
প্রতিনিধি গাইবান্ধা:
গাইবান্ধায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে সাড়ে সাত লাখ টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে সেকেন্দার আলী নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তিনি জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার মধ্য দামোদরপুর নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। বর্তমানে তিনি অর্থ আত্মসাতের মামলায় কারাগারে রয়েছেন।
মো. সেকেন্দার আলী সাদুল্লাপুর উপজেলার পূর্ব দামোদরপুর মৃত শহর আলী ব্যাপারীর ছেলে। এ ঘটনায় গাইবান্ধায় জেলা জজ আদালতে মামলা করেছেন চাকরিপ্রার্থী ভুক্তভোগী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাদুল্লাপুর উপজেলার মধ্য দামোদরপুর নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের নামে স্থানীয় তপন কুমার ও লিলি বেগমসহ বেকার প্রায় চার- পাঁচ জনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন প্রধান শিক্ষক মো. সেকেন্দার আলী। পরে চাকরি না দিয়ে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেন তিনি। উপায় না পেয়ে চাকরি প্রার্থীদের মধ্য লিলি বেগম বাদী হয়ে আদালতের শরণাপন্ন হন। তিনি প্রধান শিক্ষক মো. সেকেন্দার আলীর বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের মার্চে প্রতারণার মামলা করেন। দীর্ঘ দিন পলাতক থাকার পর চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি হাজিরা দিতে গেলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
চাকরিপ্রার্থী লিলি বলেন, বিদ্যালয়ে সহকারি কম্পিউটার পদে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে সাড়ে সাত লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক মো. সেকেন্দার আলী। টাকা নিয়ে আমিসহ বেশ কয়েকজনের সাথে তিনি প্রতারণা করছেন। আমরা সবাই বেকার আর দরিদ্র পরিবারের হওয়ায় সহায় সম্বল বিক্রি করে ও ঋণ করে ওই শিক্ষকের হাতে টাকা তুলে দিয়েছি। এখন আমরা টাকা ফেরত চাই। আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের সহকারী উম্মে ফাতেহা খানম বলেন, শিক্ষকদের চাকরি দেওয়ার কথা বলে চেকের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করায় প্রধান শিক্ষক মো. সেকেন্দার আলী বর্তমানে কারাগারে আছেন।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোছা রোকসানা বেগম বলেন, মধ্য দামোদরপুর নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলী কারাগারে আছেন। অর্থ আত্মসাতের মামলায় যেহেতু তিনি কারাগারে আছেন, বিজ্ঞ আদালত তার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।