Dhaka ০৩:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধর্ষণের দায়ে চাকরী হারানো পুলিশ সদস্য আবারো ধর্ষণ মামলার আসামী

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৩০:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
  • ১৬ Time View

পলাশবাড়ী সংবাদদাতাঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ধর্ষণের দায়ে চাকরী হারানো পুলিশ সদস্য আব্দুল হান্নান মন্ডলের (৬৫) বিরুদ্ধে গৃহবধুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। তবে ঘটনার পাঁচদিন অতিবাহিত হলেও মামলার আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
অভিযুক্ত আব্দুল হান্নান মন্ডল উপজেলার খামার বালুয়া গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে। আব্দুল হান্নান মন্ডল পুলিশের কনষ্টেবলে পদে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু ধর্ষণের দায়ে কয়েক বছর আগে তিনি তাঁর পুলিশের চাকরী হারান। আবারো তিনি একই অপরাধে আসামী হয়েছেন। ঘটনার পর হতেই হান্নান মন্ডল পলাতক রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কিশামত কেওয়াবাড়ি এলাকার প্রতিবেশি গৃহবধূর বাড়িতে নানা শ^শুর হিসেবে যাতায়াত করতেন হান্নান মন্ডল। হান্নান নানা প্রলোভন দিয়ে ওই গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। ওই গৃহবধূর স্বামী চায়ের দোকানে কাজ করেন। গত ৭ মার্চ ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ ইফতার করে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এসময় আসামী আবদুল হান্নান মন্ডল সুযোগ বুঝে বাড়িতে প্রবেশ করে। কিছু বোঝার আগেই ওই গৃহবধূর মুখ চেপে ধরে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে আসামী মুখ ছেড়ে দিলে চিৎকার করতে থাকে ওই গৃহবধূ। পরে আশপাশের লোকজন আসলে মান্নান পুলিশ পালিয়ে যায়। এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ওই গৃহবধুর স্বামীকে চাপ দেয়।
এদিকে; ঘটনার পর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য স্থানীয় ব্যক্তিরা ধর্ষণের বিষয়টি অর্থের বিনিময়ে ধামাচাপার দেয়ার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে ওই গৃহবধূকে জোরপূর্বক সালিশ নামায় স্বাক্ষর নেয়ার জন্য বাড়ি থেকে তুলেও নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে ভুক্তভোগী পরিবার। খবর পেয়ে পুলিশ ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে। হান্নান মন্ডল এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ার তার অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কেউ কথা বলেন না।
এ ঘটনায় ওই গৃহবধু নিজেই বাদী হয়ে গত ৯ মার্চ পলাশবাড়ী থানায় আবদুল হান্নানকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জুলফিকার আলী ভূট্টো বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে। ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। মামলার পর আসামী পলাতক রয়েছে। তবে আসামী গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

kartick kartick

Popular Post

ধর্ষণের দায়ে চাকরী হারানো পুলিশ সদস্য আবারো ধর্ষণ মামলার আসামী

Update Time : ০৮:৩০:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

পলাশবাড়ী সংবাদদাতাঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ধর্ষণের দায়ে চাকরী হারানো পুলিশ সদস্য আব্দুল হান্নান মন্ডলের (৬৫) বিরুদ্ধে গৃহবধুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। তবে ঘটনার পাঁচদিন অতিবাহিত হলেও মামলার আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
অভিযুক্ত আব্দুল হান্নান মন্ডল উপজেলার খামার বালুয়া গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে। আব্দুল হান্নান মন্ডল পুলিশের কনষ্টেবলে পদে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু ধর্ষণের দায়ে কয়েক বছর আগে তিনি তাঁর পুলিশের চাকরী হারান। আবারো তিনি একই অপরাধে আসামী হয়েছেন। ঘটনার পর হতেই হান্নান মন্ডল পলাতক রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কিশামত কেওয়াবাড়ি এলাকার প্রতিবেশি গৃহবধূর বাড়িতে নানা শ^শুর হিসেবে যাতায়াত করতেন হান্নান মন্ডল। হান্নান নানা প্রলোভন দিয়ে ওই গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। ওই গৃহবধূর স্বামী চায়ের দোকানে কাজ করেন। গত ৭ মার্চ ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ ইফতার করে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এসময় আসামী আবদুল হান্নান মন্ডল সুযোগ বুঝে বাড়িতে প্রবেশ করে। কিছু বোঝার আগেই ওই গৃহবধূর মুখ চেপে ধরে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে আসামী মুখ ছেড়ে দিলে চিৎকার করতে থাকে ওই গৃহবধূ। পরে আশপাশের লোকজন আসলে মান্নান পুলিশ পালিয়ে যায়। এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ওই গৃহবধুর স্বামীকে চাপ দেয়।
এদিকে; ঘটনার পর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য স্থানীয় ব্যক্তিরা ধর্ষণের বিষয়টি অর্থের বিনিময়ে ধামাচাপার দেয়ার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে ওই গৃহবধূকে জোরপূর্বক সালিশ নামায় স্বাক্ষর নেয়ার জন্য বাড়ি থেকে তুলেও নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে ভুক্তভোগী পরিবার। খবর পেয়ে পুলিশ ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে। হান্নান মন্ডল এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ার তার অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কেউ কথা বলেন না।
এ ঘটনায় ওই গৃহবধু নিজেই বাদী হয়ে গত ৯ মার্চ পলাশবাড়ী থানায় আবদুল হান্নানকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জুলফিকার আলী ভূট্টো বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে। ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। মামলার পর আসামী পলাতক রয়েছে। তবে আসামী গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।