্ছেন অনেকে।
গতকাল (৭মার্চ) শুক্রবার সরেজমিনে দেখা গেছে, ইট-পাথরে গড়া ভবনের সামনে দ্যুতি ছড়াচ্ছে বাহারি এই সূর্য্যমুখী ফুলের বাগান। হৃদয়কাড়া ফুলের মন মাতানো সৌরভ আর স্নিগ্ধতায় মুগ্ধ সবাই।
উপজেলা প্রানি সম্পদ অফিস বাগানে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী মশিউর রহমান, জালাল উদ্দীন, তপন কুমারসহ অনেকে বলেন, এখানে এসে অনেক ভালো লাগছে, পরিবেশটাও ভালো। এমন একটি ফুলের বাগানে ঘুরতে এসে আমাদের অনেক ভালো লাগছে।
ইট-পাথরের দালানকোঠার পাশে এমন নয়ন জুড়ানো পরিবেশ যে কাউকেই প্রকৃতিপ্রেমী করে তুলছে। কৃষি অফিসার মতিউল আলম জানান, উপজেলায় মোট ৫ হেক্টর জমিতে সূর্য্যমুখীর চাষ করা হয়েছে। প্রানি সম্পদের এই বাগানটি এখন সৌন্দর‌্য প্রেমীদের কাছে দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ অনিক ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জসিম উদ্দিন , উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌসী জানান, বাগানটির কারণে একটি দৃষ্টিনন্দন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। বাগানটি দেখতে প্রতিদিন শতশত নারী-পুরুষ এখানে আসছে। আগামীতে আরও বাগান করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

kartick kartick

Popular Post

প্রানি সম্পদ অফিসে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে সূর্য্যমুখী

Update Time : ০৬:৩৭:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

সংবাদদাতাঃ গাইবান্ধা সাদুল্লাপুর উপজেলার প্রানি সম্পদ অফিসের প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকলেই দেখা মিলবে হলুদ সূর্য্যমুখী ফুলের। প্রস্ফুটিত সূর্য্যমুখীর সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয়ে মৌমাছি-প্রজাপতি যেমন ছুটে আসছে, তেমনি বিমোহিত হচ্ছেন দর্শনার্থীরাও।
অফিসের আশপাশের পতিত ও আগাছাপূর্ণ ঝোপ পরিষ্কার করে সেখানে সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য বছরজুড়ে যেন বিভিন্ন ফুল রোপণ করা যায় সেই উদ্যোগ নেন উপজেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে এ বছর প্রথম সূর্য্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে।
উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডা. আব্দুল্লাহেল কাফি বলেন,গত বছর এ স্থানের কিছু অংশ হাইব্রিড জাতের নেপিয়ার চাষ করা হয়েছিলো। এবারই প্রথম সূর্য্যমুখীর বীজ রোপণ করা হয়। তাতে ভালো ফুল ফুটেছে। ভবিষ্যতে আরও বেশি জায়গাজুড়ে সূর্য্যমুখীসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের চারা রোপণ করা হবে।
সবুজ পাতার আড়ালে সূর্য্যমুখীর হাসি কাছে টানছে প্রকৃতি প্রেমীদের। সূর্য্যমুখী ফুলের পাশে দাঁড়িয়ে কেউ সেলফি তুলছেন, কেউ বা ছবি তুলছেন। প্রাকৃতিক এ সৌন্দর‌্য অবলোকন করতে প্রতিদিন ভির জমাচ্ছেন অনেকে।
গতকাল (৭মার্চ) শুক্রবার সরেজমিনে দেখা গেছে, ইট-পাথরে গড়া ভবনের সামনে দ্যুতি ছড়াচ্ছে বাহারি এই সূর্য্যমুখী ফুলের বাগান। হৃদয়কাড়া ফুলের মন মাতানো সৌরভ আর স্নিগ্ধতায় মুগ্ধ সবাই।
উপজেলা প্রানি সম্পদ অফিস বাগানে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী মশিউর রহমান, জালাল উদ্দীন, তপন কুমারসহ অনেকে বলেন, এখানে এসে অনেক ভালো লাগছে, পরিবেশটাও ভালো। এমন একটি ফুলের বাগানে ঘুরতে এসে আমাদের অনেক ভালো লাগছে।
ইট-পাথরের দালানকোঠার পাশে এমন নয়ন জুড়ানো পরিবেশ যে কাউকেই প্রকৃতিপ্রেমী করে তুলছে। কৃষি অফিসার মতিউল আলম জানান, উপজেলায় মোট ৫ হেক্টর জমিতে সূর্য্যমুখীর চাষ করা হয়েছে। প্রানি সম্পদের এই বাগানটি এখন সৌন্দর‌্য প্রেমীদের কাছে দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ অনিক ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জসিম উদ্দিন , উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌসী জানান, বাগানটির কারণে একটি দৃষ্টিনন্দন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। বাগানটি দেখতে প্রতিদিন শতশত নারী-পুরুষ এখানে আসছে। আগামীতে আরও বাগান করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।