Dhaka ০৫:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পলাশবাড়ীতে কৃষি জমিসহ বিদ্যালয় ঘেঁষে ইটভাটা ভোগান্তিতে কমলমতি শিক্ষার্থীরা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:৩৫:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
  • ৩৩ Time View

পলাশবাড়ী সংবাদদাতাঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় কৃষি জমিসহ বিদ্যালয় ঘেঁষে গড়ে উঠেছে অবৈধ ইটভাটা। ইটভাটার বিষাক্ত ধোয়ায় পুড়ছে কৃষকের স্বপ্ন। দেখার কেউ নেই। নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। নেই জেলা প্রশাসকের অনুমোদন। নেই কোন লাইসেন্স। এভাবেই নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে এ উপজেলায় কৃষি জমি, জনবসতি এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘেঁষে গড়ে উঠেছে প্রায় ১৫ থেকে ২০ ইটভাটা। আবার এসব ইটভাটা গুলোতে পোড়ানো হচ্ছে কয়লার পরিবর্তে কাঠ। এতে করে পরিবেশ হচ্ছে বিষাক্ত। বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। শ্বাসকষ্ট, হাঁপানিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ। এসব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন জনসাধারণ।
এদিকে; মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ এসব অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিয়ে আগামী ১৭ মার্চ বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে প্রতিবেদন নির্দেশনা দিয়েছেন। পলাশবাড়ী উপজেলা এ বিষয়ে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে ইরিবোরো ধান ক্ষেত ঘেঁষে (এএসবি) ব্রিকস একই ইউনিয়নের পশ্চিম গোপিনাথপুর গ্রামে কৃষি জমি, জনবসতি ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘেঁষে (এমএমবি) ব্রিকস অবৈধ ইটভাটা গড়ে উঠেছে। এছাড়াও উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের দিগদারী গ্রামে ইরিবোরো ধান ও ভূট্টার ক্ষেত ঘেঁষে (এমএলবি) ব্রিকস নামের অপর একটি ইটভাটা গড়ে উঠেছে। এসব ইটভাটার বিষাক্ত ধোয়ায় পড়ে অত্রালাকার শতশত কৃষকের স্বপ্ন। নানা বয়সী মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
এরপরও পশ্চিম গোপিনাথপুর গ্রামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘেঁষে (এমএমবি) ব্রিকস গত বছর গুলোতে ভাটা বন্ধ করবেন মর্মে মুসলেখা দিলেও আবার চালু করা হয়। ভোগান্তিতে কমলমতি শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি ইটভাটাটিতে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের লোক দেখানো একটি অভিযান পরিচালিত হলেও এখন পর্যন্ত বন্ধ হয়নি ইটভাটা।
হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়নে দ্রুত সময়ের মধ্যে ওইসব অবৈধ ইটভাটা গুলো গুড়িয়ে দিতে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তর, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি কমিশনার (ভূমি)’র জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পলাশবাড়ীর সচেতন উপজেলাবাসী।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

kartick kartick

Popular Post

পলাশবাড়ীতে কৃষি জমিসহ বিদ্যালয় ঘেঁষে ইটভাটা ভোগান্তিতে কমলমতি শিক্ষার্থীরা

Update Time : ০৬:৩৫:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

পলাশবাড়ী সংবাদদাতাঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় কৃষি জমিসহ বিদ্যালয় ঘেঁষে গড়ে উঠেছে অবৈধ ইটভাটা। ইটভাটার বিষাক্ত ধোয়ায় পুড়ছে কৃষকের স্বপ্ন। দেখার কেউ নেই। নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। নেই জেলা প্রশাসকের অনুমোদন। নেই কোন লাইসেন্স। এভাবেই নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে এ উপজেলায় কৃষি জমি, জনবসতি এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘেঁষে গড়ে উঠেছে প্রায় ১৫ থেকে ২০ ইটভাটা। আবার এসব ইটভাটা গুলোতে পোড়ানো হচ্ছে কয়লার পরিবর্তে কাঠ। এতে করে পরিবেশ হচ্ছে বিষাক্ত। বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। শ্বাসকষ্ট, হাঁপানিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ। এসব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন জনসাধারণ।
এদিকে; মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ এসব অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিয়ে আগামী ১৭ মার্চ বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে প্রতিবেদন নির্দেশনা দিয়েছেন। পলাশবাড়ী উপজেলা এ বিষয়ে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে ইরিবোরো ধান ক্ষেত ঘেঁষে (এএসবি) ব্রিকস একই ইউনিয়নের পশ্চিম গোপিনাথপুর গ্রামে কৃষি জমি, জনবসতি ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘেঁষে (এমএমবি) ব্রিকস অবৈধ ইটভাটা গড়ে উঠেছে। এছাড়াও উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের দিগদারী গ্রামে ইরিবোরো ধান ও ভূট্টার ক্ষেত ঘেঁষে (এমএলবি) ব্রিকস নামের অপর একটি ইটভাটা গড়ে উঠেছে। এসব ইটভাটার বিষাক্ত ধোয়ায় পড়ে অত্রালাকার শতশত কৃষকের স্বপ্ন। নানা বয়সী মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
এরপরও পশ্চিম গোপিনাথপুর গ্রামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘেঁষে (এমএমবি) ব্রিকস গত বছর গুলোতে ভাটা বন্ধ করবেন মর্মে মুসলেখা দিলেও আবার চালু করা হয়। ভোগান্তিতে কমলমতি শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি ইটভাটাটিতে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের লোক দেখানো একটি অভিযান পরিচালিত হলেও এখন পর্যন্ত বন্ধ হয়নি ইটভাটা।
হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়নে দ্রুত সময়ের মধ্যে ওইসব অবৈধ ইটভাটা গুলো গুড়িয়ে দিতে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তর, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি কমিশনার (ভূমি)’র জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পলাশবাড়ীর সচেতন উপজেলাবাসী।