পলাশবাড়ীতে ভ্রাম্যমান আদালতে ইটভাটা অপসারণে সাত দিনের মুচলেকা দিলেও ৬ মাসেও অপসারণ হয়নি


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৩, ২০২৩, ১২:৩৫ অপরাহ্ণ / ৩৬
পলাশবাড়ীতে ভ্রাম্যমান আদালতে ইটভাটা অপসারণে সাত দিনের মুচলেকা দিলেও ৬ মাসেও অপসারণ হয়নি

লাশবাড়ী প্রতিনিধি
গাইবান্ধার পইটভাটা মালিক ভ্রাম্যমান আদালতে ৭ দিনের মধ্যে ইটভাটার চিমনি অপসারণের মুচলেকা প্রদান করার ৬ মাস অতিবাহিত হলেও ইটভাটার চিমনি অপসারণ করেনি ইটভাটা মালিক গোকুল চন্দ্র। উপরোক্ত গত কয়েকদিন থেকে চিমনি রং করণ,মাঠ পরিস্কার করণ ও ইট প্রস্ততকরণের কাজ পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছেন ভাটা মালিক।
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার পলাশবাড়ী পৌরসভার বৈরিহরিণমাড়ী গ্রামের সরকারের বাড়ীর পার্শ্বে লোকালয় এবং কৃষি জমির উপর নির্মিত এ ভাটাটি তৈরি করা হয়েছে। এখানে বেশ কয়েকটি পানের বরজও রয়েছে। মহাসড়ক থেকে ২শ মিটার পশ্চিমে এ ভাটাটির অবস্থান। এখানে রয়েছে পাশাপাশি দুটি ইটভাটা। এমন লোকালয় ও কৃষি জমির ভিতর ভাটাটি স্থাপন করায় ২০২৩ সালের ১৮ মে বৃহস্পতিবার উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি ) এস,এম ফয়েজ উদ্দিন অভিযান চালিয়ে নতুন ওই ইটভাটা নির্মাণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেন । সেইসঙ্গে আগামী সাত(৭) দিনের মধ্যে উক্ত ভাটা মালিক পক্ষ ভেঙ্গে নিবেন বলে মুচলেকা দেন। কিন্তু অনুতাপের বিষয় হলো আজ অবধি ভাটাটি অপসারণ কিংবা চিমনি সরিয়ে নেননি মালিক গোকুল চন্দ্র। পাশাপাশি এই মালিকের আরও একটি ইটভাটা বরিশাল ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের নুনিয়াগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে। কিভাবে ভাটাটি চলছে তা নিয়ে সর্ব শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে গোটা উপজেলা জুড়ে অবৈধ ইটভাটার ছড়াছড়ি চলছে। কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই সরকারি আদেশ নিষেধ এবং মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে ভাটা মালিকেরা বীরদর্পে ইটভাটা চালিয়ে যাচ্ছেন। পলাশাবড়ি উপজেলার ইটভাটা নিয়ে মিডিয়া খবর প্রকাশ হলে বিভিন্ন দপ্তর থেকে নামকাস্তে বেঁছে বেঁছে ইটভাটায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এসব দেখে সাধারণ মানুষ হতভম্ব হয়ে যান। তথ্য অনুযায়ী পলাশবাড়ী উপজেলার সব কটি ইটভাটা পরিচালনার অযোগ্য ও অনুমোদনবিহীন। এসব ইটভাটা চললে,কৃষকের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে থাকে। পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। এসব ইটভাটায় কৃষি জমির মাটি চলে গিয়ে কৃষি জমিগুলো জলাশয়ে পরিণত হচ্ছে। একে কাকরা ট্রাক্টর দিয়ে বহন করার ফলে গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট ভেঙ্গে মানুষের চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ছে। বাঁধ ধসে পড়ছে। রাস্তা দিয়ে চলাচলরত পথচারীদের চলাচলে বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছেন। সড়কে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দূর্ঘটনা। রাস্তায় পড়া থাকা বালু মানুষের শরীরের গিয়ে নানান রোগে ভুগছেন। ভাটাগুলোতে কাঠ খড়ি ব্যবহারের ফলে গ্রামগঞ্জে থেকে ছোট-বড় গাছ কেটে সাবাড় করছে। প্রতিনয়ত পরিবেশ হচ্ছে দূষিত। এর প্রভাব পড়ছে জীব-বৈচিত্র্েযর উপর। এসব অবৈধ ইটভাটাগুলো অপসারণে ভুক্তভোগী স্ব-স্ব সচেতন এলাকাবাসী জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।