Dhaka ০৫:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রকৃতিপ্রেমিদের মুগ্ধ করে নানা রঙের শাপলা ফুল

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:৫১:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪
  • ১৫ Time View

আফতাব হোসেন:
এখন শরৎকাল। খালবিলে জলাশয়ে ভাসছে ভাসছে নানা জাতের শাপলা ফুলের অপরুপ সৌন্দর্য। ফুল ভালোবাসেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল। তাইতো প্রৃকৃতিপ্রেমিরা একটু প্রশান্তি ও মনকে প্রকৃতির মাঝে ফেরাতে এবং কিছুটা আনন্দ উপভোগ করতে চলে যান শাপলা ফুলের সন্নিকটে।
খাল-বিল,ঝিলেও মানুষজন চাষাবাদ করা এবং পানি স্বপ্লতায় ক্রমেই কমে যাচ্ছে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা শাপলা ফুল। এরপরেও গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার পশ্চিম ছালুয়া, উল্লাবাজার, ঝাড়াবর্ষা, তেনাচেড়া, সাঘাটা উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর পুকুর, গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারী, কামারজানি, খোলাহাটি, পলাশবাড়ি, সুন্দরগঞ্জ, সাদুল্যাপুর ও গোবিন্দগঞ্জের অন্ততপক্ষে পাঁচ শতাধিক এলাকায় নানার্ ঙ ও জাতের শাপলা ফুলের দেখা মেলে। শাপলা ফুলের পাশেই জন্মে গোলাপী ও লালর্ ঙ এর পদ্মা ফুল। ফুলের অপরুপ এসব সৌন্দর্য এক পলক দেখলে সকলেরই মন জুড়িয়ে যায়। শিশু, কিশোর-তরুন-তরুনী থেকে বয়স্কদেরও দেখা যায় ফুলের অপরুপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে। আবার দুরন্ত শিশু কিশোরদের দেখা যায় শাপলা ফুল তুলতে। তবে লালর্ ঙ এর শাপলা দেখতে বেশি ভাললাগে বলে জানান ফুল প্রেমিক সাঘাটা প্রেসক্লাবের সাংবাদিক কবি আবু তাহের । তিনি বলেন ফুল তো ফুলই, তবে লাল র্ ঙ এর শাপলা দেখতে বেশি ভালো লাগে। এগুলো দেখে মনে হয় সৃষ্টির অপরুপতা।
উল্লাবাজার সংলগ্ন উত্তরপাশে সাদা শাপলা ফুল দেখতে সাঘাটা বাজার থেকে আসা একদল তরুন-তরুনীদের মধ্যে থেকে অভিমত ব্যক্ত করেন ঢাকায় মেডিকেলে পড়–য়া শিক্ষার্থী সুরভি আক্তার। তিনি জানান, ফেসবুকে ছবি দেখে এখানে এসেছি। বাস্তবে আরো সুন্দর বলে তিনি জানান। দল বেঁধে সেলফিও তোলেন তারা।
বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা যায়, জলের উপর বিছানো থালার মত সবুজ পাতা। পাতার ফাঁকে ফাঁকে লম্বা ডগার উপর ফুটে আছে লাল শাপলা। লাল শাপলার রাজ্যে রয়েছে অসংখ্য পাপড়ির বিন্যাসে গোলাপী ও লাল রংগের পদ্মা ফুল। যেন প্রকৃতি তার ভালোবাসা বিলিয়ে দিয়েছে। শিশুরাসহ তরুণ-তরুণী ও প্রকৃতিপ্রেমীরা প্রতিদিনই আসছে এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে। অনেক বিলে দেখা গেছে ছোট ছোট নৌকাও ভাড়া দেয়া হচ্ছে। নৌকায় চরে লোকজন ফুলের মাঝে গিয়ে ঘুরেও আসছেন।
সাঘাটা ঝাড়াবর্ষা বিলে সাদা- লাল শাপলা পদ্মফুলের অপরুপ দৃশ্য দেখে আশিক জানান ফুলের দৃশ্য দেখে মনটা প্রফুল্ল হয়ে ওঠে।
সাহিত্যিক ও ছাড়াকার অমিতাভ দাস হিমুন জানান, প্রকৃতি যেন মানুষকে সময়ে-সময়ে ভিন্ন ধরনের আনন্দ দিয়ে থাকে। এরমধ্যে বর্ষা ও শরৎ ঋতু অন্যতম। এইসময়ে শাপলা ফুলের দৃশ্য দৃষ্টি ও মনকে প্রফুল্ল করে বলে জানান।
গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক খোরশেদ আলম জানান, ফুল একটি প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় কাজ করে। ফুল মানুষের জীবনজীবিকাতেও ভূমিকা রাখছে। তবে, পর্যাপ্ত পরিমানে পানি না থাকায় শাপলাসহ সব ধরণের জলস ফুল অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

প্রকৃতিপ্রেমিদের মুগ্ধ করে নানা রঙের শাপলা ফুল

Update Time : ০৪:৫১:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪

আফতাব হোসেন:
এখন শরৎকাল। খালবিলে জলাশয়ে ভাসছে ভাসছে নানা জাতের শাপলা ফুলের অপরুপ সৌন্দর্য। ফুল ভালোবাসেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল। তাইতো প্রৃকৃতিপ্রেমিরা একটু প্রশান্তি ও মনকে প্রকৃতির মাঝে ফেরাতে এবং কিছুটা আনন্দ উপভোগ করতে চলে যান শাপলা ফুলের সন্নিকটে।
খাল-বিল,ঝিলেও মানুষজন চাষাবাদ করা এবং পানি স্বপ্লতায় ক্রমেই কমে যাচ্ছে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা শাপলা ফুল। এরপরেও গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার পশ্চিম ছালুয়া, উল্লাবাজার, ঝাড়াবর্ষা, তেনাচেড়া, সাঘাটা উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর পুকুর, গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারী, কামারজানি, খোলাহাটি, পলাশবাড়ি, সুন্দরগঞ্জ, সাদুল্যাপুর ও গোবিন্দগঞ্জের অন্ততপক্ষে পাঁচ শতাধিক এলাকায় নানার্ ঙ ও জাতের শাপলা ফুলের দেখা মেলে। শাপলা ফুলের পাশেই জন্মে গোলাপী ও লালর্ ঙ এর পদ্মা ফুল। ফুলের অপরুপ এসব সৌন্দর্য এক পলক দেখলে সকলেরই মন জুড়িয়ে যায়। শিশু, কিশোর-তরুন-তরুনী থেকে বয়স্কদেরও দেখা যায় ফুলের অপরুপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে। আবার দুরন্ত শিশু কিশোরদের দেখা যায় শাপলা ফুল তুলতে। তবে লালর্ ঙ এর শাপলা দেখতে বেশি ভাললাগে বলে জানান ফুল প্রেমিক সাঘাটা প্রেসক্লাবের সাংবাদিক কবি আবু তাহের । তিনি বলেন ফুল তো ফুলই, তবে লাল র্ ঙ এর শাপলা দেখতে বেশি ভালো লাগে। এগুলো দেখে মনে হয় সৃষ্টির অপরুপতা।
উল্লাবাজার সংলগ্ন উত্তরপাশে সাদা শাপলা ফুল দেখতে সাঘাটা বাজার থেকে আসা একদল তরুন-তরুনীদের মধ্যে থেকে অভিমত ব্যক্ত করেন ঢাকায় মেডিকেলে পড়–য়া শিক্ষার্থী সুরভি আক্তার। তিনি জানান, ফেসবুকে ছবি দেখে এখানে এসেছি। বাস্তবে আরো সুন্দর বলে তিনি জানান। দল বেঁধে সেলফিও তোলেন তারা।
বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা যায়, জলের উপর বিছানো থালার মত সবুজ পাতা। পাতার ফাঁকে ফাঁকে লম্বা ডগার উপর ফুটে আছে লাল শাপলা। লাল শাপলার রাজ্যে রয়েছে অসংখ্য পাপড়ির বিন্যাসে গোলাপী ও লাল রংগের পদ্মা ফুল। যেন প্রকৃতি তার ভালোবাসা বিলিয়ে দিয়েছে। শিশুরাসহ তরুণ-তরুণী ও প্রকৃতিপ্রেমীরা প্রতিদিনই আসছে এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে। অনেক বিলে দেখা গেছে ছোট ছোট নৌকাও ভাড়া দেয়া হচ্ছে। নৌকায় চরে লোকজন ফুলের মাঝে গিয়ে ঘুরেও আসছেন।
সাঘাটা ঝাড়াবর্ষা বিলে সাদা- লাল শাপলা পদ্মফুলের অপরুপ দৃশ্য দেখে আশিক জানান ফুলের দৃশ্য দেখে মনটা প্রফুল্ল হয়ে ওঠে।
সাহিত্যিক ও ছাড়াকার অমিতাভ দাস হিমুন জানান, প্রকৃতি যেন মানুষকে সময়ে-সময়ে ভিন্ন ধরনের আনন্দ দিয়ে থাকে। এরমধ্যে বর্ষা ও শরৎ ঋতু অন্যতম। এইসময়ে শাপলা ফুলের দৃশ্য দৃষ্টি ও মনকে প্রফুল্ল করে বলে জানান।
গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক খোরশেদ আলম জানান, ফুল একটি প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় কাজ করে। ফুল মানুষের জীবনজীবিকাতেও ভূমিকা রাখছে। তবে, পর্যাপ্ত পরিমানে পানি না থাকায় শাপলাসহ সব ধরণের জলস ফুল অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে।