
ফেরদাউছ মিয়াঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে অনুমোদন ছাড়াই ব্যাঙ্গের ছাতার মত গড়ে উঠছে অবৈধ্য ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ব্যবসা।
একটি নির্ভর যোগ্য সূত্রে জানাযায়, কোন রকম নিয়ম-নীতি না মেনেই সংশ্লিষ্ট বিভাগের চোখকে ফাঁকি দিয়ে অনুমোদনহীন এ সকল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো পরিচালিত হয়ে আসছে।
সূত্রটি আরো জানায়,বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু করতে পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স, ড্রাগ লাইসেন্স, নার্স, টেকনোলজিস্ট, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, স্বাস্থ্য বিভাগের লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নামে ভ্যাট ও টিন সার্টিফিকেট। ক্লিনিক থেকে ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু করতে হলে অব্যশই পরমাণু রেডিয়েশনের ছাড়পত্রও লাগে। তারপর সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য বিভাগ তা অনুমোদন দিয়ে থাকে।
মঙ্গলবার(২৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে (এলজি শোরুমম সংলগ্ন)পলাশবাড়ীতে জনসেবা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার উদ্বোধন করা হয়। অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির কোন বৈধ কাগজ নেই। এ ব্যাপারে ঐ প্রতিষ্ঠানটির পার্টনার(মালিক) মোঃ তাওহীদ রহমান জানান,আমরা কাগজ পত্র জমা দিয়ে আবেদন করেছি। তাছাড়া এখানে সবাই যে ভাবে ব্যবসা করে আসছে, আমরাও সে ভাবেই করছি।
অপরদিকে “দি পলাশবাড়ী ইবনে সিনা “নামের একটি প্রতিষ্ঠান আগামী (২৮ ফেব্রুয়ারি) শুক্রবার চৌমাথা মোড় প্রেসক্লাব রোর্ডে শুভ উদ্বোধন হবে মর্মে মাইকিং সহ বিভিন্ন উপায়ে প্রচারনা চালিয়ে জাচ্ছেন।
বিপত্তি সেখানেই, অনুসন্ধানে জানাযায়,” দি পলাশবাড়ী ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার” ও “পলাশবাড়ী এবনে সিনা ডায়াগনষ্টিক সেন্টার”এর মালিকগন পূর্বে কালিবাড়ী বাজার সংলগ্ন হারুন মার্কেটে অবস্থিত পলাশবাড়ী ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর পার্টনার ছিলো, কিন্তু অজ্ঞাত কারনে হারুন সুপার মার্কেটে অবস্থিত প্রতিষ্ঠান হতে বের হয়ে এসে চৌমাথা মোর প্রেসক্লাব রোড বিসমিল্লাহ মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় পূর্বের যৌথ মালিকানায় থাকা প্রতিষ্ঠানের নামের সঙ্গে পুরোপুরি মিল রেখে শুধু মাত্র নামের আগে ‘দি’ লাগিয়ে নাম করন করায় “পলাশবাড়ী ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার” পাল্টা মাইকিং করে প্রচার করতে থাকে কেউ প্রতারিত হবেন না, আমাদের কোন শাখা নেই, এমন প্রচারনায় বিব্রতবোধ করছে স্থানীয় চিকিৎসা সুবিধা প্রত্যাশী জনসাধারণ। স্পর্শ কাতর সেবা খাতে এমন মনগড়া দায়িত্বহীন কর্মকান্ডের বিষয়ে প্রতিষ্ঠান দুটির ব্যপারে জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ কানিজ সাবিহা বলেন, এই নামীয় প্রতিষ্ঠানের কোন কাগজ পত্র আমরা পাইনি, এমনকি এই দু প্রতিষ্ঠানের নামে কোন প্রকার ওয়েটিং ফর ইন্সপেকশনের মেসেজও পাইনি, এমতাবস্থায় এধরণের প্রতিষ্ঠান অবৈধ বলে গণ্য হবে।
উল্লেখ্যঃ উপজেলায় একাধিক বার এসব অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলো কে অর্থ জরিমানা সহ সিলগালা করলেও কোন এক অশুভ শক্তির উপর ভর করে অবৈধ ভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন।
জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, এসব অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলো চলে বিশেষ ক্ষমতাধর ব্যক্তি ও রাঘব বোয়ালদের শেল্টারে।