
পলাশবাড়ি প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নে রোহিঙ্গা নাগরিকদের নামে ভূয়া জন্ম নিবন্ধনের অভিযোগ সংক্রান্ত তদন্ত শুরু করেছেন স্থায়ীয় প্রশাসন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই ইউনিয়নে প্রায় ২ হাজার ব্যক্তির নামে জন্ম নিবন্ধন হলেও অধিকাংশের ব্যক্তির পরিচয় ও বাস্তব অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। স¤প্রতি এ সংক্রান্ত বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হলে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে। এরপর পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আল-ইয়াসা রহমান তাপাদারকে কমিটির আহবায়ক করে অপর দু’জন সদস্য হলেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ও উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার।
তদন্ত কমিটির দ্বিতীয় দিন সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে অত্র ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ড ঘুরে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধনকারীারীদের সন্ধান করেন তদন্ত টিম। এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে স্থানীয়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদে দেখা যায় নিবন্ধনকারীদের কেউই ওই এলাকায় পরিচিত নয়। তাদের নাম ও অভিভাবকদের নাম দেখে এলাকাবাসী ধারণা করছেন তারা হয়তো বা রোহিঙ্গা হতে পারে।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে চিহিৃত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবী জানান তারা। তবে বিপুলসংখ্যক ভুয়া নিবন্ধনের জন্য কেউ দায়িত্ব নিতে নারাজ।
বেতকাপা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তা ভূয়া নিবন্ধন সংক্রান্ত বিষয়ে বলেন, আমি কোনো ভুয়া নিবন্ধনে স্বাক্ষর করিনি। তবে এসব ভূয়া নিবন্ধন কিভাবে অনলাইনে এন্ট্রি হলো তাও তো জানি না।
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির আহŸায়ক সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আল-ইয়াসার রহমান তাপাদার জানান, সরেজমিনে গিয়ে আমি সাতটি জন্ম নিবন্ধনের তথ্য যাচাই করেছি। কিন্তু এদের কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনা নিয়ে স্থানীয় সচেতন জনমনে উদ্বেগ বিরাজ করছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে তদন্ত শেষ হলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।