Dhaka ০৫:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের উদ্যোগে মাসব্যাপী ইফতার ও রাতের খাবার কর্মসূচিতে জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ সুন্দরগঞ্জের শান্তিরামে প্রতিবেশিকে ফাঁসাতে হত্যা মামলাঃ পুলিশি পাহাড়ায় বিবাদী পরিবার সাদুল্লাপুরে যুব সমাজের উদ্যোগে গণ ইফতার অনুষ্ঠিত সুন্দরগঞ্জে পানিতে ডুবে প্রাণ গেল দুই শিশুর গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের ওপেন হাউজ ডে ও কমিউনিটি পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত পলাশবাড়ীতে মাদক বিরোধী অভিযানে ৩ মাদকসেবীর কারাদন্ডসহ জরিমানা ঠাকুরগাঁওয়ে ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়েও ফিরে পেলনা সন্তানকে, প্রেমের ফাঁদে অপহরণের শিকার মিলনের লাশ উদ্ধার পলাশবাড়ীর বহুল আলোচিত সাকিব হত্যা মামলা দৈনিক গণমানুষের আওয়াজ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ঘোড়াঘাটে কুরআন সবক প্রদান অনুষ্ঠিত

দুই দফায় পানের জুম কেটে নেয় দুর্বত্তরা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:১৩:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
  • ১২০ Time View

তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের পান জুমে দুই দফায় তান্ডব চালিয়ে প্রায় ৫ হাজার পান গাছ কেটে ফেলে দিয়েছি এমনি অভিযোগ ওঠেছে। গত ৪ ও ১৭ নভেম্বর উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের মনছড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মাসুক মিয়া পান গাছ কর্তনের সাথে জড়িত সন্দেহে স্থানীয় ৪ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। পরে কুলাউড়া থানার এসআই মোহাম্মদ আলী ও মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পান গাছ কাটার সত্যতা পেয়েছেন।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রের বরাতে জানা যায়, কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের মনছড়া এলাকার বাসিন্দা মাসুক মিয়ার সাথে একটি মামলায় স্বাক্ষ্য দেয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছে একই এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মালিকের ছেলে মো. আনফরের। ওই পূর্ব বিরোধের জেরে আনফরের নেতৃত্বে একই এলাকার চেরাগ আলীর ছেলে মো. জাকির, তমিজ মিয়ার ছেলে মো. আনছার ও মো: আমির আলীর ছেলে রইছ আলী মিলে গত ৪ নভেম্বর রাতে মনছড়া এলাকায় মাসুক মিয়ার পানজুমে প্রবেশ করে প্রায় আড়াই হাজার পান গাছ কর্তন করে। এতে মাসুক মিয়ার পানজুমে প্রায় ৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। এরপর এ ঘটনায় আনফর, জাকির, আনছার ও রইছের বিরুদ্বে কুলাউড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী মাসুক মিয়া। এই অভিযোগের পর আবার ও গত ১৭ নভেম্বর মধ্যরাতে মাসুক মিয়ার পানজুমে প্রবেশ করে আরোও পান গাছ কর্তন করা হয়। দুই দফায় প্রায় ৫ হাজার পান গাছ কর্তন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মাসুক মিয়া। এতে মাসুক মিয়ার পানজুমের প্রায় ২০-২২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মাসুক মিয়া বলেন, কালিটি চা-বাগান থেকে লিজ নিয়ে মনছড়া এলাকায় আমিসহ অনেকেই পানজুম করছি দীর্ঘদিন ধরে। দীর্ঘ ৯ বছর ধরে নিজের সন্তানের মতো পানজুমটি পরিচর্যা করেছি। বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে যখন পান বিক্রি করে লাভবান হবো ঠিক তখনই পূর্ব বিরোধের জেরে দুই দফায় আমার পানজুমে প্রবেশ করে মনছড়ার বাসিন্দা আনফর, জাকির, আনছার ও রইছের নেতৃত্বে পান গাছ কর্তনের তান্ডব চালানো হয়। এতে আমার প্রায় ২০-২২ লাখ টাকার ক্ষতিসাধিত হয়। পান বিক্রি করে যে আয় হয় তা দিয়ে ছেলে, মেয়ে স্ত্রীসহ সাত সদস্যের পরিবার চলে। তিনি আরোও বলেন, মনছড়া এলাকায় অনেকের পানজুম থাকলেও প্রায় সময় আমার পান জুমের পান গাছ বিনষ্ট করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ওই চক্রটি। বর্তমানে বিবাদীরা আমাকে বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আমি প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানাই।
পান গাছ কাটার বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্তদের মধ্যে মো. আনছার বলেন, আমরা পান গাছ কাটার সাথে জড়িত নই। ষড়যন্ত্র করে আমাদের ফাঁসানোর জন্য মাসুক মিয়া মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা কুলাউড়া থানার এসআই মোহাম্মদ আলী ও মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করে পান গাছ কাটার সত্যতা পাওয়া গেছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এ ঘটনায় মাসুক মিয়া পৃথক দুটি অভিযোগ দিয়েছেন। অন্যদিকে প্রতিপক্ষ আনফরও একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত শেষে জড়িতদের বিরুদ্ধে পাশাপাশি দোষী যেই হোক আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের উদ্যোগে মাসব্যাপী ইফতার ও রাতের খাবার কর্মসূচিতে জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ

দুই দফায় পানের জুম কেটে নেয় দুর্বত্তরা

Update Time : ০৮:১৩:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের পান জুমে দুই দফায় তান্ডব চালিয়ে প্রায় ৫ হাজার পান গাছ কেটে ফেলে দিয়েছি এমনি অভিযোগ ওঠেছে। গত ৪ ও ১৭ নভেম্বর উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের মনছড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মাসুক মিয়া পান গাছ কর্তনের সাথে জড়িত সন্দেহে স্থানীয় ৪ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। পরে কুলাউড়া থানার এসআই মোহাম্মদ আলী ও মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পান গাছ কাটার সত্যতা পেয়েছেন।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রের বরাতে জানা যায়, কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের মনছড়া এলাকার বাসিন্দা মাসুক মিয়ার সাথে একটি মামলায় স্বাক্ষ্য দেয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছে একই এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মালিকের ছেলে মো. আনফরের। ওই পূর্ব বিরোধের জেরে আনফরের নেতৃত্বে একই এলাকার চেরাগ আলীর ছেলে মো. জাকির, তমিজ মিয়ার ছেলে মো. আনছার ও মো: আমির আলীর ছেলে রইছ আলী মিলে গত ৪ নভেম্বর রাতে মনছড়া এলাকায় মাসুক মিয়ার পানজুমে প্রবেশ করে প্রায় আড়াই হাজার পান গাছ কর্তন করে। এতে মাসুক মিয়ার পানজুমে প্রায় ৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। এরপর এ ঘটনায় আনফর, জাকির, আনছার ও রইছের বিরুদ্বে কুলাউড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী মাসুক মিয়া। এই অভিযোগের পর আবার ও গত ১৭ নভেম্বর মধ্যরাতে মাসুক মিয়ার পানজুমে প্রবেশ করে আরোও পান গাছ কর্তন করা হয়। দুই দফায় প্রায় ৫ হাজার পান গাছ কর্তন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মাসুক মিয়া। এতে মাসুক মিয়ার পানজুমের প্রায় ২০-২২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মাসুক মিয়া বলেন, কালিটি চা-বাগান থেকে লিজ নিয়ে মনছড়া এলাকায় আমিসহ অনেকেই পানজুম করছি দীর্ঘদিন ধরে। দীর্ঘ ৯ বছর ধরে নিজের সন্তানের মতো পানজুমটি পরিচর্যা করেছি। বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে যখন পান বিক্রি করে লাভবান হবো ঠিক তখনই পূর্ব বিরোধের জেরে দুই দফায় আমার পানজুমে প্রবেশ করে মনছড়ার বাসিন্দা আনফর, জাকির, আনছার ও রইছের নেতৃত্বে পান গাছ কর্তনের তান্ডব চালানো হয়। এতে আমার প্রায় ২০-২২ লাখ টাকার ক্ষতিসাধিত হয়। পান বিক্রি করে যে আয় হয় তা দিয়ে ছেলে, মেয়ে স্ত্রীসহ সাত সদস্যের পরিবার চলে। তিনি আরোও বলেন, মনছড়া এলাকায় অনেকের পানজুম থাকলেও প্রায় সময় আমার পান জুমের পান গাছ বিনষ্ট করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ওই চক্রটি। বর্তমানে বিবাদীরা আমাকে বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আমি প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানাই।
পান গাছ কাটার বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্তদের মধ্যে মো. আনছার বলেন, আমরা পান গাছ কাটার সাথে জড়িত নই। ষড়যন্ত্র করে আমাদের ফাঁসানোর জন্য মাসুক মিয়া মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা কুলাউড়া থানার এসআই মোহাম্মদ আলী ও মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করে পান গাছ কাটার সত্যতা পাওয়া গেছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এ ঘটনায় মাসুক মিয়া পৃথক দুটি অভিযোগ দিয়েছেন। অন্যদিকে প্রতিপক্ষ আনফরও একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত শেষে জড়িতদের বিরুদ্ধে পাশাপাশি দোষী যেই হোক আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।