Dhaka ০৮:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
গাইবান্ধা শহরের উদয়ন প্রিন্টিং প্রেসের পাশের্^ রান্নার চুলা বসানোকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে মারপিট ঃ আহত ২ সাঘাটায় আওয়ামীলীগ কার্যালয় গুড়িয়ে দিয়ছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা সাদুল্লাপুরে ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিলের ফলাফল অনিয়মের অভিযোগ স্বদেশের প্রয়োজনে বাঁচি তারুণ্যউত্থানে গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের প্রীতি সম্মিলনে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রত্যয় সাংবাদিকদের পলাশবাড়ীতে বাঁশের সাঁকোতে ঝুঁকি নিয়ে ৫ গ্রামবাসীর নদী পারাপার শহীদ আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদ্বোধন পলাশবাড়ীতে ইটভাটা শ্রমিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার সাঘাটায় যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক আ’লীগ নেতা কারাগারে শিক্ষার মানোন্নয়নে কমিউনিটি অ্যাকশন সভা অনুষ্ঠিত এক বছরে ১০৪ টি বন্যপ্রাণী মারা গেছে

নিয়োগের নামে প্রতারনা, সাদুল্লাপুরে প্রধান শিক্ষক কারাগারে!

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:৫১:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৬৮ Time View

প্রতিনিধি গাইবান্ধা:
গাইবান্ধায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে সাড়ে সাত লাখ টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে সেকেন্দার আলী নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তিনি জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার মধ্য দামোদরপুর নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। বর্তমানে তিনি অর্থ আত্মসাতের মামলায় কারাগারে রয়েছেন।
মো. সেকেন্দার আলী সাদুল্লাপুর উপজেলার পূর্ব দামোদরপুর মৃত শহর আলী ব্যাপারীর ছেলে। এ ঘটনায় গাইবান্ধায় জেলা জজ আদালতে মামলা করেছেন চাকরিপ্রার্থী ভুক্তভোগী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাদুল্লাপুর উপজেলার মধ্য দামোদরপুর নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের নামে স্থানীয় তপন কুমার ও লিলি বেগমসহ বেকার প্রায় চার- পাঁচ জনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন প্রধান শিক্ষক মো. সেকেন্দার আলী। পরে চাকরি না দিয়ে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেন তিনি। উপায় না পেয়ে চাকরি প্রার্থীদের মধ্য লিলি বেগম বাদী হয়ে আদালতের শরণাপন্ন হন। তিনি প্রধান শিক্ষক মো. সেকেন্দার আলীর বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের মার্চে প্রতারণার মামলা করেন। দীর্ঘ দিন পলাতক থাকার পর চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি হাজিরা দিতে গেলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
চাকরিপ্রার্থী লিলি বলেন, বিদ্যালয়ে সহকারি কম্পিউটার পদে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে সাড়ে সাত লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক মো. সেকেন্দার আলী। টাকা নিয়ে আমিসহ বেশ কয়েকজনের সাথে তিনি প্রতারণা করছেন। আমরা সবাই বেকার আর দরিদ্র পরিবারের হওয়ায় সহায় সম্বল বিক্রি করে ও ঋণ করে ওই শিক্ষকের হাতে টাকা তুলে দিয়েছি। এখন আমরা টাকা ফেরত চাই। আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের সহকারী উম্মে ফাতেহা খানম বলেন, শিক্ষকদের চাকরি দেওয়ার কথা বলে চেকের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করায় প্রধান শিক্ষক মো. সেকেন্দার আলী বর্তমানে কারাগারে আছেন।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোছা রোকসানা বেগম বলেন, মধ্য দামোদরপুর নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলী কারাগারে আছেন। অর্থ আত্মসাতের মামলায় যেহেতু তিনি কারাগারে আছেন, বিজ্ঞ আদালত তার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

গাইবান্ধা শহরের উদয়ন প্রিন্টিং প্রেসের পাশের্^ রান্নার চুলা বসানোকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে মারপিট ঃ আহত ২

নিয়োগের নামে প্রতারনা, সাদুল্লাপুরে প্রধান শিক্ষক কারাগারে!

Update Time : ০৬:৫১:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

প্রতিনিধি গাইবান্ধা:
গাইবান্ধায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে সাড়ে সাত লাখ টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে সেকেন্দার আলী নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তিনি জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার মধ্য দামোদরপুর নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। বর্তমানে তিনি অর্থ আত্মসাতের মামলায় কারাগারে রয়েছেন।
মো. সেকেন্দার আলী সাদুল্লাপুর উপজেলার পূর্ব দামোদরপুর মৃত শহর আলী ব্যাপারীর ছেলে। এ ঘটনায় গাইবান্ধায় জেলা জজ আদালতে মামলা করেছেন চাকরিপ্রার্থী ভুক্তভোগী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাদুল্লাপুর উপজেলার মধ্য দামোদরপুর নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের নামে স্থানীয় তপন কুমার ও লিলি বেগমসহ বেকার প্রায় চার- পাঁচ জনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন প্রধান শিক্ষক মো. সেকেন্দার আলী। পরে চাকরি না দিয়ে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেন তিনি। উপায় না পেয়ে চাকরি প্রার্থীদের মধ্য লিলি বেগম বাদী হয়ে আদালতের শরণাপন্ন হন। তিনি প্রধান শিক্ষক মো. সেকেন্দার আলীর বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের মার্চে প্রতারণার মামলা করেন। দীর্ঘ দিন পলাতক থাকার পর চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি হাজিরা দিতে গেলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
চাকরিপ্রার্থী লিলি বলেন, বিদ্যালয়ে সহকারি কম্পিউটার পদে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে সাড়ে সাত লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক মো. সেকেন্দার আলী। টাকা নিয়ে আমিসহ বেশ কয়েকজনের সাথে তিনি প্রতারণা করছেন। আমরা সবাই বেকার আর দরিদ্র পরিবারের হওয়ায় সহায় সম্বল বিক্রি করে ও ঋণ করে ওই শিক্ষকের হাতে টাকা তুলে দিয়েছি। এখন আমরা টাকা ফেরত চাই। আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের সহকারী উম্মে ফাতেহা খানম বলেন, শিক্ষকদের চাকরি দেওয়ার কথা বলে চেকের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করায় প্রধান শিক্ষক মো. সেকেন্দার আলী বর্তমানে কারাগারে আছেন।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোছা রোকসানা বেগম বলেন, মধ্য দামোদরপুর নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলী কারাগারে আছেন। অর্থ আত্মসাতের মামলায় যেহেতু তিনি কারাগারে আছেন, বিজ্ঞ আদালত তার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।